বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে

বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে
বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে

বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে – নতুন আইন অনুযারী এই বছরের জানুয়ারি থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে ভ্রমণের সময় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বছরে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত সঙ্গে নিতে পারবেন।

তবে ১২ বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক খরচ করা যাবে। তাদের একজনের ক্ষেত্রে তা কোনোভাবেই বছরে পাঁচ হাজার ডলারের বেশি হবে না। গত বছর ২৮ জুলাই বিদেশ ভ্রমণে সব দেশে ডলার নিতে সমান সুযোগ চালু করতে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়ার ভিন্ন ভিন্ন সীমা ছিল।

তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দৈনিক ভাতা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়ার যে ভিন্ন সীমা ছিল সেটিও সম্প্রতি তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এছাড়াও ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে নতুন রপ্তানিকারক, আমদানিকারক এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীর বিদেশ ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের সীমা প্রতিক্ষেত্রে চার হাজার ডলার। তবে তাঁদের বার্ষিক ভ্রমণ কোটা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার।

অপরদিকে বৈদেশিক বিনিময় লেনদেন নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো চিকৎসা ও আনুষঙ্গিক ব্যয়বাবদ প্রতি যাত্রায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারে। তবে এর বেশি অর্থ ছাড় করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনের দরকার হয়।জরুরি আমদানির প্রয়োজনে বিদেশে সরবরাহকারীর অনুকূলে অগ্রিম প্রেরণের প্রয়োজন হলে কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই প্রতি ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ডলার প্রেরণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে
বৈধপথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে বিদেশে

এ ছাড়া বিদেশ থেকে আগত নিবাসী ও অনিবাসী ব্যক্তি পাঁচ হাজার ডলারের বেশি মুদ্রা বহন করলে এফএমজি ফরমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে তার ঘোষণা দিতে হবে। বাংলাদেশে নিবাসী কোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা ন্যূনতম পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে জমা কিংবা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে নিবাসী বৈদেশিক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারবেন।

তবে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কোটায় আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন বিদেশে গমনেচ্ছুকরা। অন্যদিকে সার্কভুক্ত দেশ ও মিয়ানমারের জন্য ৩৫০ ডলার এবং এর বাইরে অন্য সব দেশের জন্য ৪০০ ডলার পর্যন্ত নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বর্তমানে মিয়ানমার ও সার্কভুক্ত দেশে এর পরিমাণ ৩৫০ ডলারের বেশি হবে না।

শুধু মাত্রতথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বৈদেশীক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বছরে ৪০ হাজার ডলারের লেনদেন করতে পারবে। আগে এই সীমা ছিল ৩০ হাজার ডলার। গত ৩ অক্টোবর এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই আইনানুযায়ী আগামী দিন গুলোতে কার্যদিবস পালন করা হবে।

আরো পড়ুন –

কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা পরিচালিত হচ্ছে

 

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন