কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা পরিচালিত হচ্ছে

কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা পরিচালিত হচ্ছে !
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা মিশ্র ধরনের। এ অর্থ ব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানা উদ্যোগের পাশাপাশি বিরাজ করে। সর্বোপ্রথম ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু হয়।

জাতীয় আয়ের – 

মোট দেশজ উৎপাদন  প্রতি আর্থিক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত মোট চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার বাজারমূল্য হলো সেই দেশের মোট জাতীয় আয়।দেশজ উৎপাদন হিসাব করার সময় বিদেশে অবস্থানরত দেশীয় নাগরিকদের দ্বারা সৃষ্ট উৎপাদন ধরা হয় না। মোট দেশজ উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে জাতীয় আয় জানা যায়।

জাতীয়আয় পরিমাপ পদ্ধতি

বাংলাদেশের জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যানব্যুরো। পরিসংখ্যানব্যুরো প্রতি বছর চলতি বাজার মূল্য ও স্থির মূল্য দ্রব্য ও সেবার মূল্য পরিমাপ করে জিডিপি ও জিএনআই গণনা করে থাকে। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করে জিডিপি ও জিএনআই গণনা করে। উৎপাদন পদ্ধতিতে মোট দেশজ উৎপাদান পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে ১৫ খাতে ভাগ করা হয়।

সেই ভাগগুল হচ্ছে যথাক্রমে – ১. কৃষিও বনজ সম্পদ ২. মৎস্য সম্পদ ৩.খনিজ সম্পদ ৪. শিল্প ৫. বিদ্যু, গ্যাস ও পানি সম্পদ ৬. নির্মাণ ৭.পাইকারি ও খুচরা বানিজ্য ৮. হোটেল ও রেস্তোরাঁ ৯.পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ ১০. আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা ১১. রিয়েল এস্টেট ১২. লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ১৩.শিক্ষা ১৪.স্বাস্থ্য ও সামাজক সেবা ১৫ কমিউনিট, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ – বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কর রাজস্ব। সরকারের সামগ্রিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বোর্ডের প্রধান কাজ হলে কাস্টমস, আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর বিধি বিধান তৈরি এবং তার আলোকে যথাযথ কর রাজস্ব আদায় করা। বাংলাদেশের কর কাঠামো হলো প্রতক্ষ ও পরোক্ষ কর।

জাতীয় সঞ্চয় – বাংলাদেশের সঞ্চয় পত্র সমূহের মধ্যে হলো ৫বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র, ৩মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি সকল বাংলাদেশে সঞ্চয়বন্ড  এখন পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।

যদিও সম্প্রতি বছর গুলতে প্রবাসিদের পাঠানো অর্থের মরিমান নিয়েও আমাদের দেশের সরকারকে  অনেকটাই খুশি মনে হতে পারে। কারন ২০১৮ এবং ২০১৯ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি প্রবাসিগন প্রায় ১৩.০৩ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে যা এখন পর্যন্ত নাগাদ প্রবাসিদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। এছাড়াও সরকারের পক্ষথেকেও বৈধ পথে টাকা পাঠানোর জন্য বিশেষ সুভিদার কথাও শুনাযাচ্ছে । যাতে করে কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা দেখা যাচ্ছে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন।

 উল্লেখখিত নিয়মাবলীর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা পরিচালিত হয়। 

আরো পড়ুন –
শেয়ার বাজারে সফল হাবার কিছু টিপ্স !
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন