সাবান হচ্ছে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়ামযুক্ত লবণ। যা মূলত ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা হয়। সাবান তৈরি করা হয় কোন কিছু পরিস্কার করার জন্য।
তাছাড়া শিল্পকারখানা এবং টেক্সটাইল শিল্পে বেশ কিছু কাজেই সবান প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আজ আমরা কথা বলবো ফ্যাক্টরিতে কিভাবে সাবান তৈরি করা হয় সে সম্পর্কে, সাবান তৈরির উপাদান সহ আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে।
নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাবান তৈরিতে যুক্ত করা হচ্ছে ভিন্ন রূপ, গন্ধ, কার্যকারিতা।
সবান তৈরির উপকরণ–
শুরুতেই বলেছিলাম সাবান হচ্ছে ফ্যাটি এসিড লবণ। যার সংকেত হচ্ছে C17H35COONa.
অর্থ্যাৎ, একটি সাধারণ সাবান তৈরি তে যা যা উপকরণ প্রয়োজন তা হচ্ছে-
লবণ,
ভেষজ তেল– নারিকেল তেল, পাম তেল, বাদাম তেল, মহুয়ার তেল, সয়াবিন তেল, ভুট্টা তেল ইত্যাদি। ২/৩ রকমের তেল ব্যবহার করলে সবান ভালো হয়।
প্রাণীজ চর্বি বা ভেজিটেবল চর্বি- শুধু তেল দিয়েই সাবান তৈরি করা যায়। তবে চর্বি যোগ করলে আরও ভালো হয়। এবং নতুন মাত্রা যোগ হয়।
পানি,
গ্লিসারিন,
ক্ষার– কস্টিক সোডা। গুঁড়ো বা কঠিন যেকোনটাই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পরিমাণ অনুযায়ী এবং সাবানের ধরণ অনুযায়ী। পরিমাণে দিকে এবং ব্যবহারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি। গড়মিল হলেই ত্বক পুড়ে যেতে পারে। একারণে সাবধানতার সাথে সঠিক পরিমাণ জেনে ব্যবহার করতে হবে।
সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড– সাবানকে শক্ত ও ভারি করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি সাবানে বেশি ফোম বা ফেনা হওয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয়। তবে বেশি ব্যবহার করলে সাবান শক্ত হয় এবং ফেনা বা ফোম কম হয়। তাই পরিমাপ ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি– নানা ধরণের ও সুগন্ধের আতর বা তেল।
নানা বর্ণের রং– পানি কিংবা তেলে গলে এমন রং।
এগুলোই সাবান তৈরির মূল উপাদান। তবে বর্তমানে বেশ কিছু সাবান প্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের প্রডাক্টের গুণগত মান আরো বৃদ্ধির জন্য, এর সাথে আরো কিছু ক্যামিকেল যুক্ত করে আসছে।
সাবান কিভাবে তৈরি করা হয়:
সাবান তৈরির জন্য প্রথমেই একটি উত্তপ্ত পাত্রে বিভিন্ন প্রাণীর চর্বি অথবা ভেষজ তেলের সাথে সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড যুক্ত করা হয়। তারপর এর সাথে পরিমাণমত ক্ষার এবং খানিকটা পানিও মেশানো হয়।
বেশ কিছু সময় ধরে এগুলো মিশ্রিত করে মিশ্রণটিকে একেবারেই শীতল করে ফেলা হয়।
যার ফলাফল সেই পদার্থগুলো ঠান্ডা হয়ে যাবার পরে অনেকটাই ফোমের মত দেখা যায়।
এবার প্রথমেই সেই শীতল পদার্থগুলোকে বড় একটি ব্লেডের মাধ্যমে একেবারে সরুভাবে কেটে সেগুলোকে আবার একটি ছোট ব্লেডের সাহয্যে একেবারে ছোট ছোট ভাগ করা হয়।
পরে সেই পদার্থগুলো বড় একটি রোলারের মধ্যে দিয়ে পিষে মিহি করে নেওয়া হয়।
অতঃপর, সেই পদার্থগুলোকে আবারো একটি রোলারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে যতটা সম্ভব আরও নরম করে বের করা হয়।
যে স্থান থেকে এই নরম পদার্থগুলো বের হয় তাকে বলা হয় নুডুলস প্লেট।
মূলত এই জায়গা দিয়ে উক্ত পদার্থগুলো খানিকটা নুডুলস আকৃতির বের হওয়ায় এর এমন নামকরণ।
এবার সম্পূর্ণ পদার্থগুলো একটি রোলিং মেশিনে রেখে এর সাথে বিভিন্ন ধরণের রং যুক্ত করা হয়।
এরপরে মেশিনটি চালু করে দেবার পরে তার সাথে পর্যায়ক্রমে, তেল, গ্লিসারিন, সুগন্ধিসহ আরও বেশ কিছু পদার্থ যুক্ত করা হয়।
যেগুলো যুক্ত সেই নুডুলস প্লেটের মধ্য দিয়ে এই পদার্থগুলো আবারো ছোট ছোট আকৃতির করে বের করা হয়।
এবার বড় একটি ডায়াসের মধ্য দিয়ে সেই নরম পদার্থগুলোকে বড় একটি শেপে বের করে সেগুলো সাবানের পরিমাণ অনুযায়ী কাটা হয়।
সর্বশেষ সেই শেপগুলোকে একটি শক্তিশালী ডায়াসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সাবানের আকৃতিতে রুপান্তর করা হয়।
এবার সেই সাবানগুলো প্যাকিটিং করে বিক্রির জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: সাবান আবিষ্কার এর ইতিহাস ফ্যাক্টরিতে কিভাবে পামওয়েল তৈরি করা হয় ফ্যাক্টরিতে কিভাবে লোহা তৈরি হয়?
বর্তমানে আমরা আমাদের বজারগুলোতে বেশ কিছু সাবানের প্রচলণ দেখতে পাই। যেমন- ড্রাই সাবান, কাপড় ধোয়ার সাবান, গোসলের সাবান, দানা সাবান, তরল সাবান ইত্যাদি।
মূলত ব্যবহার এবং কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে এই সকল সাবানগুলো ভিন্ন ভিন্ন রুপে তৈরি করা হয়।
বিশ্বব্যাপী কিছু উন্নত মানের সাবান কোম্পানি:
এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় পাঁচটি সাবান কোম্পানি হচ্ছে-
Dove (ডাভ)
Olay (ওলে)
Dial (ডায়াল)
Irish Spring (আইরিশ স্প্রিং)
Aveeno (অ্যাভীনো)
Super-Duper blog! I am loving it!! Will be back later to read some more. I am taking your feeds also.
I have not checked in here for a while as I thought it was getting boring, but the last several posts are good quality so I guess I will add you back to my daily bloglist. You deserve it my friend 🙂
Wow! Thank you! I continuously wanted to write on my website something like that. Can I implement a part of your post to my website?