ভারতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড হবার পেছনে ৩ কারণ খুঁজে পেল WHO
ভারতে প্রলয়ংকরী রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড যেন বেড়েই চলেছে। এই ভাইরাসের তান্ডবে দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়ালো ২ লাখ।
একদিন সামান্য কমার পর আবারো নতুন করে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড করেছে দেশটি।সংক্রমণ শনাক্তের শীর্ষে যথারীতি মহারাষ্ট্র। হাসপাতালগুলো রোগী ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে।
করোনার থাবা সামলাতে না পারায় শ্মশান ঘাট মৃতদেহের স্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত জ্বলছে, পুড়ছে শবদেহ।
অন্তেষ্টিক্রিয়ায় আগত এক স্বজন জানান, সরকার মৃত্যের যে সংখ্যা প্রকাশ করছে তা সন্দেহজনক ভাবে খুবই কম। তার ভাষায়, “দিল্লী সরকার বলছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ জন লোক মারা যাচ্ছে। তবে বাস্তবে এটি ১ হাজারেরও বেশি। কারও জন্য কোন বিছানা নেই এবং শ্মশানেও কোন জায়গা নেই। ৩ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করার পর শ্মশানে জায়গা পেয়েছি।”
অ্যাম্বুলেন্স চালক বলছেন তিনি দিনে ১০-২০ জনের মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড বাড়তে বাড়তে এখন বেসামাল ভারত।
পর পর ৬ দিনে ৩ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
সবশেষ ২৪ ঘন্টা হিসাবে নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯০২ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের।
WHO অর্থ্যাৎ বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার কর্তুক চিহ্নিত করাণসমুহ:
ভারতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড অবস্থার জন্য গণজমায়েত ও টিকা দানে নিন্মমুখী সহ ৩ টি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কারণ ৩টি হচ্ছে-
গণ জমায়েত
অতি সংক্রমক করোনার ধরণ ও
টিকা দানের নিন্ম হার।
অক্সিজেন সরবরাহ আর শয্যা না থাকায় রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ভারতের অনেক হাসপাতাল।
মৃতদেহের চাপ বাড়তে থাকায় বিভিন্ন স্থানের শ্মশানগুলোয় নির্মিত হচ্ছে অতিরিক্ত চিতা।
মুম্বাই হিন্দুজা হাসপাতালের শ্বাসকষ্ট বিশেষজ্ঞ ডা. ল্যান্স পিন্টো বলছেন, “অবিলম্বে আমাদের প্রয়োজন হলো অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি, ভ্যান্টিলেটর এবং রোগীদের শয্যা সহজলভ্য করা। অক্সিজেন ট্যাংক আমাদের যা আছে একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর সহায়তাও আসছে- সেগুলো রেল ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেওয়ার জন্য ভারত তাদের সক্ষমতার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
করোনায় ভারতকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র।
বৃটেনের কাছ থেকে চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান এসেছ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরাইল ও পাকিস্তান সহ অন্যান্য দেশেও চিকিৎসা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।