যে সকল মানুষদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ?

যে সকল মানুষদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ?

আজ সন্ধায় চাঁদ দেখা গেলে আগামী কাল থেকে শুরু মাহে রমজান।  মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই পবিত্র একটি মাস। যে পুরো মাস জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই রোজা রাখতে হয়।

কিন্তু অসুস্থতা বা অন্যান্য সমস্যার কারণে সবাই রোজা রাখতে পারে না। তাই কাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে আমরা আজ জানবো।

সমগ্র মুসলিম জাতি পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা পালন করে থাকেন। কিন্তু যারা অসুস্থ তাদের পক্ষে সব রোজা রাখা সম্ভব হয় না। তাই ইসলাম ধর্মে তাদের জন্য রাখা হয়েছে বেশ কিছু ছাড়।

আসন্ন পবিত্র মাহে রামজানকে সামনে রেখে রোগীদের কাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা কাদের ক্ষেত্রে নয় সে ব্যপারে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে হেপাটোলজি সোসাইটি বাংলাদেশ।

কাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ?

# উপসর্গযুক্ত জণ্ডিস বা একিউট হেপাটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ।

# লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের বর্তমানে পেটে পানি অথবা জন্ডিস আছে তাদের ক্ষেত্রে।

# রক্তবমি অথবা কালো পায়খানা হয়েছে এমন রোগী হলে।

# খাদ্যনালীতে ব্যান্ড বা ইডিএল (EVL) এর দ্বারা চিকিৎসা করা হয়েছে এমন ব্যক্তি এবং  যাদের কথাবার্তা বা আচরণে অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে তারা।

আরো পড়ুন - 
রোজার নিয়ত এবং ইফতারের দোয়া- 
রমজানে রোজা রাখার উপকারিতা- 
রমজানে রোজা না রাখার পরিনতি-

# ডায়াবেটিস রয়েছে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবার ঝুঁকি রয়েছে এমন রোগী।

# লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের লিভারের কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ।

যারা যারা রোজা রাখতে পারবেন:

# লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হলেও যেসব ব্যক্তি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন এবং উপরে উল্লেখিত লক্ষণসমূহ নেই তারা রোজা রাখতে পারবেন।

# ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা সুবিধাজনক।

# হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস বাহক (HBsAg + Carrier) ব্যক্তিরা রোজা রাখতে পারবেন।

# ক্রনিক হেপাইটির বি ও ক্রনিক হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।

# লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও যেসব ব্যক্তির লিভার স্বাভাবিকভাবে কার্যক্ষম রয়েছে তারা রোজা রাখতে পারবেন।

# লিভার ট্রান্সপ্লান্ট গ্রহীতারা দক্ষ লিভার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে ক্ষেত্র বিশেষে রোজা রাখতে পারবেন।

# গিলবার্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে নিয়মিত সিরাম বিলিরুবিন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে রোজা রাখা সম্ভব।

subscribe to our youtube channel 2

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন