পামওয়েল বিশ্বের অতি জনপ্রিয় ভেষজ তেল। যেটি পাম গাছ থেকে উৎপাদন করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সর্বাধিক পামওয়েল উৎপাদনকারী দেশ হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের ইন্দোনেশিয়া দেশটি।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পাম গাছের ফল থেকে কিভাবে পামওয়েল তৈরি করা হয় সেসম্পর্কে।
বছরে এক একটি পাম গাছ থেকে কম পক্ষে প্রায় ৫০ কেজি পাম ফল পাওয়া যায়।
বড় হবার পর থেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সময়ে চাষিরা গাছ থেকে পেরে ফলগুলো ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যায়।
যেহেতু পাম গাছ বেশ খানিকটা উচু আকৃতির হয় তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাষিরা সেই ফলগুলো পারার জন্য নিচ থেকে ধাতুর তৈরি ধারালো একটি বস্তু ব্যবহার করে থাকেন, যার মাধ্যমে পাম ফলগুলো কেটে তারা সেগুলো একত্রিত করেন, নয়তোবা অনেক ক্ষেত্রেই সেই গাছে উঠেও পাম ফল সংগ্রহ করা হয়।
ফল সংগ্রহ শেষে পাম ফলগুলো বাহনে করে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসা হয়।
ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাবার পরে সকল পাম ফলগুলো একত্রিত করে এদের মধ্যে পচা বা খারাপ ফল রয়েছে কিনা সেগুলো বাছাই করা হয়।
অতঃপর বাছাই শেষ হলে সেই ফলগুলো বেশ বড় রোলারের মধ্যে ঢুকিয়ে বিশাল আকারের ধারালো ব্লেটের সাহায্যে কেটে ছোট ছোট টুকরো করা হয়।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে পাম ফলের ছোবড়া হচ্ছে পাম তেল তৈরির প্রধান কাঁচামাল, এবং সেই ফলের ভেতরে যে বীচি থাকে তার থেকেই তৈরি হয় পাম কার্নেল ওয়েল।
পাম সাবান, পাম ফেসওয়াস সহ আরো বিভিন্ন জিনিস।
পামওয়েল তৈরিতে ফলের খোসাগুলোতে তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে পিষে তার থেকে তেল নিস্কান করা হয়।
যা হয়তো আপনি খানিকটা আমাদের দেশের ঘানিতে ভাঙ্গা সরিষার তেলের সাথেও তুলনা করতে পারেন। ‘
এপর্যায়ে সেই খোসা থেকে যা বেরিয়ে আসে তা কেবল হয় ক্রুড পামওয়েল।
এবার সেই ক্রুড পামওয়েল গুলোকে আবারো রিফাইন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। অতঃপর রিফাইন শেষে একে ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয় এর গুনগত মান ঠিক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য।
সবকিছু ঠিক ঠাক হলে সেই তেলগুলো বোতলজাত করে কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে যখন পাম ফল থেকে চাপ প্রয়োগ করে তেল বের করা হয়ে যায়, তখন সেই ফলের ছোবড়া এবং তার বীচিকে আলাদা করে সেই বিচিকে আবারো এর থেকে অধিক মাত্রায় চাপ এবং তাপ প্রয়োগ করে সেখান থেকে পাম কার্ণেল অয়েল তৈরি করা হয়।