পাখিটি সাপ শিকার করে খুবই অভিনব পদ্ধতিতে। কারণ সাপ একটি বিষাক্ত প্রাণী।
মূলত সাপ শিকার করার আলাদা কৌশল তাদের জানা আছে। সাপ কামড় দেওয়ার আগেই তারা সাপটিকে গিলে ফেলে।
প্রজনন:
এই পাখিটির প্রজনন কাল আবহাওয়া-পরিবেশ ভেদে একেক স্থান অনুসারে একেক সময়ে হয়ে থাকে।
ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় শঙ্খ চিল পাখির প্রজনন ঋতু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে আগষ্ট থেকে অক্টোবর এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে এদের প্রজনন সময়কাল হচ্ছে এপ্রিল থেকে জুন মাসে।
শঙ্খ পাখি একবারে দুটি করে ডিম পাড়ে। ডিমে তা দিয়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বের করতে স্ত্রী পাখিটি সহায়তা করলেও পুরুষ পাখি এবং স্ত্রী পাখি দুজনে মিলে একত্রে বাচ্চা বড় করে তোলে।
ডিম থেকে পাখির বাচ্চা ফুটে বের হতে ২৬ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত সময় নেয়।
ছানারা ৪০-৫৬ দিনের ভেতরেই উড়তে পারে। এবং ২ বছর বয়সে একটি শঙ্খ চিল পাখি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়।
আয়ুষ্কাল:
চিল জাতীয় এই পাখির আয়ুষ্কাল ১১ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এরা বিপদমুক্ত বলে বিবেচিত।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনেও এই প্রজাতির পাখিটি সংরক্ষিত রয়েছে।
বাংলায় শঙ্খ চিল পাখিকে নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন গান, কবিতা। যা কালজয়ী বিখ্যাত কবিরা লিখে গেছেন।
তেমনি কবি জীবনান্দ দাশের কবিতায়-
“আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়, হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খ চিল শালিখের বেশে।।”
পাখিটির সম্পর্কে জেনে অনেক ভাল লাগল। চিলের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা ছিল না। লেখাটি দারুন হয়ছে। এমন সুন্দর লেখা আরও দেখতে চাই।