আইসক্রিম নাম শুনলে জিবে পানি আসেনা এমন মানুষ হয়তো খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় সকলেরই অত্যধিক পছন্দের একটি খাবার হচ্ছে এই আইসক্রিম।
বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর চাহিদা যেন অনেকটাই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
আজ আমরা জানবো আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে আইসক্রিম যেভাবে তৈরি করা হয় সে সম্পর্কে।
আইসক্রিম তৈরির মূল তত্বটি হচ্ছে উপযুক্ত উপাদানের মিশ্রণ শেষে সেগুলো হিমাংকের নিচে রেখে জমাট বাঁধিয়ে আইসক্রিম উৎপন্ন করা হয়।
এক্ষেত্রে আইসক্রিম তৈরির প্রধান উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হয় খাটি দুধকে।
এজন্য বিভিন্ন আইসক্রিম তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব খামার থেকে প্রথমেই গরুর দুধ সংগ্রহ করে থাকে।
খামার থেকে দুধ সংগ্রহের পরে সেই দুধগুলো রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠাণ্ডা করা হয়।
মূলত এখান থেকেই শুরু হয় ফ্যাক্টরিতে আইসক্রিম তৈরির সকল ধরনের প্রসেস।
ফ্যাক্টরিতে আইসক্রিম যেভাবে তৈরি করা হয় –
এ পর্যায় ঠাণ্ডা দুধগুলো আরেকটি বড় জারে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে সেই দুধের সাথে চিনি, আইসক্রিম তৈরির পাউডার, পানি, আইসক্রিমের ফ্লেভার যথা-ভ্যানিলা, চকলেট, মেঙ্গোসহ আরো বিভিন্ন ফ্লেভার যুক্ত করে একে গরম করা হয়।
এই মিশ্রণটি ভাল করে গরম করা শেষ হলে পরবর্তীতে আইসক্রিমের স্বাদ আরো মুখরোচক করার জন্য এরসাথে কিসমিস বাদামের গুড়ো এছাড়াও আরো কিছু ফলের ছোট ছোট অংশকেও যুক্ত করা হয়।
সবশেষে সম্পূর্ণ তরল পদার্থ গুলোকে হিমাংকের নিচে অর্থাৎ মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেখে শক্ত ক্রিমে পরিণত করা হয়।
এক্ষেত্রে আইসক্রিমগুলো যদি কোণ, কাপ অথবা বক্স আইসক্রিমের জন্য প্রস্তুত করা হয় তাহলে নির্দিষ্ট মেশিনের সাহায্যে কোণ, কাপ অথবা বক্স আইসক্রিমের খালি জায়গাটুকু আইক্রিম দিয়ে পূর্ণ করা হয়।
এজন্য আইসক্রিমগুলো একটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আনা হয় যে তাপমাত্রায় সেগুলো একেবারেই গলে যাবে না আবার অধিক পরিমাণে শক্ত হবে না।
আর সর্বশেষ কোণ এবং কাপ আইসক্রিমগুলো শক্ত কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে প্যাকেট করা হয়। তবে এর আগে অবশ্য কোণ আইসক্রিমগুলোর উপরে মেশিনের সাহায্যে কিছুটা ক্রিম চকলেট এবং বাদামের গুড়া ছিটিয়ে দেয়া হয়।
তাছাড়া বক্স আইক্রিমের ক্ষেত্রে তার উপরে প্লাস্টিকের ঢাকনা দিয়ে সেগুলো ঢেকে দেয়া হয়।
মোটামুটি ভাবে আইসক্রিম তৈরির প্রসেসটি শেষ হলে সেই আইসক্রিমগুলোকে ৩০ থেকে ৫০ মিনিটের জন্য আবারো হিমাংকের নিচে অর্থাৎ রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়।
এবং এরপরে সেখান থেকে আইসক্রিমগুলো বের করে বিভিন্ন কাটন বা প্যাকেটে ভরে আইসক্রিমগুলো বাজারজাত করা হয়।
অন্যদিকে যেকোন স্টিক বা কাঠিওয়ালা আইসক্রিম তৈরির জন্য
হিমাংকের নিচে থাকা সেই ক্রিমগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কেটে এর ভেতরে কাঠিকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
তারপর আইসক্রিমগুলো বিভিন্ন ফ্লেভারের ক্রিমে ডুবিয়ে সেগুলো কিছুটা সময়ের জন্য আবারো রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়।
যখন সে ফ্লেভারগুলোর প্রলেপ আইসক্রিমের সাথে লেগে যায় তখন সেগুলোর উপরে প্যাকেট করে আইসক্রিমগুলো কাটনে ভরে বাজারজাত করা হয়।
সকল ধরনের আইসক্রিম তৈরির একটি কমন বিষয় হচ্ছে আইসক্রিম তৈরির মাঝামাঝি সময় থেকে সর্বদা এগুলোকে শীতল তাপমাত্রায় রাখা হয়। নতুবা তাপমাত্রা বেশি হলে এটি যেকোন সময়েগুলো যেতে পারে।
আইসক্রিম নিয়ে মজার কিছু তথ্য হচ্ছে-
এখন পর্যন্ত আইসক্রিমের সবচাইতে বৃহৎ কোম্পানিটি হচ্ছে বাসকিন রোবিন্স। জনা যায় পুরো বিশ্ব জুড়ে বাসকিন রোবিন্সের প্রায় ৭৫০০টি স্টল রয়েছে।
যার মাধ্যমে এই কোম্পানি ৫০টি দেশের ভেতরে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকে।
তবে ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ১ নাম্বার হচ্ছে বেন এন্ড জেরিস আইসক্রিম কোম্পানি।
এছাড়াও সর্বাধিক দামি কোম্পানি হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি নেসলে, যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৮৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সবচাইতে দামি আইসক্রিমটি হচ্ছে দুবাই শহরের স্কোপিই ক্যাফেতে পরিবেশন করা ব্লাক ডাইমোন্ড আইসক্রিম।
যার দাম হচ্ছে প্রতি কাপ ৮১৭ ইউ এস ডলার। জানা যায় এই ব্লাক ডাইমোন্ড আইসক্রিমে যেসকল ফলের ফ্লেবার সংগ্রহ করা হয় সেগুলো মাদাগাস্কার থেকে নিয়ে আসা হয় আর তাছাড়া এর সাথে খানিকটা স্বর্ণের প্রলেপও জুড়ে দেওয়া হয়।
I conceive this site has got some real good info for everyone : D.
Hi there to all, it’s really a good for me to visit this website, it contains important Information.
Hi there, I enjoy reading all of your post. I wanted to write a little comment to support you.