চকোলেটের মিশ্রণটি পুরোপুরি গলে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে উচু একটি পাত্র, মগ বা গ্লাসে ঢেলে নিতে হবে।
এরফলে আইসক্রিমের বাইরের কোটিং দিতে সুবিধা হয়।
এবার আইসক্রিমগুলোকে ছাঁচ থেকে বের করতে হবে। কিন্তু জমে শক্ত হয়ে থাকার কারণে এগুলো সহজে বের হতে চাইবে না।
তাই একটি পাত্রে হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে একেকটি ছাঁচ কয়েক সেকেন্ডের জন্য রেখে নিলে আইসক্রিম একটু গলে খুব সুন্দরভাবে উঠে আসবে। তবে মনে রাখবেন বেশিক্ষণ যেন ডুবিয়ে না রাখেন।
তাহলে আইসক্রিম অতিরিক্ত গলে শুধু মাত্র স্টিক চলে আসবে এবং আইসক্রিম ছাঁচেই থেকে যাবে।
এবার বাইরের চকো কেটিং দেবার পালা। এক্ষেত্রে ভাল করে দেখতে হবে চুলায় গলানো চকোলেট গুলো ঠান্ডা হয়েছে কিনা।
যদি সামান্য গরমও থাকে তাহলেও এটি একদম নরমাল টেম্পারেচারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কারণ তানাহলে এটা আইসক্রিমটিকে একদম গলিয়ে ফেলবে।
এবার আইসক্রিমের স্টিকটি ধরে ভেতরের অংশ চকোলেটে চুবিয়ে নিতে হবে।
এবং কিছুক্ষণ রাখতে হবে যাতে বাড়তি চকোলেট ঝরে যায়।
আর এর মধ্যেই দেখা যাবে চকোবার আইসক্রিম এর বাইরের এই চকো কোটিং খুব দ্রুত জমে শক্ত হয়ে যাচ্ছে।
কারণ আইসক্রিমটি প্রচন্ড ঠান্ডা। তার মানে চাকোবার আইসক্রিম তৈরি।
উপর থেকে বিভিন্ন বাদাম কুচি, কিসমিস ছড়িয়ে আইসক্রিমে নতুন মাত্রাও আনতে পারেন।
সংরক্ষণ পদ্ধতি:
চাইলে এখনই চকোবার আইসক্রিম খাওয়া যায়। তবে আপনি যদি সংরক্ষণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
এখন আপনার দরকার হবে একটি বাটার পেপার বা পার্চমেন্ট কাগজ।
কোন ট্রের উপর এই কাগজ বিছিয়ে আইসক্রিমগুলোকে একের পর এক কাগজের উপর রেখে দিতে হবে।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই। লেয়ারটি কাগজে লেগে যাবে না। কাগজের ওয়েলি টেক্সচার চকো কোটিং আঁটকে থাকতে দিবে না।
এপর্যায়ে এভাবে চকোবার আইসক্রিম গুলো ডিফ ফ্রিজে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
তারপর একটি বাটিতে একসঙ্গে কয়েকটি রেখেও আইসক্রিমগুলি সংরক্ষণ করা যাবে অনেকদিন।
তবে মনে রাখতে হবে, এই আইসক্রিমগুলোর মেয়াদকাল ততদিনই যতদিন এতে ব্যবহার করা উপকরণগুলোর মেয়াদউত্তীর্ণ না হয়।
চকোবার আইসক্রিম তৈরি হয়ে গেল।
এবার উপভোগ করুন সবচেয়ে সহজে, সবচেয়ে কম উপকরণে তৈরি সুস্বাদু চকোবার আইসক্রিম ।