আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস ও পর্যায়ক্রমে এর বিবর্তন

আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস ও পর্যায়ক্রমে এর বিবর্তন
আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস ও পর্যায়ক্রমে এর বিবর্তন

শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যে সময়ই হোক না কেন, “আইসক্রিম” শব্দটি শুনলে জিভে জল আসে না এমন কেও কি আছে? আজ আমরা কথা বলবো আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস ও পর্যায়ক্রমে এর বিবর্তন সম্পর্কে নানা তথ্য।

আইসক্রিম এর মধ্যে রয়েছে এক অনবদ্য আকর্ষণীয় ক্ষমতা। এই আবেদন কখনো কমবার নয়।

ছেলে থেকে বুড়ো, সকলেরই এক বাক্যে পছন্দ এই একটি খাবার।

আজকাল বাজারে আইসক্রিম এর বহু ব্র্যান্ড রয়েছে। একেক ব্র্যান্ডের একেক রকম স্বাদ, গন্ধ ও ফ্লেভারের আইসক্রিম।

কাঠফাটা গরমের সময় আইসক্রিম মুখে পুড়ে দিলেই যেন রাজ্যের শ্রান্তি মনের কোণে ধরা দেয়।

কিন্তু মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে, এত যে পছন্দনীয়-লোভনীয় একটা খবার- কী করে এলো এই আইসক্রিম?

কিভাবে উৎপত্তি হলো এমন চমকপ্রদ এক আইডিয়ার?

চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কী করে আরম্ভ হলো এই মন মাতানো খাবারের জন্ম পরিক্রমা।

আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস :

আইসক্রিম আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে খ্রীস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে।

খাবরটি আবিষ্কারের কিন্তু কোন নির্দিষ্ট দিন-তারিখ-বার এমনকি কোন আবিষ্কারকের নামও নেই।

তবে কোত্থেকে আইসক্রিম এলো তার একটি প্রচলিত গল্প আমরা পেয়েছি।

আর এই গল্পটির প্রারম্ভ ধরা হয় ৬২ খ্রীস্টাব্দে।

রোম নগরীর রাজা নিরো রাজ্যের বাবুর্চির কাছে নতুন মুখরোচক কিছু খেতে চেয়েছিলেন।

আদেশ রক্ষার্থে বাবুর্চি তখন রাজার এক কর্মচারীকে পাঠালেন অ্যাপেনাইন পাহাড় থেকে কিছু বরফ নিয়ে আসতে।

বাবুর্চি তখন সেই বরফের সাথে বাদাম এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে রাজাকে পরিবেশন করলেন।

রাজা কিছুটা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সেই খাবার মুখে দিলেন ১ চামচ। আর মুখে দিতেই অল্প কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রইলেন।

রাজার সঙ্গী-সাথীরা সবাই ভয়ে ভয়ে রাজার পানে চেয়ে রইলেন।

খানিক বাদে রাজা চোখ খুলেই এক পরম তৃপ্তির মুখ করে বললেন, ‘ওহে, কোথায় পেলে এমন মজাদার জিনিস?” আর সেই বাবুর্চির সৌভাগ্য যে কেল্লাফতে এতো বলাই বাহুল্য।

তবে, ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, আইসক্রিম এর ধারণা আরও প্রাচীন।

খ্রীস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতাব্দীতে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বাজারে বরফ কুচির সঙ্গে মধু এবং ফল মিশ্রিত এক প্রকারের খাওয়ার পাওয়া যেত।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস আইসক্রিম খাওয়াটাকে বেশ উৎসাহিত করেছিলেন এবং কারণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছিলেন “আইসক্রিম জীবনে প্রাণের সঞ্চার করে আর বেঁচে থাকার উদ্যমতার জোগান দেয়।”

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ফুলের মধুর সঙ্গে বরফ দিয়ে খেতে ভালোবাসতেন।

খ্রীষ্টীয় ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের রেফারেন্সে রয়েছে, রাজা সোলায়মান ফসল কাটার মৌসুমে বরফ দেওয়া পানীয় খেতে ভালোবাসতেন।

গবেষকদের ধারণা, আইসক্রিম আবিষ্কার ও রেসিপির সূত্রপাত মূলত এগুলো থেকেই।

রোম হতে এই ঠান্ডা রঙিন মিষ্টি বরফের জাদু সম্পূর্ণ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে লাগল।

বরফ কুচির সঙ্গে বিভিন্ন ফলের রস, মধু কিংবা সিরাপ মিশ্রণ করে তৈরি হতে লাগল ভিন্ন স্বাদের ‘অমৃত’।

যখন এই এলাহি খাদ্য বাগদাদের খলিফাদের নিকট এসে পৌছাল তখন এই জাদুর রঙ-স্বাদ বেড়ে গেল আরও কয়েকগুণ।

একই বরফের সঙ্গে তারা বিভিন্ন রকম বাদাম কুচি, পেস্তা এবং আরও বিভিন্ন ধরনের ফলের ব্যবহার করা শুরু করল।

খলিফারাই প্রথম আইসক্রিমে চিনি মেশানোর যাত্রা সূচনা করে।

পরবর্তীতে এখানকার আরব বণিকদের হাত ধরেই আইসক্রিমের বাণিজ্যিকরণ আরম্ভ হয়।

চীনেও ব্যাপক প্রসার লাভ করে এই আইসক্রিম । তারা নতুন মাত্রা যোগ করতে এর মধ্যে ব্যাপকভাবে ফলের রস ব্যবহার শুরু করল।

চীনের তাং রাজার শাসনামলে (খ্রিস্টাব্দ ৬১৮-৯০৭) বরফের দিয়ে তৈরি একরকম ডিশ রাজকন্যারা বেশ মজা করে খেতেন।

তাং রাজার রাজ দরবারে নাকি ৯৪ জন বরফ-বাহক কর্মরত ছিলেন। সেই ডিশ তৈরি করা হতো গরম দুধ, ময়দা এবং কর্পুর এর সংমিশ্রণে।

এরপর সেই মিক্সচার একটি ধাতব টিউবে পুরে মাটির নিচে রেখে দেয়া হতো। অনেক পরে এসে ভারতে কুলফি তৈরি করা হতো এভাবে।

সুপরিচিত পর্যটক এবং বণিক মার্কো পোলোর নাম শুনেছি আমরা সবাই।

বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে করতে তিনি পৌঁছলেন চীন দেশে।

চীন দেশে এসে মনভোলানো এই অমৃত খেয়ে মার্কো পোলোরের চোখ ছানাবড়া। তিনি সেখান থেকে শিখে নিলেন এর রেসিপি।

এরপর তিনি যখন আবার ইতালিতে ফিরে যান সাথে করে নিয়ে যান দিগ্বিজয়ী সেই রেসিপি।

পনেরোশো শতক:

দুধের সঙ্গে আইসক্রিমের মিলন হয় আরও অনেক পরে।

ইতালিয়ানরাই সর্বপ্রথম আইসক্রিম তৈরিতে দুধ ব্যবহারের প্রচলন শুরু করে।

ইতালির হাত ধরে আইসক্রিম প্রবেশ করে ফ্রান্সে। সেও এক দারুণ ইতিহাস।

১৫৩৩ সালে ইতালির রাজকন্যা ক্যাথরিন ফ্রান্সের রাজা অরিকে বিবাহ করে চলে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু বায়না ধরে বসলেন, সঙ্গে নিতে হবে তার প্রিয় রাঁধুনি রগেরিকে, যার আয়ত্তে ছিল হরেক রকম আইসক্রিম তৈরির সিক্রেট রেসিপি।

মেয়ে নারাজ, অবস্থা বেগতিক দেখে রাজা সম্মত হলেন রাঁধুনিকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে।

আর এভাবেই সেই থেকে ফ্রান্সে আইসক্রিমের অনুপ্রবেশ ঘটে।

ষোলশো শতক:

নেপলসের স্পেনিয় ভাইসরয় আন্তোনিও লাতিনি (১৬৪২-১৬৯২) সর্বেত্তোর একটি আইসক্রিমের রেসিপি লিখে রেখেছিলেন।

তিনি দুধের সাহায্যে এক শরবত বানিয়েছিলেন আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস এর পাতায়।

একেই প্রথম অফিশিয়াল আইসক্রিম বলে ধরে নেয়া যায়।

সতেরোশো শতক:

ইংল্যান্ডও আইসক্রিমকে ঘিরে কম মাতামাতি হয়নি।

১৭ শতাব্দীর দিকে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের খাবারের টেবিলে রোজই দেখা যেতো ক্রিম আইস নামক একটি খাবার।

যে খাবার খেয়ে রাজা খুশীতে এতটাই আত্মহারা হয়েগিয়েছিলেন যে এর প্রস্তুতকারক ডি মার্কোকে সারাজীবন হেসে খেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, এবং বিনিময়ে সেই রেসিপির ব্যাপারে কাউকে না জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মার্কো রাজাকে দেওয়া সেই কথা রাখেনি।

তারই হাত ধরে পরবর্তিতে এই রেসিপি সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিক্টোরিয়ান যুগের সময় আমেরিকা ও নরওয়ে থেকে ইংল্যান্ডে আইসক্রিম আমদানি করা হতো। আর আমদানির কারণে আইসক্রিমের মূল্য ছিল বেশ চড়া।

তবে ১৬৬০ সালের পূর্বে আইসক্রিম সাধারণ মানুষের কাছে অতটা সহজলভ্য ছিলো না।

এরপর প্যারিস এর ১ম ক্যাফে ‘ক্যাফে প্রকোপ’ দুধ, ক্রিম, মাখন ও ডিমের সংমিশ্রণে একটি রেসিপি উপস্থাপন করে।

আমেরিকাতে আইসক্রিম এর ১ম সংস্করণ আসে ১৭৪৪ সালে।

নিউইয়র্কে আইসক্রিম খাদ্যটি নিয়ে প্রথম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ১৭৭৭ সাল এর ১২ মে।

তখন কনফেকশনার ফিলিপ লানজি ঘোষণা দেন, এটি প্রায় প্রতিদিনই শহরে পাওয়া যাবে।

নিউইয়র্কের চ্যাথাম স্ট্রিটের এক ব্যবসায়ী খেয়াল করেন, প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন আইসক্রিম খুবই পছন্দ করেন।

তার হিসাবমতে ১৭৯০ সালের গ্রীষ্মে প্রেসিডেন্ট আইসক্রিমের পেছনে প্রায় ২০০ ডলার খরচ করেছেন।

আঠারোশো শতক:

১৮ শতকে পৌছে আমেরিকার মাধ্যমে আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস -এ ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়।

দুধ, ক্রিম, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি, রেসপবেরি, চকোলেট, ম্যাংগো সহ বিভিন্ন নতুন নতুন ফ্লেভার মিশ্রণ করে আধুনিক আইসক্রিম তৈরি করা শুরু হয়।

বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাদ ও ফ্লেভারের হরেক রকম আইসক্রিম
বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাদ ও ফ্লেভারের হরেক রকম আইসক্রিম

আঠারোশো শতক অবধি আইসক্রিম অভিজাত শ্রেণীর মানুষদের কাছে প্রিয় ডেজার্ট ছিলো।

এবং ব্যপক চাহিদার কারণে ওই শতকের আশেপাশে উৎপাদিত আইসক্রিম শীঘ্রই একটি শিল্প হয়ে ওঠে।

প্রযুক্তির কল্যাণে অন্যান্য আমেরিকান ইন্ডাস্ট্রির ন্যায় আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিতেও উৎপাদন উর্ধ্বগতিতে চলতে থাকে।

আইসক্রিমের রেসিপি বই আকারে সর্বপ্রথম বের হয় ১৭৬৮/৬৯ যার লেখক ছিল কোন এক এম.এমি-র The Art of Making Frozen Desserts. ২৪০ পৃষ্ঠার সেই বইটিতে কেবল আইসক্রিমের রেসিপিই ছিল তা নয়, এর ধর্মীয় ও দার্শনিক ব্যাখ্যাও ছিল।

১৭৭৪ সাল নাগাদ নিউইয়র্কের সংবাদপত্রে জনাব ফিলিপো লেঞ্জি জানিয়েছেন যে তিনি সবেমাত্র লন্ডন থেকে পৌঁছেছেন এবং বিক্রি করবেন জ্যাম, জেলি, পেস্ট্রি আর আইসক্রিম।

এটাই সম্ভবত আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস এ সর্বপ্রথম আইসক্রিম নিয়ে কোন বিজ্ঞাপন।

১৮৪৩ সালে এসে ন্যান্সি এম. জনসন (১৭৯৫-১৮৯০) আবিষ্কার করেন হ্যান্ড-আইসক্রিম তৈরি করার মেশিন।

এই মেশিনের মূল নকশাটি এখনও আধুনিক আইসক্রিম তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

ঐ যন্ত্রটির সাহায্যে ঘরে বসে খুব সহজেই আইসক্রিম বানানো যেত।

ন্যান্সি ১৮৪৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মেশিনটি পেটেন্ট করেন।

১৮৫০ সালে কার্লো গাতি (১৮১৭-১৮৭৮) পেনি আইস বিক্রি করতে আরম্ভ করেন।

গাতি আইসক্রিমের গাড়িকে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলেন।

আরো পড়ুন: টমেটো সস্ এবং টমেটো ক্যাচাপের মধ্যে পার্থক্য উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন কত হওয়া প্রয়োজন? নিশাচর প্রাণী হিসেবে পরিচিত পেঁচা পাখি

এরমাধ্যমে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যায় বিভিন্ন আইসক্রিম।

সর্বপ্রথম বিপুল পরিমাণে আইসক্রিম তৈরি করেন ১৮৫১ সালে মেরিল্যান্ডের জ্যাকব ফুসেল তার নিজস্ব কারখানায়।

উসবিংশ শতক:

উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এসে আইসক্রিমের সহজলভ্যতা তুঙ্গে চলে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যোদ্ধাদের কাছে আইসক্রিম একটি ভোজ্য মনোবলের প্রতীক হিসেবে ধরা দেয়।

১৯৪৫ সালে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের নাবিকদের জন্য প্রথম ভাসমান আইসক্রিম পার্লার সৃষ্টি করা হয়।

যুদ্ধ শেষে দুগ্ধজাত পণ্যের রেশন প্রত্যাহার করা হয় এবং আমেরিকানরা আইসক্রিম দিয়ে তাদের বিজয়োৎসব উৎযাপন করে

১৯৪০-১৯৭০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আইসক্রিম উৎপাদন প্রায় সমহারে অব্যাহত ছিলো।

বিভিন্ন সুপার মার্কেট এবং আইসক্রিম পার্লারগুলোয় আইসক্রিম বিক্রি হওয়া আরম্ভ হলো।

ধীরে ধীরে মিষ্টি ডেজার্টের চাহিদা বাড়তে থাকে। আর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে বিভিন্ন ফ্লেভার ও লুক।

একটা সময় আইসক্রিম এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠলো যে ১৯৮৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোলান্ড রেগন পুরো জুলাই মাসকেই ‘ন্যাশনাল আইসক্রিম মান্থ’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

বিংশ শতক এবং আধুনিক কাল:

বর্তমান সময়ে এসে আইসক্রিম অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাদ্য। বিভিন্ন স্বাদের ও বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিমের রাজত্ব চলছে বিশ্বব্যাপী।

এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রয়েছে নিজস্ব নামিদামি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম।

পাশ্চাত্যের বিভিন্ন আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় মূলত আইসক্রিমের ফ্লেভারের সংখ্যা নিয়ে।

এই যেমন হাওয়ার্ড জন্সন যদি তৈরি করে ২৮ রকম ফ্লেভার, তাহলে বাসকিন রবিন্স তৈরি করবে ৩১ রকমের ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভার।

মধ্য-পশ্চিম আমেরিকায় ‘ব্লু-মুন’ নামক নীল রঙের একধরনের আইসক্রিম রয়েছ যেটি সেখানে ভিষণ জনপ্রিয়।

১৯১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আইসক্রিম সন্ধান পেয়েছিল সারা বিশ্বে সবমিলিয়ে ৪০০ রকমের আইসক্রিমের অস্তিত্ত্ব রয়েছে।

এই সমীক্ষার প্রায় ১০০ বছর পার হয়ে গেছে। এখন, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৫০০০ হাজারেরও বেশি রকমের আইসক্রিম পাওয়া গেলেও মনে হয় অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।

আইসক্রিমের মধ্যে একটি ফিল গুড ব্যাপার রয়েছে। ভাল কিংবা মন্দ সময়, পার্টি কিংবা অনুষ্ঠানে, পরীক্ষায় পাশ বা ফেল যাই হোক না কেন সুস্বাদু আইসক্রিমে এক কামড় যেন সব ভুলিয়ে দেই নিমিষেই।

পুরো বাংলাদেশেও এমন কাউকেই হয়তো পাওয়া যাবে না যার আইসক্রিমের নাম শুনলে মুখ ভার হয়ে যায় না।

চকোলেটের মতই আইসক্রিমের মধ্যেও যেন জাদুকরী ক্ষমতা আছে মন ভাল করে দেওয়ার।

এটি এমন এক লোভনীয় খাবার যে পৃথিবীর অনেক ঠাণ্ডা প্রধান দেশেও আইসক্রিমের জয় জয়কারের কোন কমতি নেই।

মাঝে মাঝে দেখা যায় বড়রা ছোটদের ঠাণ্ডা লাগার ভয় আবার দাঁত নষ্ট হওয়ার অজুহাতে দেখিয়ে আইসক্রিম খেতে নিষেধ করেন।

কিন্তু ব্যাপারটা যখন লোভনীয় আইসক্রিম এর সঙ্গে তখন সেনিষেধ আমরা কখনো মান্য করেছি কিনা তা আমাদের কাছে আজও ধুসর।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন