লিপস্টিক কীভাবে তৈরি হয় এবং এর ইতিহাস

লিপস্টিক কীভাবে তৈরি হয় এবং এর ইতিহাস
লিপস্টিক কীভাবে তৈরি হয় এবং এর ইতিহাস

লিপস্টিক শব্দটার সঙ্গে কারই বা পরিচয় নেই। বিভিন্ন রকম প্রসাধনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রসাধনী হচ্ছে এই লিপস্টিক।

বলা হয়ে থাকে, আগেকার দিনে রাজকীয় এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হত লিপস্টিক। আর তাই তখনকার রাণী বা সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন।

তবে বর্তমান সময়ে কমবেশি সব নারীই লিপস্টিক ব্যবহার করছে।

মুখ মন্ডলের সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলতে মেয়েদের কাছে অন্যান্য প্রসাধনীর তুলনায় লিপস্টিকের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি।

কিন্তু প্রাচীন সময়ও কি এই লিপস্টিক এমনই ছিল? না।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ ঠোঁট রাঙাতে ব্যবহার করে আসছে বীট, বেরি বা জাম জাতীয় ফল, লাল সীসা, মাটি, মেহেদি, বিভিন্ন পোকামাকড়, গাছ-গাছড়া, ফুল-ফল কিংবা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ।

আসুন জেনে নিই লিপস্টিকের ইতিহাস এবং কীভাবে এটি তৈরি করা হয় সে সম্পর্কে।

লিপস্টিক তৈরির ইতিহাস:

ইংরেজিতে একে Lipstick বললেও বাংলায় এর অর্থ ওষ্ঠরঞ্জনী।

প্রাচীনকাল:

প্রাচীনকালে মানুষ বিভিন্ন রকম ছবি আঁকতো। এই সব ছবি তারা বিভিন্ন রং দিয়ে রাঙাত।

আর এই চিন্তাধারা থেকেই ঠোঁটে রং দেওয়ার ধারণা জন্মে।

ইতিহাস বলছে, প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন সুমেরিয়ান অধিবাসীরা পাথর ভেঙে এর থেকে প্রাপ্ত এক ধরণের চিকচিক করা পদার্থ চোখ এবং ঠোঁটে লাগাত।

প্রাচীন সময় প্রসাধনী সামগ্রী হিসেবে লিপস্টিকের শৈল্পিক ব্যবহার করতে দেখা যায় মেসোপটেমিয়ার ইন্দু উপত্যকা প্রদেশ এবং মিশরে।

মেসোপটেমিয়ানরা রত্নচূর্ণ ব্যবহার করত ঠোঁট রাঙাতে।

আর মিশরীয়রা নোপল নামক একধরণের ক্যাকটাস জাতীয় গাছে বাসা বাধা কোসিনিয়াল নামক পতঙ্গকে গুঁড়ো করে তাতে পানি মিশিয়ে কারমাইন রঙ তৈরি করতো।

চমৎকার নজরকারা এই মেরুন রঙের প্রাকৃতিক তরল  ঠোঁটে এনে দিত রাজকীয় সৌন্দর্য্য।

এছাড়াও তারা লজিন, আয়োডিন ও ব্রোমিনের পরিমাণমত সংমিশ্রণের মাধ্যমে লাল রং তৈরি করে ব্যবহার করত।

প্রায় ১ হাজার বছর আগে চায়নারা ফুলের রঙ দিয়ে নিজেদের ঠোঁট রাঙাত।

লিপস্টিকের বিবর্তনের ইতিহাসে ফারাও রানি ক্লিওপেট্রার নামও আসে প্রথম থেকেই। এর কারণ তিনি গাঢ় লাল রঙ ব্যবহার করতেন তার ঠোঁট রাঙাতে।

তবে তখনো লিপস্টিক নামটি প্রচলিত ছিল না।

সলিড লিপস্টিক আবিষ্কার:

৮ থেকে ১৩ শতকে লিপস্টিকগুলো সলিড আকার ধারণ করে।

পাউডার কিংবা তরল পদার্থ দিয়ে ঠোট রাঙানোর বদলে কঠিন পদার্থ দিয়ে ঠোঁট রাঙানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন আরবীয় চিকিৎসক আবুল কাজিজ।

শরীরে সুগন্ধী মাখার জন্য ব্যবহৃত উপাদানে রং মিশ্রণ করে সর্বপ্রথম সলিড লিপস্টিক আবিষ্কার করেন তিনি।

সেসময়কার নারীদের সচরাচরই বেগুনি কিংবা কমলা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে দেখা যেত বলে জানা যায়।

ষোড়শ শতাব্দি:

লিপস্টিকের ধারণা পুরোপুরি স্পষ্ট হয় ১৬ শতকে।

সময়টি ছিল রাণী প্রথম এলিজাবেথ এর সময়কার। তিনি বিভিন্ন রকম প্রসাধনীর প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট ছিলেন। ঠোঁট রাঙাতেন লাল রঙ দিয়ে।

সেসময় কোসিনিয়ালের কারমাইন রঙের সঙে শ্বেতস্ফটিক মিশ্রণ করে তৈরি করা হতো অন্য একধরনের লিপস্টিক। যেটি শক্ত করার জন্য রঙিন কাগজে মুড়িয়ে রোদের তাপে শুকাতে দেওয়া হতো।

সপ্তদশ শতাব্দি:

১৬৫৬ সালে ফ্রাঁসোয়া জ্যাকুইন নামক এক জপমালা বা তসবিহ কারিগর ঘটালেন এক যুগান্তকারী ঘটনা। তিনি আবিষ্কার করেন মাছের আঁশ থেকে কৃত্রিম মুক্তার নির্যাস।

যা ত্রিস্টালাইন গুয়ানাইন নামে পরিচিত। বর্তমান কালের আধুনিক সব প্রসাধনীতে এটি সিনথেটিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এর মাধ্যমে প্রসাধনীতে একটি স্বচ্ছ,উজ্জ্বল আর চকচকে আভা প্রকাশ পায়।

লিপস্টিকের শক্ত পদার্থে নির্যাসের ব্যবহার একে এক অন্যন্য রূপে পরিণত করে।

অষ্টাদশ শতাব্দি:

অষ্টাদশ শতাব্দিতে এসে মানুষের ঠোঁটে জায়গা করে নিতে থাকে হালকা রঙের লিপস্টিক।

আর এসময়ে মোম, বিভিন্ন প্রাণীর অস্থি-মজ্জা এবং স্বর্ণপাতা কে ঠোঁট রাঙা করার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার প্রচলন শুরু হলো।

উনবিংশ শতাব্দি এবং আধুনিক লিপস্টিক:

উনবিংশ শতাব্দিতে এসে প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যপক উন্নতি সাধন হতে থাকে। এসময় বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন প্রসাধনী উৎপাদন হওয়া শুরু হয়।

তবে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিপস্টিক উৎপাদন হয় উনবিংশ শতাব্দির একেবারে শেষের দিকে। এই উৎপাদনের কৃতিত্ব অবশ্য ফ্রান্সের।

১৮৮০ সালে প্যারিসের সুগন্ধী শিল্পে সৃস্টি হলো বাণিজ্যিক ভাবে লিপস্টিক তৈরি হওয়া।

১৮৯০ সালের শেষ দিকে কাগজের কৌটা বা টিউব আকারে লিপস্টিক বিক্রি হতে শুরু করে।

উনবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে লিপস্টিকের ব্যবহার শুধু মঞ্চ অভিনেত্রীদের কাছেই হতে থাকে।

১৯১৪ সালের দিকে সিনেমা শিল্পে ব্যবহারের জন্য সর্বপ্রথম প্রসাধনী উৎপাদন শুরু হয়।

১৯১৫ সালে মরিস লেভি সর্বপ্রথম ধাতব কৌটায় সংরক্ষিত লিপস্টিক তৈরি করলেন। যা ঠেলে উপরে তোলা যায়।

এর মাধ্যমেই আধুনিক লিপস্টিকে পদার্পণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়।

আর ১৯২৩ সালে সর্বপ্রথম সুইভেল-আপ নামক লিপস্টিক ব্র্যান্ডের উদ্ভব হয়।

আরো পড়ুন:
গাছের চেরীফল থেকে কীভাবে কফি উৎপাদন করা হয়
ইতিহাসের পাতায় ঘটে যাওয়া অদ্ভুত কিছু ঘটনা
টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ইতিহাস – বিভিন্ন ধরনের টেলিস্কোপ

আমেরিকান নাগরিক ন্যাশভিলের জেমস ব্রুস জুনিয়র এই সুইভেল-আপ লিপস্টিকটি উদ্ভাবন করেন।

এই লিপস্টিকই হলো সেই লিপস্টিক, যা আজও আমরা  ‘আধুনিক লিপস্টিক’ বলে জানি।

বিংশ শতাব্দি:

বিশের দশকে এসে লিপস্টিক এর প্রচলন ব্যাপক হারে বেড়ে গেল। সম্ভ্রান্ত থেকে শুরু করে সাধারণ নারী সকলেই লিপস্টিক ব্যবহার করতে শুরু করলো।

এসময় থেকে গাঢ় লালচে বেগুনি, বেগুনি, টকটকে লাল, গাঢ় লাল এবং বাদামি রঙ ছিল হাল ফ্যাশনে থাকা বহুল ব্যবহৃত লিপস্টিকের শেড।

এরই মধ্যে লিপস্টিক অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে চহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ব্যাপক উৎপাদন হয় এবং একইসঙ্গে স্বল্প মূল্যের হয়ে ওঠে।

একবিংশ শতাব্দি:

এভাবেই বহু ধাপ পেরিয়ে একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমরা ব্যবহার করছি উচ্চমানের আধুনিক ক্যামিক্যাল ফর্মূলার বিভিন্ন ব্রান্ড, রঙ, শ্যাড এবং দামের লিপস্টিক।

কীভাবে লিপস্টিক তৈরি করা হয়?

লিপস্টিকের ইতিহাস সম্পর্কে তো অনেক জানলাম। চলুন এবার জেনে আসি লিপস্টিক কীভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে-

লিপস্টিক তৈরি করতে মূলত চারটি উপাদান ব্যবহার করা হয়। এগুলো হচ্ছে মোম, তেল, রঞ্জক এবং অ্যালকোহল

লিপস্টিকে দেওয়া মোম ও তেলের অনুপাত- রঞ্জক পদার্থ  এবং অ্যালকোহলের অনুপাতের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

  • প্রথমে তেল, মোম এবং অ্যালকোহল এই তিনটি মৌলিক উপাদান গলানো হয়। এবং এগুলোকে একত্রে মিশ্রণ করে লিপস্টিকের বেস তৈরি করা হয়।

  • এরপর সেই গলিত বেজে পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ যুক্ত করা হয়। একেকটি রঙ এবং শেডের জন্য বিভিন্ন পরিমাণে রঞ্জক ব্যবহার করা হয়।

এই রঞ্জকগুলো তরল বা পাউডার যেকোন ধরণেরই হতে পারে।

  • মিশ্রণ টি কোমল হওয়ার জন্য এবং যাতে দলা পাকিয়ে না থাকে একারণে একটি রোলার মেশিন দ্বারা একে ভাল ভাবে রোলিং করা হয়।

রোলার মেশিন মিশ্রণ থেকে অতিরিক্ত তেল বের করে ফেলে।

যেকারণে রোলিং মাধ্যমে মিশ্রণটি সামান্য কঠিন আকার ধারণ করে। আর একইসঙ্গে একটি স্মুদ টেক্সচারে পরিণত হয়।

যেটি ঠোঁট রাঙানোর পাশাপাশি ঠোঁটের কোমলতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • এরপর সম্পূর্ণ মিশ্রণটি বড় একটি পাত্রে ঢালা হয়। যেখান থেকে এগুলোকে ছোট ছোট ব্যাচে বিভক্ত করা হয়।

  • এরপর মিশ্রনটি আবার গলানো হয় এবং এতে সুগন্ধী মেশানো হয়।

  • তারপর গলিত দ্রব্য একটি ধাতব ছাঁচে ঢালা হয় যেটায়  লিপস্টিকের প্রকৃত আকার অনুযায়ী একসঙ্গে অনেকগুলো ফাঁকা স্টিক থেকে থাকে।

    মোল্ড বা ছাঁচে ঢেলে লিপস্টিকের প্রকৃত আকার দেওয়া হয়
    মোল্ড বা ছাঁচে ঢেলে লিপস্টিকের প্রকৃত আকার দেওয়া হয়
  • এবার এগুলো জমাট বাধা এবং শক্ত হওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখার পালা। রেফ্রিজারেটরে ৫ মিনিটের জন্য লিপস্টিক মোল্ড বা ছাঁচটি রাখা হয়।

  • শক্ত হয়ে গেলে লিপস্টিকগুলো ছাঁচ থেকে বের করা হয় এবং বিভিন্ন আকারের লিপস্টিক-হোল্ডার বা খাপে রাখা হয়।

এভাবেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিগুলোয় লিপস্টিক তৈরি করা হয়। এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নারীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে বাজারে বিভিন্ন রকম লিপস্টিক পাওয়া যায়। যেমন-

 -উজ্জ্বলতা দেওয়া Shiny Lipstick

 -আর্দ্র বা Soft Moisture Lipstick

 -শুষ্ক – Matte Lipstisck

 -ক্রিম – Creamy Lipstick

 – গ্লসি – Gloss Lipstick

 – দীর্ঘস্থায়ী – Long Lasting Lipstick

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক:

বর্তমানে বাজারে বিভন্ন নামের, রঙের, শ্যাডের, ফ্লেভারের এবং বিভিন্ন মূল্যের লিপস্টিক পাওয়া যায়।

বিশ্বের নানা ধরণের লিপস্টিকের ব্র্যান্ডের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ড হচ্ছে-

লরিয়্যাল (Loreal),

জরডানা (Jordana),

ল্যাকমি (Lakme),

গোল্ডেন রোজ (Golden Rose),

রেভলন (Revlon),

নিওর (Nior),

রিভাজ (Rivaj),

লোটাস (Lotus),

ডেভিস (Davis),

জ্যাকলিন (Jackeline) ইত্যাদি।

আর বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কোম্পানি হচ্ছে-

ম্যাক (MAC),

মুয়া (MUA),

রিভাইভার লিপস্টিক (REVIVER),

লা ফেমে (LA FEMME) ইত্যাদি।

ব্র্যান্ডভেদে এসব লিপস্টিকের দাম ও গুণগত মানের তারতম্য হয়ে থাকে।

লিপস্টিক ব্যবহারের উপকারিতা:

লিপস্টিক যে শুধুমাত্র ঠোঁট বা মুখের সৌন্দর্য্যই বাড়ায়, তা কিন্তু নয় বরং ঠোঁট আর্দ্র এবং নরম রাখতেও লিপস্টিক খুব সাহায্য করে।

ক্রিম লিপস্টিক, আর্দ্র লিপস্টিক কিংবা গ্লসি লিপস্টিক ঠোঁটকে নরম রাখতে এবং ফাটল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

যদিও তা হতে হবে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের। ভাল ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের ব্যবহারে ঠোঁটকে ভালো রাখা যায়।

যার মধ্যে আবার কিছু কিছু লিপস্টিক সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও আমাদের ঠোঁটকে রক্ষা করে।

লিপস্টিকের অপকারিতা:

প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। ঠিক তেমনই লিপস্টিকও এর ব্যতিক্রম নয়।

অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহারে ঠোঁটের লোমকূপ ছোট হয়ে যেতে পারে, যেটি ঠোঁটের চামড়ার নমনীয়তা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

অনেক সময় এটি ঠোঁটকে শুষ্ক করে ফেলে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঠোঁট তার নিজস্ব রঙ এবং স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে।

একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, লিপস্টিকে যেসকল ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ব্যবহৃত হয়, সেগুলি অত্যন্ত বিপদজনক রোগ এবং শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

এছাড়াও কিছু কিছু লিপস্টিকে সীসা ব্যবহার করা হয়, যেগুলো স্নায়ুতন্ত্রের বিরাট ক্ষতিসাধন করতে পারে।

সবশেষ, নিজের ঠোঁটের ধরন অনুসারে এটির সঠিক ব্যবহার করাটাই উত্তম। সব ধরনের ঠোঁটের জন্য একইরকম লিপস্টিকের ব্যবহার উপযুক্ত নয়।

একারণে সচেতনতার সাথে লিপস্টিক বাছাই করুন এবং ধরন, সময়হয়ে ওঠে ও পরিহিত কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার পছন্দমতো শেডের লিপস্টিক কিনুন।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন