হয়তো আমার মত অনেকেই রয়েছেন যাদের কাছে ইতিহাস বিষয়টি খানিকটা বিরক্তিকর মনে হতে পারে, তবে আমাদের পৃথিবীতে অতীতে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা হয়তো আপনাকে কিছুটা হলেও অবাক করে ছাড়বে।
আজ আমরা জানতে চলেছি ইতিহাসের পাতায় ঘটে যাওয়া এমনি কিছু অদ্ভুত ঘটনা সম্পর্কে।
গ্যেম অফ ডেথ মুভি–
হলিউড সুপারস্টার ব্রুসলিকে আমরা হয়তো কম বেশি সবাই চিনি।
যিনি একাধারে মার্শালাট ইন্সটারক্টর, একটর, ডিরেক্টর এবং আধুনিক মার্শালাটের অন্যতম কারিগর ছিলেন।
কিন্তু মাত্র ৩২ বছর বয়সে তার জীবনের শেষ মুভি গ্যাম অফ ড্যাথ করা অবস্থায় ব্রুসলি তার ব্রেইন ইডেমা ডিজিসে ভুগে মারা যান।
এর ২০ বছর পরে গ্যাম অফ ড্যাথ মুভির কাজ পুণরায় চালু করা হয়।
যেখানে অভিনয় করতে নিয়োগ করা হয় ব্রুসলির ছেলেকে।
সেই মুভির শুটিং চলাকালীন অবস্থায় একটি দৃশ্যে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।
ছবির একটি সিনে ব্রুসলির ছেলেকে ফেক ভাবে গুলি করবার দৃশ্য ধারনের প্রস্তুতি নেয়া হয়।
তবে যখন ব্রুসলির ছেলের দিকে পিস্তল তাক করে গুলি করা হয়,
তখন শুটিং এর লোকজন সকলেই হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন তাদের দিকে।
কারণ শুটিং এ ব্রুস্লির ছেলে কে নকল পিস্তল দিয়ে গুলি করবার কথা বলা হলেও তাকে মূলত গুলি করা হয় আসল পিস্তল দিয়ে
যার ফলাফল-
ব্রুসলির মত তার ছেলেও গ্যাম অফ ড্যাথ মুভি করতে গিয়ে মারা যান।
দ্যা ২৭ ক্লাব –
১৯ শতকে বিশ্ব জুড়ে অনেকটাই জনপ্রিয় ছিল দ্যা ২৭ ক্লাব ব্যান্ড।
কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে এই ব্যান্ডের চার জন সদস্যের মৃত্যু ঘটে মাত্র ২৭ বছর বয়সে।
দ্যা ২৭ ক্লাব ব্যান্ড
পুলিশ ইনভেস্টিকেশনে উঠে আসে এই চার জনের মধ্যে তিন জন অতিরিক্ত মাদক সেবন এবং এক জন সুইসাইড করে ২৭ বছর বয়সে মারা যান।
সেসময়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন হয়তো ব্যান্ডের নামকে আরো স্মরনীয় করে রাখতে তারা এমনটা করছেন।
কিন্তু যখন দেখা যায় একে একে সেই ব্যান্ডের চার জন সদস্য ২৭ বছরে মারা যান ঠিক তখনি সকলে নরে-চরে বসেন।
অন্তত আর যাই হোক সুস্থ মস্তিস্কে কেও এমনটা করতে পারেনা।
লাকিস্ট ম্যান অন আর্থ –
আপনি হয়তো ইতিহাসের পাতায় অনেক ধরনের ভাগ্যবান মানুষের কথা শুনেছেন,
কিন্তু এখন আপনি যার সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছেন
তার ভাগ্য হয়তো অন্য যেকোন মানুষের চাইতে অনেকটাই সহায়ক।
কথা বলছি জাপানের নাগরিক সুতোমু ইয়ামা গুচি সম্পর্কে।
যিনি জাপানের বুকে বিস্ফোরিত হওয়া দুটি এটোমিক বোমায় আহত হয়েও জীবিত ছিলেন।
ইতিহাসের পাতায় দুই দুই বার এটোমিক বোমার হাত থেকে বেঁচে ফেরা সুতোমু ইয়ামা গুচি
৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে ইয়ামা গুচিতার একটি ব্যাবসয়িক কাজে হিরোশিমায় যান।
যেদিন জাপানের হিরোশিমার বুকে আমেরিকান বাহিনী এটমিক বোমা বিস্ফোরিত করে।