সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছে নাসার ‘পার্সিভেরেন্স’ রোভার

সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছে নাসার ‘পার্সিভেরেন্স’ রোভার
সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছে নাসার ‘পার্সিভেরেন্স’ রোভার

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কর্তৃক প্রেরিত নতুন রোবট ‘পার্সিভেরেন্স’ সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছে।

মঙ্গলে নিরক্ষরেখার কাছাকাছি জেজিরো নামক বিশেষ একটি খাদে রোবটটি সফলভাবে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে নাসা।

রোবটটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার খবর নিশ্চিত হবার পর বাধভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মিশন কন্ট্রোলের সকল প্রকৌশলীরা।

এই মিশনের উপ–প্রকল্প ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস জানান, ‘সুখবর হচ্ছে, ওই রোবট বহনকারী নভোযানটি এর স্বাভাবিক আকৃতিতেই রয়েছে। কোনরুপ পরিবর্তন হয়নি।’

৬ চাকার রোবটটি আগামী দুবছরের জন্য মঙ্গলে পাঠানো হয়েছে।

গ্রহটিতে পূর্বে কখনো কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না- পাথুরে ভূমিতে খননকার্য চালিয়ে সে সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা চালাবে নভোযানটি।

যে বিশেষ খাদে রোবট অধ্যবসায় যুক্ত নভোযানটি অবতরণ করেছে, শত শত কোটি বছর আগে সেই জেজিরোতে একটি বিরাট হ্রদ ছিল বলে ধারণা করা হয়।

এমনকি এও ধারণা করা হয়ে থাকে, সেখানে পানি ও প্রাণেরও সম্ভাব্য অস্তিত্ব ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে (জিএমটি ২০টা ৫৫মিনিট) পার্সিভেরেন্স ওরফে অধ্যবসায় মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণের প্রথম সংকেত পান নাসার প্রকৌশলীরা।

পরে নাসার প্রকৌশলীদের কাছে মঙ্গলের ভূমির প্রথম দুটি ছবি তুলে পাঠায় রোবটটি।

যেগুলো ছিল কম রেজল্যুশনের ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যামেরায় তোলা ছবি।

আরো পড়ুন:
মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো এখন পর্যন্ত নাসার রোভার সমুহ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ - ফাস্ট টেলিস্কোপ

ক্যামেরার লেন্সে মঙ্গলের ধুলার আবরণও পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে অধ্যবসায় প্রেরিত সেই ছবিতে এই রোভারের সামনে–পেছনে মোটামুটি পরিষ্কারভাবেই সমতল ভূমির দৃশ্য দেখা সম্ভব হয়।

সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করার অভিযানের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্টিভ জার্কজিক।

মঙ্গলে রোবটের  সফলভাবে এ অবতরণ কখনোই খুব সহজ অভিযান ছিল না।

মহাকাশ অভিযানে নাসার বিশেষ অভিজ্ঞতা–দক্ষতা থাকলেও পার্সিভেরেন্স টিমের সকল সদস্যগণ গতকাল পর্যন্ত এ অভিযানের সফলতার ব্যাপারে বড় রকমের সতর্কতা প্রকাশ করছিলেন।

এ অভিযানের মাধ্যমে নাসা মঙ্গল গ্রহে ১ টন ওজনের ২য় রোভার পাঠাল।

এর আগে আরও একবার ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো রোভার ‘কিউরিসিটি’কে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হয়।

সেটি এ গ্রহের পৃথক অন্য আরেকটি খাদে নেমেছিল।

মঙ্গলে হেলিকপ্টার চালানো সক্ষম হবে কি না, তার পরীক্ষাও চালানো হবে এবারের অভিযানে।

এ লক্ষ্য পূরণে এবারের রোবট অধ্যবসায় এর সঙ্গে একটি ছোট আকারের হেলিকপ্টার সংযুক্ত করা হয়।

এটি উড্ডয়ন প্রচেষ্টা সম্ভব হলে তা হবে পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন কোনো গ্রহে প্রথমবারের মতো ‘রাইট ব্রাদার্স’–এর মুহূর্ত উপভোগ করার মতো একটি ঘটনা।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন