পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের হয়েনা রয়েছে। তুরস্ক, ইরান এবং ভারতীয় উপমহাদেশ এবং উত্তর আফ্রিকার হায়েনার দেহে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েনার দেহ পিঙ্গল বর্ণের।
বৈশিষ্ট্য:
হায়েনা এতই ভয়ঙ্কর যে এরা একত্রে দলবদ্ধ হয়ে বাঘ সিংহকে পর্যন্ত কুপোকাত করে ফেলে।
ছোট হলেও হিংস্রতায় সব থেকে বড় প্রাণী হয়েনা। হিংস্রতায় সিংহের পরেই হায়েনার স্থান।
আফ্রিকায় হিংস্র প্রাণীর তালিকায় এদের স্থান দ্বিতীয়।
একটি হায়েনা ঘন্টায় প্রায় ৬৪ কিমি বেগে ছুটে চলে।
এরা এতটা হিংস্র শিকারের সময় শিকারিকে জীবিত অবস্থাতেই শরীরে কামড় দিয়ে মাংস খেতে শুরু করে। অন্যান্য প্রাণীরা আগে শিকারের মাধ্যমে শিকারী কে মেরে ফেলে, তারপর খায়। কিন্তু হায়েনার ক্ষেত্রে তা একেবারেই নয়।
হায়েনাই একমাত্র শিকারী প্রাণী যারা শিকারের চামড়া পর্যন্ত খেয়ে ফেলে।
হায়েনার শরীর বিশ্রী গন্ধময়। যা মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।
হায়েনা সাধারণত নিশাচর। তবে এরা দিন-রাত সবসময় কর্মক্ষম থাকে। রাতেও শিকার করে।
রাতে এটি প্রায় পাগলের মত চিৎকার করে। যা শুনে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়।
হায়েনারা খুবই সাহসী প্রাণী। এদের চোয়াল এবং থাবা শক্তিশালী।
হায়েনাদের সমাজ মাতৃতান্ত্রিক সমাজ। একটি মাদি হায়েনার নেতৃত্বে এদের একেকটি দলে প্রায় ৮০ জন করে হায়েনা রয়েছে।
শিকার করার পরে একসঙ্গে সব হায়েনারা জড়ো হলে, সবাই সবাইকে অভিনন্দন জানায়।
হায়েনা যখন হাসে:
সব প্রজাতির হায়েনা হাসে না। শুধুমাত্র ডোরাকাটা হায়েনা হসে।
তাদের হাসির শব্দ এতটাই বিকট যে শুনলে মনে হবে তারা একে অপরের সাথে দ্বন্দে লিপ্ত আছে।
এরা হাসতে হাসতেই শিকার করে এবং খুব নির্মম ভাবে শিকার করে।
প্রকৃতির সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী হায়েনা, এটা ঠিক। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষ আরও বেশি হিংস্র। যার কারণে মানুষের আগ্রাসনে এই প্রাণটি আজ বিলুপ্তির পথে।
বর্তমানে হায়েনাদের অবস্থান ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুমাত্র ছবি আর ভিডিও তেই হায়েনার অস্তিত্যের খোঁজ পাবে।