চুলপড়া রোধে আমাদের করনীয় এবং এটি প্রতিরোধের প্রাকৃতিক কিছু উপায় – চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ। চুল প্রতিটি মানুষকেই আরো সৌন্দর্যের অধিকারি করে তুলতে সহায়তা করে থাকে।
চুলপড়া রোধে অনেকেই চুলের যত্ন বিভিন্ন ভাবে করে থাকেন। তবে যাদের চুল পরে তারা চুল নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকেন। যাদরে মাথায় চুল কম তারা ও অনেক চিন্তায় থকেন। তাই চুলের সমস্যা সমাধানেরজন্য কিছু টিপ্স তুলে ধরলাম।
চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ –
গরম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পরে ধীরে ধীরে আপনার আঙ্গুলের দ্বারা মাথার খুলিতে ম্যাসেজ করুন। এই ম্যাসেজ চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শিকড়ে শক্তি বাড়ায় ও চুল পড়া রোধ করে।
পেঁয়াজ রস –
পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে। পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
নিমপাতা –
নিমপাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। তেমনি এই চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা গরম পানিতে দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেক অংশে কমে গেছে।
আমলকি –
চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি’র অভাব। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুলপড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
সবুজ চা –
সবুজ চায়ে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে দুই ব্যাগ চা মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
এছারাও আপনার চুলপড়া রোধে আরো যেসকল কাজ করতে পারেন তার মধ্যে চুল পড়া কমাতে মাছ, মাংস, সয়ার মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এবং চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এবং চুল নিয়মিত পরিস্কার রাখুন। আসা করি এই সকল বিষয় গুল আপনার চুলপড়া রোধে অনেকটাই কার্যকরি হবে।
আরো পড়ুন –
পাঁচ কৌশলে – বৃদ্ধি করুন আপনার বুদ্ধি