কৃত্রিমভাবে আবহাওয়া বদল এর কর্মকান্ড অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছিল এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন। এখন এই কর্মযজ্ঞের আরও বিস্তার ঘটাতে যাচ্ছে চীন।
ওয়েদার মডিফিকেশন তথা কৃত্রিমভাবে আবহাওয়া বদল করে ফেলার কর্মকান্ডের পর ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বড় একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন।
এই সপ্তাহেই পরিকল্পনাটির প্রকল্পের কথা ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। একত্রে প্রায় ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার অথবা ২১ লাখ বর্গমাইল এলাকার আবহাওয়া বদলে দিতে পারবে বলে দাবি চীনের।
ভূখণ্ড হিসেবে এ পরিমাপ ভারত থেকে দেড় গুণ আর বাংলাদেশের প্রায় ৩৮ গুণ অধিক।
চীনের স্টেট কাউন্সিলের কর্তৃক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ভিতর একটি উন্নত ওয়েদার মডিফিকেশন সিস্টেম গড়ে তুলতে সক্ষম হবে চীন।
এজন্য এখন তাদের হাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছে চীন স্টেট কাউন্সিল।
কৃত্রিমভাবে আবহাওয়া বদল এর ফলে বিশাল এ এলাকায় ইচ্ছেমতো বৃষ্টি ও তুষারপাত ঘটাতে পারবে চীন।
যারফলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাড়বে কৃষি উৎপাদন, সহজেই কমানো যাবে দাবানল। এছাড়াও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে উচ্চ অথবা অতিরিক্ত নিন্ম তাপমাত্রা এবং খরার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলো।
পূর্বেও এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছিল চীন। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকের সময় পরিষ্কার ছিল ছিল চীনের আকাশ। এর পিছনে বিজ্ঞানীদেরেই সফলতা ছিল।
কনসেপ্ট হিসেবে বেশ কয়েক দশক যাবৎ ক্লাউড সিডিং প্রচলিত। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মেঘের মধ্যে স্বল্প পরিমাণে সিলভার আয়োডাউড ইনজেক্ট করা হয়।
যার ফলে মেঘের মধ্যে বিদ্যমান বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি রূপে নামে। একটি মার্কিন গবেষণা সংস্থ্যা দাবি করছে, ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের উষ্ণায়নও কমানো সম্ভব।
কিন্তু চীনই প্রথম এত ব্যাপক পরিসরে ক্লাউড সিডিং করার কথা পরিকল্পনা করেছে। এর আগে কেউ চীনের মতো একথা কথা ভাবেওনি।
চীন জানাচ্ছে, তাদের হাতে রয়েছে স্টেট অব দ্য আর্ট প্রযুক্তি, তাই তারা পুরনো হাস্যকর পদ্ধতি প্রয়োগ করবে না। ।
কিন্ত যে ক্লাউড সেডিং নিয়ে এত কিছু তা আসলে কি? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বৃষ্টিকে সর্বকালেই প্রকৃতির এক দান হিসেবে মেনে আসছে মানুষ। অর্থাৎ মনুষ্যকূলের বৃষ্টির ওপরে কোনোরূপ নিয়ন্ত্রণ নেই।
তবে এমন একটা সময় আসবে যখন এই বৃষ্টি মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যখন খুশি বৃষ্টি পাওয়া যাবে, আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বিরক্ত লাগলে চাইলে সেটাও রোধ করতে পারবে। আর এই সিস্টেমটিই হল ক্লাউড সিডিং।
আকাশে ভাসতে থাকা বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলোকে জোরপূর্বক সিস্টেমেটিক উপায়ে মাটিতে নামিয়ে আনার কৌশলই হল মূলত কৃত্রিম বৃষ্টিপাত।
১৯৪৬ সালে ভিনসেন্ট সেইফার সর্বপ্রথম কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সৃষ্টির মূলনীতি উদ্ভাবন করেন। এবং একই বছরের ১৩ নভেম্বর অন্য এক নোবেলবিজয়ী বিজ্ঞানী ল্যাংমুরকে সঙ্গী করে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে সফলতা লাভ করেন।
মূলত রেফ্রিজারেটরের মূলনীতি প্রয়োগের মাধ্যমেই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়।
বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলো বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘনীভবন। আর এই ঘনীভবনে ব্যবহার করা হয় ড্রাই আইস অথবা সিলভার আয়োডাইড যৌগ। ড্রাই আইসের তাপমাত্রা সাধারণত মাইনাস-৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।
ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে ভাসমান মেঘের উপর এ ড্রাই আইসের অথবা সিলভার আয়োডাইভ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলেই সেটা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পতিত হবে।
এই পদ্ধতি টি করা হয় এভাবে, বিমানে বা রকেটে করে মেঘের উপর ড্রাই আইস ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বর্তমানে মিসাইল পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয়।
বিশ্বের সব দেশ মিলিয়ে যতবার কৃত্রিমভাবে আবহাওয়া বদল করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে, চীন একাই তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বার ঘটিয়েছে।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ- ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক গেমস। খেলা চলাকালীন প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান আবহাওয়াবিদরা, কিন্তু চীন তা সামলে নিয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে আবহাওয়া বদল করে আকাশ পরিষ্কার রেখেছিল।
Thanks so much for providing individuals with a very wonderful opportunity to read critical reviews from this blog. It is always so brilliant and full of a great time for me personally and my office colleagues to visit your website particularly 3 times a week to study the fresh issues you have. And indeed, I am just always impressed with the impressive concepts served by you. Selected 3 points on this page are indeed the simplest I have had. Sabrina Leupold Ricca
How long exactly did it take to make the pasta dish? I al ayd worry about milk scalding in recipes like this Addie Wendel Profant
I have read so many posts about the blogger lovers but this article is genuinely a pleasant article, keep it up.| Karlie Rem Barden
Thanks so much for providing individuals with a very wonderful opportunity to read critical reviews from this blog. It is always so brilliant and full of a great time for me personally and my office colleagues to visit your website particularly 3 times a week to study the fresh issues you have. And indeed, I am just always impressed with the impressive concepts served by you. Selected 3 points on this page are indeed the simplest I have had. Sabrina Leupold Ricca
Hey very nice blog!