টিকটক অ্যাপ বাংলাদেশে কিভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো

টিকটক অ্যাপ বাংলাদেশে কিভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো
টিকটক অ্যাপ বাংলাদেশে কিভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো

বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় অ্যাপ হলো টিকটক।  সারা বিশ্বে প্রায় ৮০কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে।এখানে নিজের মেধা যেমন প্রদর্শন করা যায় তেমনি  বিজ্ঞাপনেরও মাধ্যম হয়ে উঠেছে টিকটক।

সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সংগীত্ শিল্পী থেকে রাজনীতিবীদ সবাই এখানে ভিডিও ম্যাকার। আর এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওগুলো দেখে লাখ লাখ মানুষ।

একজন টিকটক ভিউয়ার্স বলেন, সময় কাটানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম।

অন্য আরেকজন টিকটক অভিনেত্রীর মতে, অ্যাপটি তার স্ট্রেস, মানসিক চাপ ‍নির্মূল করতে সাহায্য করে। এবং নিজেকে ভিন্ন রুপে বা এ্যাঙ্গেলে দেখতে তার ভালই লাগে।

চীনা কোম্পানী “Bite Dance” ২০১৭ সাল এই অ্যাপটি চালু করে। এবং মাত্র তিন বছরেই এর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।

এরই মধ্যে প্লেস্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে প্রায় ২০ কোটি বার এটি ডাউনলোড হয়েছে।

টিকটক অ্যাপের এই ভিডিওগুলো মাত্র ১৫ সেকেন্ডের। আর এগুলো এডিটের জন্য টিকটকে রয়েছে হাজার ধরনের ইফেক্টস।

২০২০ সালে এই অ্যাপ বিশ্বজুড়ে ব্যবহার করছেন প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

তাই বিজ্ঞাপনের একটি বড় প্ল্যাটফরম হয়ে দাড়িয়েছে অ্যাপটি।

জনৈক টিকটক ব্যবহারকারী এবং একইসাথে একজন ব্যবসায়ী বলছেন, টিকটক কে তিনি দুইটি কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

১. নিজের মেধাকে তুলে ধরা।

২. তার ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপন করা।

কারণ টিকটকের ভিডিও করার সময় তিনি তার ব্যবসায়ের জিনিসপত্র ব্যবহার বা প্রদর্শনের চেষ্টা করেন। এবং তার ব্যবসায়ের নাম ও থাকছে।

তাই বিজ্ঞাপন ও মেধা প্রদর্শন দুই একইসাথে হয়ে যায়।

জনৈক টিকটক-ব্যবহারকারী বলছেন, যদি নিজেকে নিজে একজন ব্রান্ড হিসেবে তুলে ধরতে হয়, তাহলে টিকটক হচ্ছে এর অন্যতম এক মাধ্যম। যেখানে খু্ব শীঘ্রই টিকটক সেলিব্রেটি হওয়া সম্ভব।

তবে ভিষণ জনপ্রিয়তা এবং সুবিধা থাকলেও টিকটক নানা কুরুচিপূর্ণ ভিডিওর জন্য বেশ বিতর্কিতও।

আরো পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ যাদের সকলেই ভয় পায়
ব্ল্যাক ফ্রাইডে এবং থ্যাংকস গিভিং এর ইতিহাস

শুরু থেকেই একে নিষিদ্ধের কথা বলে আসছে আমেরিকার মত দেশ। গত জুন মাস থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এমনকি বাংলাদেশেও বেশ কিছুদিন টিকটক নিষিদ্ধ ছিল।

টিকটকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তথ্য চুড়ির। অবাধ স্বাধীনতার দেশ যুক্তরাষ্ট্রও নভেম্বর থেকে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে তা এখোনো কার্যকর হয়নি।

কিন্তু বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী টিকটকের কোন খারাপ কোন ব্যাপার, সমস্যা দেখছেন না। তার মতে,“কিছু কিছু খারাপ দৃষ্টান্ত রয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি ভাল কাজের দৃষ্টান্তও রয়েছে।

এই মুহুর্তে আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসে নি যা সমগ্র পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। তাদের কাছে খারাপ কিছু সম্পর্কে অভিযোগ করলে তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিযেছে।”

বর্তমানে টিকটক বেশ জনপ্রিয় অ্যাপ। তবে এর উপর বিরক্ত এমন মানুষের সংখ্যাও খুব কম নয়।

টিকটকে অশ্লীল কন্টেন্ট, প্রাপ্ত বয়স্কদের অ্যাপে শিশুদের অবাধ বিচরণ নিয়ে আপত্তি আছে অনেকেরই।

একজন টিকটকের হ্যাটার্সের মতে, বর্তমানে টিকটক একটি সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার হাতিয়ার।

তার ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া বোনের উদাহরণ টেনে তিনি বললেন, টিকটকের কারণে তার শিশুসুলভ আচরণে ব্যাঘাত হানছে। তার চাল-চলন বা অঙ্গ-ভঙ্গি কোনোটাই শিশুসুলভ নয়।

তবে টিকটকের কর্তৃপক্ষ তথ্য চুড়ির অভিযোগটি অবশ্য একেবারেই অস্বীকার করছে।

পৃথিবীর ১৫৫টি দেশে ব্যবহৃত এই অ্যাপটি থেকে কুরুচিপূর্ণ বা আপত্তিকর কন্টেন্ট সরাতে কড়া নজনদারি রাখার দাব করছে তারা।

যদিও বিষয়টি বেশ জটিল। কারণ একেক দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার ধারণা একেক রকম।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন