করোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম

করোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম
করোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে বিভিন্ন দেশে চলছে জোড় প্রতিযোগীতা। এরই মধ্যে করোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করে ফেলেছে কোম্পানীগুলো।

আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শুরু করতে চলেছে ফাইজারের ভ্যাকসিন, এমন ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ডিসেম্বেরে যুক্তরাজ্য বায়নটেকের টীকারও অনুমোদন দিয়ে দিতে পারে।

উদ্ভাবক কোম্পানীগুলো বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ রাশিয়ার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করে ফেলেছে।

মার্কিন কোম্পানী ফাইজার ফার্মাসিটিক্যালস ও জার্মান গবেষণা সংস্স্থা বায়নটেক এর অনুমোদন দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন খবর প্রচারিত করছে গণমাধ্যমগুলো।

একারণে আগামী ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস’ বা এনএইচএস কে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকরা এরই মধ্যে টীকার আনুষ্ঠানিক মূল্যায়নও শুরু করেছন।

৯৫.৫০ শতাংশ সফল বলে দাবি করে ফাইজার ফার্মাসিটিক্যালস। তাদের ভ্যাকসি খ্রিস্টমাসের আগেই ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরো পড়ুন:
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯০% সফল যেসব টীকা
ভ্যাকসিনের জন্য সঠিক তাপমাত্রা কেন জরুরী

সেই সাথে পাল্লা দিয়ে জার্মানীও তাদের উদ্ভাবিত টীকা বছরের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের আগেই জনসাধারণের কাছে পৌছাতে আগাম ৩০ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়ে রেখেছে।

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে টীকা দেওয়ার জন্য ১৩ হাজার টীকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত হয়েছে বলছে স্পেন সরকার।

এরই মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে থাকা প্রথম সারির কোম্পানীগুলো তাদের ‍বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করে ফেলেছে।

একইসঙ্গে তাদের টীকা গুলোর ভাইরাস প্রতিরোধে কি পরিমাণ ডোজ প্রয়োজন সে বিষয়েও নিশ্চিত করেছে।

বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য দাম তালিকা:

  • কোম্পানীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে মার্কিন কোম্পানী মর্ডানা। প্রতি ডোজের মূ্ল্য ধরেছে ২৫-৩৭ ডলার। প্রয়োজন পরবে ২ ডোজ।

  • ফাইজারের ও বায়োনটেকের ডোজ লাগবে ২ টি। এবং প্রতি ডোজের দাম পরবে ২০ ডলার।

  • রাশিয়ার তৈরি স্পুটুনিক ফাইভের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলারের কম। এবং দেওয়া হবে ২ ডোজ।

  • বহুজাতিক কোম্পানী জনসন এন্ড জনসন এর ভ্যাকসিন আসছে ১০ ডলারে এবং দাম নির্ধারণ হয়েছে। তারা দিবে মাত্র ১ ডোজ।

  • এদের মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের প্রতি ডোজ টীকার মূল্য মাত্র ৩-৪ ডলার এবং নিতে হবে ২ ডোজ।

এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দেশে করোনা প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। এগুলোর ভিতর চীনের সিনোভ্যাক এবং ভারতের সিরাম ইন্সিটিটিউটও বেশ দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আশা করা যায়, এসকল কোম্পানীগুলোর বদৌলেতে জনগণ দ্রুত করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন হাতে পাবে। এবং এগুলো আগামী বছরের মধ্যেই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ৯৫ শতাংশ  সক্ষম হবে।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন