তিন ধর্ম এক উপাসনালয়ে, এমনটা কেও কখনো শুনেছে? এবার জার্মানীর রাজধানী বার্লিন তৈরি করছে এমন উপাসনালয়, যেটা হবে ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম তিন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একক উপাসনালয়।
উপাসনালয়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘হাউজ অব ওয়ান’৷ সুদীর্ঘ প্রস্তুতি পর্ব শেষ করার পর অবশেষে ২০২১ সালে এর নির্মানকাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন ধর্ম এক উপসানলায়ে থাকবে এমন ভবনিটির নির্মাণের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ডয়েচে ভেলে।
প্রায় এক দশক যাবত এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রতিনিধিরা একত্রে এমন একক উপাসনালয় নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করছেন, বলে জানা যায়৷
অবশেষে সে আলোচনা বাস্তবে রূপ নিয়ে দেখতে যাচ্ছে আলোর মুখ৷
আজ থেকে দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই বার্লিনের পুরনো শহরের কেন্দ্রে এই তিন ধর্ম এক উপাসনালয়ে থাকবে এমন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ আরম্ভ হবে।
এমনটিই জানিয়েছেন হাউজ অব ওয়ান ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক পরিচালক রোলান্ড স্টোলটে৷
এই প্রকল্পটির গুঞ্জন অনেক আগে থেকে শোনা গেলেও গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি কারণে তা পিছিয়েছে৷
সর্বশেষ করোনা মহামারির কারণে আবার আরো এক ধাপ পেছানো হয়েছে নির্মাণ কাজ৷
ডয়েচে ভেলে বলছে, ভবনটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
যার প্রধান হিসেবে থাকছেন বার্লিনের মেয়র মিকায়েল ম্যুলার৷ থাকছে ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম এই তিন ধর্মের তিন প্রতিনিধি।
এছাড়াও ২০ সদস্যের এই বোর্ডে হামবোল্ডট ফোরামের মহাপরিচালক, জার্মান থিয়েটারের পরিচালক, ইহুদি জাদুঘরের পরিচালক, প্রুশিয়ান কালচারাল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্টও রয়েছেন৷
তাদের ধারণা তিন ধর্ম এক উপাসনালয়ে থাকতে পারলে তা সংস্কৃতি ও ধর্মের মেলবন্ধন হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিবে।
ভবন নির্মাণের জন্য যে স্থানটিকে নির্বাচন করা হয়েছে আগে সে স্থানে প্রায় ৭০০ বছর ধরে পেট্রিকির্শে নামক একটি গির্জা ছিল৷
সেই গির্জা ধ্বংস হওয়ার পর জায়গাটি এখন পর্যন্ত খালি পরে রয়েছে৷
সেই গির্জা স্থলেই তিন ধর্মের একক উপাসনালয়টি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷
নকশায়ন মোতাবেক এতে একটি কেন্দ্রীয় বৈঠকখানা থাকবে৷ এবং তার চারপাশ জুড়ে থাকবে মসজিদ, গির্জা ও সিনাগগ৷
উপাসনালয়টি হবে প্রায় ৪০ মিটার উঁচু। এ ভবনটি নির্মাণে ৪৩ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৪৩২ কোটি অর্থ ব্যয় হবে৷