সুন্দরী হতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফায়ার থেরাপি

সুন্দরি হতে ব্যাবহারিত হচ্ছে ফায়ার থেরাপি
সুন্দরি হতে ব্যাবহারিত হচ্ছে ফায়ার থেরাপি

ফায়ার থেরাপি – নিজেকে সুন্দর করে তোলার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে থাকে।  ঘরোয়া রুপচর্চার পাশাপাশি এখন রুপচর্চার জন্য ব্যবহৃত হয় অত্যাধুনিক চিকিৎসারও। 

আধুনিক যুগে রুপচর্চার জন্য মানুষ অবলম্বন করে নানা ধরনের উপায়। কখনো ঘরোয়া পদ্ধতি,কখনো সাহায্য নেয় প্রাকৃতিক উপায়ের।

রুপচর্চার এ পদ্ধতিগুলোর মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন বৈচিত্র্যতা। একদিকে যেমন রুপচর্চায় আনা হচ্ছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ছোয়া তেমনি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কেউ কেউ বৈচিত্রতা আনতে আবিষ্কার করছে অদ্ভুত সব পদ্ধতি।

আজ ঠিক এমনি এক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি আমি, আর সেটি হল মুখে আগুন লাগিয়ে রুপচর্চা বা ফায়ার থেরাপি।

আগুন লাগিয়ে ফায়ার থেরাপি দিয়ে রুপচর্চার এক প্রচলিত পদ্ধতি দেখা যায়, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির স্পা ও বিউটি পার্লারগুলোতে।

আরো পড়ুন - 
প্লাজমা থেরাপি আসলে কি? 
মরক্কোর অদ্ভুত ধরনের সামার থেরাপি 
পৃথিবীর বুকে ভিন্ন ধরনের কিছু মাসাজ

সেখানে মুখে আগুন লাগিয়ে রুপচর্চা করার এক ধরনের ট্রেন্ড চালু হয়েছে বেশ আগে থেকেই যাকে বলা হচ্ছে, ফায়ার থেরাপি।

যেভাবে দেয়া হয় এই ফায়ার থেরাপিঃ-

১. প্রথমে এ্যালকোহল মেশানো একটি তোয়ালে দিয়ে মুখে বা শরীরের উপরে ঢেকে দেয়া হয়।

২.তারপর ওই তোয়ালের উপরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

৩.এরপর আরেকটি বিশেষ রাসায়নিক তোয়ালে দিয়ে জ্বলন্ত তোয়ালেটি ঢেকে দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

এই প্রসেসিংটি ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত চলতে থাকে।

ফায়ার থেরাপির উপকারঃ-

ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরের পার্লার কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে এই থেরাপির দেয়ার ফলে মুখের ত্বক আগের চেয়ে বেশি সতেজ দেখায়, এছাড়াও –

১.ত্বকের বলি রেখা দূর করা।

২. মুখে বয়সের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

উল্লেখ্য ভিয়েতনামের প্রচলিত এই থেরাপি দেয়ার জন্য পার্লার কর্তৃপক্ষের সরকারি অনুমতি লাগে বলে জানা যায়। তাই আপনি যদি ভিয়েতনাম ভ্রমন করে থাকেন, নির্ভয়ে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন এই থেরাপি।

curious

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন