আপেল সিডার ভিনেগান – ইদানীং দেহে বাড়তি মেদ বা ওজন কমাতে,ত্বক ও চুলের যত্নে আপেল সিডার ভিনেগারের কথাই বেশি শোনা যায়। ওজন কমাতে ও সৌন্দর্য চর্চায় অনেকের কাছে এটি খুব উপকারি একটি উপাদান হলেও এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে অনেক।
তাই এ ভিনেগার ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপেল সিডারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো,
আপেল সিডার ভিনেগান কিঃ- এটি একটি ফার্মেন্টেড জুস। এটি আপেল পিষে বের করে তৈরি হয়। অ্যালকোহলীয় গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়। আপেলের শর্করাগুলিকে অ্যালকোহলে রূপান্তর করে।
এরপর এলকোহল দ্বারা ভিনেগার রূপান্তরিত হয় অ্যাসিটিক অ্যাসিড। এসিটিক অ্যাসিড এবং ম্যালিক অ্যাসিড একত্রিত হয়ে ভিনেগার তৈরি হয়।
ঘরে যেভাবে আপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করা যায়ঃ- আপনি বাজার থেকে ভিনেগার না কিনে চাইলেই ঘরেই তৈরি করতে পারেন অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার।
প্রস্তুত প্রণালীঃ ৪টি আপেল ধুয়ে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ৪ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার আধা কাপ পানিতে ভালো করে মেশান। এরপর একটি কাচের পাত্রে চিনির মিশ্রণ ও আপেল মিশিয়ে পাত্রের মুখে সুতি কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখে দিন। এভাবে ৩ সপ্তাহের মতো রাখতে হবে।
এর মাঝে দু’দিন পর পর অবশ্যই ঢাকনা খুলে কাঠের চামচ দিয়ে আপেল চেপে দেবেন নিচের দিকে। ৩ সপ্তাহ এভাবে থাকার পর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন ভিনেগার। কাচের পাত্রে আরও দু’সপ্তাহ রেখে দিলেই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আপনার অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার।
আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতাঃ- অ্যাপল সিডার ভিনেগারের আলাদা তেমন কোন ঔষধি বা পুষ্টিগুণ নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি খুব ভাল কাজ করে যেমন-
১.রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২.দাগ দূর করে দাঁত সাদা করতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ ভাল কাজ করে।
৩.হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।
৪. ত্বকের পি এইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে।
৬.পা ব্যথা, পেট খারাপ, গলা ব্যাথা, সাইনাসের ব্যাথা থেকে উপশম করে।
৭.শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
আপেল সিডার ভিনেগারের অপকারিতাঃ- আপেল সিডার ভিনেগান ব্যবহারে উপকারিতার সাথে বেশ কিছু অপকারিতাও লক্ষ্য করা যায়। যেমর-
১.রাতে ঠিক ঘুমানোর আগেই আপেল সিডার ভিনেগান পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
২.অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাপল সিডার ভিনেগার সেবন করলে তা গলা ও ত্বকের ক্ষতির কারণ হয়।
৩.অ্যাপল সিডার ভিনেগার সেবন করলে অনেকের রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায় যাকে হাইপোক্যালেমিয়া বলে এবং হাড়ের ঘনত্ব ও কমে যায়।
৪.অতিরিক্ত অ্যাপল সাইডার ভিনেগার গ্রহণের ফলে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, চুলকানি, মাড়িতে জ্বলুনি ও পেটেব্যথার মত সমস্যাগুলো হতে পারে।
যেভাবে ব্যবহার করা হয়ঃ- পানির সঙ্গে মিশিয়ে পানীয় হিসেবেও পান করা যেতে পারে এটি। যেমন, এক গ্লাস পানিতে ১/২ চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। রান্নায় এ ভিনেগার ব্যবহার করা। ঘরে মেয়োনিজ তৈরির সময় বা সালাদেও ব্যবহার করা যায় এ ভিনেগার।
আপেল সাইডার ভিনিগারকি ব্লাড সুগারে কোনো উপকার হয় ।কি ভাবে।