যে সকল ক্ষেত্রে আমাদের জন্য মাস্ক পরা বিপদ জনক – বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে। আত্মসুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব তাই সর্বস্তরের মানুষের কাছে। করোনা ভাইরাস মূলত শ্বাসপ্রশ্বাস-সংক্রান্ত একটি ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাসের সঙ্গে এই ভাইরাস ভেতরে প্রবেশ করে একপর্যায়ে ফুসফুসে গিয়ে আক্রমণ করে।
ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং বলা যায়,সবার জন্য মাস্ককে সুরক্ষা কবজ হিসেবে ভাবা যাবে না।
যাদের আগে থেকেই হাঁপানি রোগ কিংবা এই ধরনের কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা কিংবা সিস্টিক ফাইব্রোসিস জাতীয় জটিলতা রয়েছে তাদের সাধারণত ফেস মাস্ক পরার ফলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি হয়। তাই মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে।
এবিষয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো চার্চিল বলেন, যখন বাইরে অনেক মানুষের মধ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়, সেখানে অবশ্যই ফেস মাস্ক পরা উচিত। কিন্তু যাদের হাঁপানির মতো সমস্যা রয়েছে তারা মাস্ক না পরে কাপড়ের আবরণ মুখে পরে বেশি দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারে।
তবে,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে,মাস্ক পরে শরীরচর্চা, প্রাতঃভ্রমণ বা জগিং করা যাবেনা,কোন ভারি কাজ করার যাবেনা। মাস্ক পরে এসব কাজ করলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না।দেহে অক্সিজেন সরবারহে ঘাটতি হলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হতে পারে।
পাশাপাশি অস্বাভাবিক ক্লান্তি, মাথা ঘোরানো,বমিভাব, শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশিতে টান পড়া, খিঁচুনি এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তাই এসব কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করবেন না। শুধু করোনা নয় সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে সবাইকে।
আরো পড়ুন –
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাঁচটি সহজতর উপায়