সিঙ্গাপুর দেশ – ভ্রমন বিলাসী

সিঙ্গাপুর দেশ - ভ্রমন বিলাসী
সিঙ্গাপুর দেশ

সিঙ্গাপুর দেশ (Singapore): সিঙ্গাপুর হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি মালয় উপ-দ্বীপের নিকটে অবস্থিত।

এর আনুষ্ঠানিক নাম সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্র, যা মালয়ে: Republik Singapura (রেপুব্লিক সিঙ্গাপুরা) এবং ইংরেজিতে: Republic of Singapore (রিপাব্লিক অফ সিঙ্গাপুর) নামে পরিচিত।

এই “সিঙ্গাপুর” নামটি মূলত মালয় ভাষার Singapura (সিঙ্গাপুরা) থেকে এসেছে এবং এই সিঙ্গাপুরা শব্দটি আসে সংস্কৃত ভাষা সিঁহাপুরা থেকে, যার বাংলা অনুবাদ সিংহপুর। এছাড়া, বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে সিঙ্গাপুর দেশ বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছে, যা এশীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ।

ভূগোল ও জলবায়ু – 

সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে এবং মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং এর তটরেখার দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার।

এটি মালয়েশিয়া থেকে জোহর প্রণালী এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর দেশ প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। সিঙ্গাপুরের মূল ভূখণ্ডটি একটি হীরকাকৃতি দ্বীপ, তবে এর প্রশাসনিক সীমানার ভেতরে আরও বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ অবস্থিত। এদের মধ্যে পেদ্রা ব্রাংকা নামের দ্বীপটি সিঙ্গাপুর থেকে সবচেয়ে বেশি দূরত্বে অবস্থিত।

দেশটির সীমানার অন্তর্গত কয়েক ডজন ক্ষুদ্রাকার দ্বীপের মধ্যে জুরং দ্বীপ, পুলাউ তেকোং, পুলাউ উবিন ও সেন্তোসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বড়। সিঙ্গাপুর দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা সমুদ্র সমতল থেকে ১৫ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচুতে অবস্থিত নয়। সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ বিন্দুটির নাম বুকিত তিমাহ।

এটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৬৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গ্র্যানাইট পাথরে নির্মিত একটি শিলা। সিঙ্গাপুরের উত্তর-পশ্চিমে আছে পাললিক শিলা দ্বারা নির্মিত ছোট ছোট টিলা ও উপত্যকা এবং পূর্বভাগ বালুময় সমতল ভূমি দিয়ে গঠিত। সিঙ্গাপুরে কোন প্রাকৃতিক হ্রদ নেই। তবে সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য কৃত্রিম জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুর প্রশাসন সমুদ্রতলের মাটি, পর্বত ও অন্যান্য দেশ থেকে মাটি সংগ্রহ করে দেশটির স্থলভাগের আয়তন বৃদ্ধি করে চলেছেন। ১৯৬০-এর দশকে দেশটির আয়তন ছিলো প্রায় ৫৮২ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বর্তমানে এটি ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং ২০৩৩ সাল নাগাদ এর পরিমাণ আরও ১০০ বর্গকিলোমিটার বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

দেশটি বিষুবরেখার মাত্র ১ ডিগ্রী উত্তরে অবস্থিত বলে এখানকার জলবায়ু নিরক্ষীয় প্রকৃতির। অর্থনীতি ও জনসংখ্যাঃ ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে সিঙ্গাপুর ব্রিটিশদের অধীনে একটি ‘ক্রাউন কলোনি’ হিসেবে পরিচিত ছিলো এবং এই দ্বীপটি পূর্ব এশিয়াতে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি ছিলো।

এ কারণে সিঙ্গাপুরকে তখন “জিবরালটার অব দা ইস্ট” বলা হত। পরবর্তীতে ১৮৬৯ সালে সুয়েজ ক্যানাল খোলার পর ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে সমুদ্র বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক তখনই সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের প্রধান সমুদ্র বন্দর হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।

১৯৬৫ সালে অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভের বছরে এ দেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ৫১৬ মার্কিন ডলার, যা তখন পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ছিলো তৃতীয় সর্বোচ্চ। স্বাধীনতার পরে ইউরোপ থেকে বিনিয়োগ আসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হওয়া শুরু করে।

আশির দশকের মাঝখান দিকে এই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে এবং বর্তমানে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে সিঙ্গাপুরের অবস্থান বিশ্বে নবম, যা আশিয়ানের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে অন্যতম।তাছাড়া, দেশটি আয়তনে কোনো নগরাঞ্চলের সমান হলেও এর জিডিপি ভারতের দিল্লি, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুর সমষ্টিগত জিডিপির সমতুল্য। সিঙ্গাপুরে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন জনগণ বসবাস করে থাকে।

সিঙ্গাপুর দেশের রাজনীতি – 

 সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান এবং দেশটির নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। দেশটিতে মূলত একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব বেশি। এছাড়া, দেশের আইন প্রণয়নের সকল ক্ষমতা সরকার ও আইনসভার দায়িত্বে পড়ে। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন।

আইনসভার সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তার ভূমিকা মূলত আলংকারিক। তবে ইদানিং দেশটিতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পরিসর কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে, ১৯৫৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে সিঙ্গাপুরের রাজনীতিকে পিপল্‌স অ্যাকশন পার্টি নামের রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে।

তাছাড়া, সেখানে একাধিক বিরোধী দল উপস্থিত থাকলেও ক্ষমতায় তাদের প্রতিনিধিত্ব নেই বললেই চলে। তাই অনেক বিদেশী পর্যবেক্ষক সিঙ্গাপুরকে কার্যত একটি এক-দলীয় শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করে থাকেন। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার সবসময়েই একটি স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত সরকার হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিত। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে সিঙ্গাপুর বহুদিন ধরেই এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ।

সংস্কৃতি ও ভাষা – 

সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার হলেও এখানে গোঁড়া হিন্দুবাদ, গোঁড়া খ্রিষ্টানবাদ , গোঁড়া ইসলামবাদ অর্থাৎ মালয় সংস্কৃতি রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে গোঁড়া বৌদ্ধবাদ অর্থাৎ চাইনিজ সংস্কৃতিও। সিঙ্গাপুরের ৪টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে।

সেগুলো হলো –  ইংরেজি, মালয়, চীনা মান্দারিন বা চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা এবং তামিল যৌথভাবে সিঙ্গাপুরের সরকারি ভাষা। দেশটির প্রায় ৮০% লোক ইংরেজিতে, ৬৫% লোক মান্দারিন, ১৭% লোক মালয় এবং ৪% লোক তামিল ভাষায় কথা বলে থাকে। এছাড়াও এখানে আরও প্রায় ২০টি ভাষা প্রচলিত।

সিঙ্গাপুর দেশ - ভ্রমন বিলাসী
সিঙ্গাপুর দেশ

এদের মধ্যে জাপানি ভাষা, কোরীয় ভাষা, মালয়ালম ভাষা, পাঞ্জাবি ভাষা এবং থাই ভাষা উল্লেখযোগ্য। তবে মালয় ভাষী প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সাথে বৈপরীত্যতা এড়াতে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৬০ সালে সিঙ্গাপুর সরকার মালয়কে জাতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে।

তাই সিঙ্গাপুরের জাতীয় সঙ্গীতও মালয় ভাষাতে রচিত। তবে সাধারন ভাষা হিসেবে এখানে ইংরেজিই প্রচলিত অর্থাৎ ইংরেজি ভাষা সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া, এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সরকারি ও আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডেও প্রধানত ইংরেজি ভাষাই ব্যবহৃত হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা – 

সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত। একই সাথে বেসরকারি উদ্যোগ এবং অবস্থানও সেখানে স্বীকৃত। তবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার পূর্বে অবশ্যই সেটি শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হয়। সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি স্তরে পরিচালিত হয়।

যথাঃ ১. প্রাথমিক, ২. মাধ্যমিক এবং ৩. প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়। যার মধ্যে দেশটিতে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া, এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজি মাধ্যম অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান, পরীক্ষাগ্রহণ সবকিছুই ইংরেজিতে পরিচালিত হয়। সিঙ্গাপুরে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

যার মধ্যে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এবং নানইয়াং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্বের সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। তাই মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশ্বব্যাপী সিঙ্গাপুরের ব্যাপক সুনামও রয়েছে।

ভ্রমন ও পর্যটন কেন্দ্র – 

সিঙ্গাপুরের অন্যতম প্রধান শিল্প হচ্ছে পর্যটন, যা দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন পর্যটক সিঙ্গাপুর দেশ ভ্রমণ করে থাকে। নিচে দেশটির উল্লেখযোগ্য ৫টি পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –

১. নাইট সাফারীঃ সিঙ্গাপুরের এই চিড়িয়াখানা পৃথিবীর প্রথম ও একমাত্র নাইট সাফারী। নাইট সাফারীতে গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতরের নানান পশুপাখিদের মাঝ দিয়ে ট্রামে করে পর্যটকরা বিচরণ করেন। এ সাফারীর প্রাণিদের মধ্যে বাঘ, হরিন, ভালুক, হাতি, উট ও কুমির অন্যতম প্রানি। এ সাফারীতে পশুপাখিরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়।

বিশ্বের প্রথম নিশাচর চিড়িয়াখানা অর্থাৎ এই নাইট সাফারী ৯৯ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। এছাড়া, পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এই পার্কের বিশেষত্ব হলো – সাধারণ চিড়িয়াখানার মতো বনের প্রাণীদের খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রাখা হয় না। জঙ্গলের মধ্যে বাঘ, সিংহ, গণ্ডার, হরিণসহ হরেক রকম প্রাণীর সঙ্গে যে কেউ এখানে ঘুরে বেড়াতে পারে।

আর এমনই রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাওয়ার জন্য প্রতি বছর ১ কোটির অধিক পর্যটক এখানে আসেন। এখানে ১৩০ প্রজাতির আড়াই হাজারেরও অধিক বন্য প্রাণী আছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য জঙ্গলের অধিবাসীদের বিখ্যাত জংলী নৃত্যসহ নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এই নাইট সাফারীতে।

২. মারলাওন পার্কঃ মারলাওন একটি পৌরাণিক দেবতার মূর্তি। যেটা সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সারা শরীর মৎস্যাকৃতি এবং মাথাটি সিংহের। আর এটিই এই দেবতার বৈশিষ্ট্য। ৮.৬ মিটার উঁচু ও ৭০ টনের এই মূর্তিটি ‘ফুলারটন’ রোডের মারলায়ন পার্কে অবস্থিত।

মারলিন বা সিংহ-মৎস হচ্ছে সিঙ্গাপুরীদের গর্বের ও বীরত্বের প্রতীক। কথিত আছে, বহু পুর্বে সিঙ্গাপুর যখন তেমাসেক বা সমূদ্রনগরী নামে পরিচিত ছিলো তখন সেখাকার দ্বীপে প্রচন্ড এক সামূদ্রিক ঝড় ওঠে এবং সেসময়ে অধিবাসীরা যখন তাদের নিজেদেরকে ঈশ্বরের হাতে স্বপে দেয়, ঠিক তখনই সমুদ্র থেকে সিংহ-মৎস আকৃতির এক জন্তু এসে ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে অধিবাসীদের বাঁচিয়ে দেয়। আর সে থেকে মারলিন নামের সিংহ-মৎস সিঙ্গাপুরীদের গর্ব আর বীরত্বের প্রতীক। মারলিনের মূর্তি ম্যারিনা বে-এর মারলাওন পার্কে অবস্থিত।

৩. সেন্টোসা আইল্যান্ডঃ সমুদ্রের মাঝে ছোট এক দ্বীপে গড়ে তোলা বিনোদন কেন্দ্র। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে পাম ট্রি আর সাদা বালির দীর্ঘ সৈকতে ১৪টি রিসোর্ট, ৯টি বিনোদন স্পট, ৩১টি বার, ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট নিয়ে বিখ্যাত এই দ্বীপ। প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে দক্ষ নির্মাণশৈলীর অনন্য সংমিশ্রণে তৈরি এই দ্বীপে প্রতি বছর ২ কোটির অধিক পর্যটক বেড়াতে আসেন। সেন্টোসা আইল্যান্ড এ পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা আছে।

৪. ম্যারিনা বেই স্যান্ডসঃ ম্যারিনা উপসাগরের তীরে ৫ লক্ষ ৮১ হাজার বর্গমিটার জায়গার উপর নির্মিত ২০০ মিটার উচ্চতার ৫৭ তলা বিশিষ্ট তিনটি টাওয়ার নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই রিসোর্ট নির্মিত। এই রিসোর্টের মূল বিস্ময় হলো তিনটি টাওয়ারের উপর সমান্তরালভাবে নির্মিত একটি নৌকা আকৃতির বিনোদন কেন্দ্র, যা ‘স্কাই পার্ক’ নামে পরিচিত।

রিসোর্টের অতিথিদের জন্য স্কাই পার্ক ভ্রমণ ফ্রি হলেও বহিরাগত পর্যটকরা ২৩ ডলারের বিনিময়ে এখানে আসতে পারেন। ছাদের উপর সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্টসহ অবজারবেশন ডেক আছে। যেখান থেকে পুরো সিঙ্গাপুরের আকাশকে ৩৬০ ডিগ্রি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়।

এছাড়াও, এই রিসোর্টে শপিং মল, কনভেনশন সেন্টার, যাদুঘর, রেস্টুরেন্ট এবং ২,৫৬১ টি বিলাস বহুল রুম ও স্যুইট রয়েছে। ৫. ইউনিভার্সাল স্টুডিও সিঙ্গাপুরঃ বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা এই ইউনিভার্সাল স্টুডিও(Universal Studio), যা সায়েন্স ফিকশন সিটি নামে পরিচিত। এখানে আছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এক্যুরিয়াম, যেখানে লক্ষাধিক সামুদ্রিক প্রাণী আছে।

‘ট্রিক-আই’ মিউজিয়ামে অত্যাধুনিক কৌশলে হরেক রকম পেইন্টিং রাখা আছে, যেখানে ছবি তুলে যে কেউই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। সেখানে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি ‘4D Show’ দেখার সময় নিজেকেও এই মুভিরই একটি অংশ মনে হবে।

এছাড়াও, ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এখানে রয়েছে ওয়াটার পার্ক অ্যাডভেঞ্চার, ট্রান্সফরমার রাইড, ফিল্ম শো এবং বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা রোলার কোস্টার। আর এই ইউনিভার্সাল স্টুডিও টি Santosa Island এর প্রবেশ পথেই অবস্থিত।

curious 1

আরো পড়ুন –

ভ্রমনের জন্য আমাদের বিশ্বের পাঁচটি ভ্রমন প্রিয় দেশ
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন