আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন জিনিসকে ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা সে জিনিস গুলকে কিভাবে ব্যাবহার করা প্রয়োজন। কিংবা এর উদ্দেশ্য আসলে কি?
তাই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন জিনিসের ব্যাবহার সম্পর্কে।
ফ্রুট স্টিকার –
আমরা প্রায় সময়ে বিভিন্ন ফলের দোকানে ফল ক্রয়ের পূর্বে এর সাথে কিছু ছোট স্টিকারকে লাগানো দেখতে পাই। অনেকেই হয়তো মনে করছেন এর মধ্যে সেই ফলের এক্সপায়ার ডেট লেখা থাকে, অথবা ফল প্রস্তুত কারক কম্পানির এড হিসেবে একে লাগানো হয় ।
যদিও সেই স্টিকারে লাগানো থাকা বারকোড দিয়ে ফলের কম্পানির তথ্য প্রচার করা হয় ঠিক। কিন্তু এর থেকেও বড় আরেকটি গুরুত্ব পূর্ন্য তথ্য হচ্ছে, সেই ফলের কৃত্তিম ভাবে কোন ক্যামিকেল মেশানো হয়েছে কিনা সেটিও প্রকাশ করা হয় উক্ত স্টিকারের মাধ্যমে।
আপনি যদি একটু খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখবেন সেই সকল স্টিকারে বেশ বড় করে ৪ অথবা ৫ ডিজিটের কিছু সংখ্যা লেখা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে সকল ফলের উপরের স্টিকারে ৪ ডিজিটের সংখ্যা দেয়া রয়েছে এর মানে হচ্ছে সেই ফলটি কৃত্তিম ভাবে ক্যামিকেল দিয়ে সংরক্ষিত।
অন্যদিকে যদি কোন ফলের উপরের স্টিকারে ৫ ডিজিটের সংখ্যা থাকে তাহলে এর মানে হচ্ছে উক্ত ফলের মধ্যে কোন ক্যামিকেলই মেশানো হয়নি।
থার্ট পকেট ইন এ জ্যাকেট –
যেকনো ব্লেজারেই আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন এর সাথে ছোট একটি পকেট যুক্ত থাকে। যদিও বর্তমানে অনেকেই একে ফ্যাশন হিসেবেই ভেবে থাকেন। কিন্তু ১৯ শতকে যখন একে বানানো হত তখন এই থার্ট পকেটকে বলা হত টিকিট পকেট।
সে সময়ে মানুষ বিভিন্ন ট্রেন কিংবা বাস অথবা থিয়েটারের টিকিট সংরক্ষন করতেন এই থার্ট পকেটের মাধম্যে যেই ট্রেন্ডটি এখন স্টাইল হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।
টি ব্যাগ –
চা পান করতে আমরা সকলেই ভালবাসি। চা পাতাকে কে খুব সহজেই বহন করতে এবং নির্দিষ্ট একটি কাপের জন্য তৈরি করতে এই টি ব্যাগের উদ্ভাবন।
থোমাস সোল্ভেন নামে একজন আমেরিকান উদ্ভাবক সর্বোপ্রথম ১৯০৪ সালে এই টি ব্যাগ আবিস্কার করেন। সে সময়ে থোমাস মানুষের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন আকৃটির টি ব্যাগ বাজারে নিয়ে আসেন ।
যদিও ১৯২৯ সালে আরো উন্নত মানের টি ব্যাগকে এডলফ রাম্বল নামে জার্মান গবেষক মেশিনারাইস করে বাজারে নিয়ে আসেন। যার পর থেকে আজ পর্যন্ত একে আরো আধুনিকায়নের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
হোল ইন ডোনাট –
আপনি হয়তো জীবনে একটি বার হলেও ডোনাট খেয়েছেন। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেনকি ঠিক কি কারনে এর মাঝ খানে গর্ত রাখা হয়।অতীতে যখন শেফরা গোল করে রুটি বানাতেন।
তখন তারা দেখলেন সেই রুটির চার পাশে ঠিক ঠাক ভাবে থাকলেও মাঝ খানে ভাল ভাবে তৈরি হচ্ছে না। যেখানে খানিকটা কাচা থেকে যাচ্ছে।
যেকারনেই তারা চিন্তা করলেন রুটি গুলর মাঝ খানে গোল গর্ত রাখবেন যাতে করে সেটি সব যায়গাতেই ভাল ভাবে মিশে যায়।
কিউবোর্ড ফ্যাক্ট –
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কোন কিছু লেখার জন্য যে মাধ্যমেকে আমরা ব্যাবহার করি সেটি হচ্ছে কি বোর্ড।নিঃশন্দেহ এর সাথে আপনি ইউস্টু।
কিন্তু আপনি কি যানেন এই কী বোর্ডের কয়তি বাটন রয়েছে? অথবা কি কারনে ইংরেজি বর্নমালা গুলকে কি বোর্ডে সিরিয়াল অনুসারে সাজানো হয়নি?
আমাদের বিশ্বে এখন পর্যন্ত পিসির জন্য তিন ধরনের কি বোর্ড রয়েছে –
যার একটি তে ১০৪ টি বাটন,অপরটিতে ১০১ টি বাটন, এবং সবচাইতে পুরাতন সিস্টেমের কি বোর্ডে রয়েছে ৮৪ টি বাটন। এছাড়াও যে কোন কিবোর্ডে ইংরেজি বর্নমালা গুলকে এক সাথে না রাখার কারন হচ্ছে ১৮ শতকের দিকে যখন প্রথম টাইপ মেশিনের জন্য কি বোর্ডের বাটন গুলকে সাজানো হয়।
তখন এক গবষনায় দেখা যায় ইংরেজি লেখা লেখির সময় এর বর্নগুল সিরিয়াল ভাবে না সাজিয়ে বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে সে অবস্থাতেই তখন কার মানুষরা টাইপ করতে সাচ্ছন্দ বোধ করতেন। আর তাছারা বাটন গুল এভাবে থাকলে ইংরেজি লেখার তারাতারি করার জন্য তাদের খুব সুবিদে হত।
এই কি বোর্ড নিয়ে মজার একটি তথ্য হচ্ছে –
এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বে সব থেকে দ্রুত টাইপিস্ট হচ্ছেন বারবারা ব্যাকবার্ন নামে একজন ভদ্র মহিলা।যিনিকিনা প্রতি মিনিটে প্রায় ১৫০ টি ওয়ার্ড লিখে নিতে পারতেন।
আরো পড়ুন –
সৌন্দর্যচর্চায় বিট এর ব্যবহারিক গুনাবলি