দুই ওষুধে চার দিনে মাত্র ৩০ টাকাতেই করোনা থেকে মুক্তি!

দুই ওষুধে চার দিনে মাত্র ৩০ টাকাতেই করোনা থেকে মুক্তি!
দুই ওষুধে চার দিনে মাত্র ৩০ টাকাতেই করোনা থেকে মুক্তি!

কারোনা চিকিৎসায় যখন গোটা বিশ্ব হিমশিম অবস্থায় পড়ে গিয়েছে তখনই পুরনো ২টি ওষুধের সম্মিলিত ব্যবহারে আশার আলো দেখালেন দেশের একদল বেসরকারি মেডিকেলের চিকিৎসক।

বেসরকারি বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালের দলটি দাবি করেছেন তারা ৬০ জন রোগীর উপর এই দুই ওষুধে সম্মিলিত প্রয়োগে আশা জাগার মতো সফলতা পেয়েছেন। এই দুই ওষুধের মধ্যে একটি হলো “ফিভারমেক্ট-৬”। যেটি উকুন মারার একটি বহুল পরিচিত ওষুধ এবং ক্রিম বা লোশন হিসেবে এটির ব্যবহার বেশি।

এমনকি ১৯৮০ সাল থেকে একই নামে মুখে খাবার ওষুধ হিসেবে ট্যাবলেট আকারেও এই ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। সেই সাথে ডেঙ্গু ও ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও এই ট্যাবলেটের কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। একইভাবে পুরনো আরেকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ হচ্ছে “ডক্সিসাইক্লিন“।

যেটি শ্বাসযন্ত্র সহ পরজীবী সংক্রমণ রোধে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। এই দুই ওষুধে সমন্বিত ব্যবহারের ফলেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার তারেখ আলম।

তিনি বলেন, জানিনা আল্টিমেটলি কি হবে, এটা গাইডলাইনে আসবে কি, আসবে না বা আমরা এটা চালাতে পারবো কিনা। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য সুবিধাই হবে। কারণ, এটি সস্তা একটি উপায়। তাছাড়া, কোভিড-১৯ এর মতো একটি রোগ যেখানে আইসিওতে গেলে বাঁচার মতো কোনো সুযোগ থাকছে না।

আবার এমডিসিবির মতো ওষুধ হলে সেটি সবাই এফোর্টও করতে পারবে না। তাই ডক্সিসাইক্লিন বাছাই করার একটাই কারণ, সেটি হলো আমাদের দেশটি গরিব দেশ। তিনি আরও বলেন, ডক্সিসাইক্লিন এর একটি ক্যাপসুলের দাম দুই টাকা করে ১০ টি ক্যাপসুলের দাম পরে ২০ টাকা।

আর ফিভারমেক্টের দাম পরে ৫ টাকা করে ১০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩০ টাকায় করোনার চিকিৎসা শেষ বলে জানান তিনি। এদিকে, তথ্য গোপন করে আসা রোগীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিকেলের ইন্টার্নাল ডাক্তাররা করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তাদের মাধ্যমে এটি নার্সদের মধ্যে ছড়ায়।

তাই পর্যায়ক্রমে তাদের ওপর ওষুধ দুটি প্রয়োগ করা হয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক ডাক্তার তারেখ আলম জানান, রোগীদের মধ্যে মিথ্যে কথা বলে ভর্তি হওয়ার ফলে ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ডবয় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ গুলো দেখা দিলে আমরা তাদেরকে টেস্ট করা শুরু করি।

এরপর করোনা পজিটিভ পেয়ে তাদের সবাইকে একই প্রক্রিয়ায় আমরা ১০দিনের ডক্সিসাইক্লিন ও এক ডোজ ফিভারমেক্ট-৬ দেওয়া শুরু করলাম। এরপর দেখলাম তাদের সবারই করোনা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে এবং দ্বিতীয় যে টেস্টটি করতে হয় সেটি করার পর দেখা গেলো সেগুলোতেও করোনা নেগেটিভই থাকলো।

তবে ৬০ জন রোগীর মধ্যে কয়েকজন রোগীর অবস্থা ছিলো খুবই গুরুতর আর বাকিদের সংক্রমণ ছিলো মাঝারি ধরনের। তাই আইসিও বা ভ্যান্টিলেসন দরকার এমন রোগীদের মধ্যে এটি ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া, এটি নিয়ে বড় আকারের পরীক্ষায় যেতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানান ডাক্তার তারেক আলম।

তিনি বলেন, তারা যদি এগিয়ে না আসে তাহলে আমার এই ছোট্ট হাসপাতালে আসলে আমাদের একার পক্ষে এটি করা সম্ভব হবে না। আর আমি শুধু একটা কারণেই এখন এই কথাটি বলেছি, সেটি হলো- যদি এর ফলে কিছু মানুষের জীবন বাঁচে বলে জানান তিনি। তবে সেই পরীক্ষাতে যদি সফলতা আসে তাহলে করোনা চিকিৎসায় হয়তো কোনো কার্যকর ওষুধ পাবে বিশ্ব, বলে আসা করা যায়।

আরো পড়ুন –

ভিটামিন – ডি গ্রহন দেহের জন্য কতটা উপকারী
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন