ঘরে বসে সুস্থ ও ভালো থাকতে আপনার যা কিছু করণীয় – মানুষকে এখন ঘরবন্দী হয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাছাড়া, করোনাভাইরাসের কারনে ভয় বা আতঙ্ক, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার পাশাপাশি বর্তমানে অনেক দুশ্চিন্তার মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ এবং তা হওয়াটাও স্বাভাবিক।
তবে এখনকার প্রেক্ষিতে কিন্তু দুশ্চিন্তার মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও কিন্তু সাবধানতা মেনে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা যায়।
তাই ঘরে বসে সুস্থ ও ভালো থাকতে কি কি করতে হবে তার কয়েকটা উপায় নিচে দেওয়া হলো।
১. পারিবারিক সম্পর্কঃ
পুরো বিশ্বজুড়েই ঘরে বন্দী হয়ে থাকা অবস্থায় পারিবারিক সম্পর্ক গুলোর প্রতি যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বলা হচ্ছে। কারন, কাছের মানুষগুলোই এখনকার পরিস্থিতিতে একটা নির্ভরতা ও ভরসার জায়গা হতে পারে।
কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট মেহতাব খানম বলেন, আমাদের পারিবারিক বন্ধনের মধ্যে যে সম্পর্ক গুলো একটু অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে গিয়েছিল সে গুলোকে আরো দৃঢ় করার জন্য এ সময়টাতে সম্পর্কগুলোর প্রতি আমরা আরো বেশি যত্নশীল হতে পারি।
সেই সাথে একজন আরেকজনের ভেতরের কষ্ট ও অসহায়ত্বটা কেমন হচ্ছে সেটিও ভালোমতো বুঝার চেষ্টা করতে পারি।
২. ব্যায়ামঃ
শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য না বরং মানসিকভাবে ভালো থাকতেও নিয়মমাফিক ব্যায়াম করাটা অত্যন্ত কার্যকর। মেহতাব খানম বলেন, আমরা প্রতিদিন সময় করে আমাদের শারীরিক ব্যায়াম করবো।
ব্যায়াম করলে কেবল শরীরই ভালো থাকে না বরং আমাদের মনও ভাল থাকে। কারণ এটি আমাদের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাকে অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
৩. ব্যস্ততাঃ
ঘরে থাকলেও নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। যেমনঃ পরিবারের সাথে ঘরের কাজ গুলো ভাগাভাগি করার মাধ্যমে, বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে, পাজেল বা ধাঁধার সমাধান করার মাধ্যমে, পরিবারের অন্যদের নিয়ে লুডো, ক্যারাম ও দাবা খেলার মাধ্যমে সময় কাটানো যেতে পারে। এতে করে কিন্তু পরিবারের সম্পর্কটাও ভালো থাকবে।
৪. প্রার্থনাঃ
যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রার্থনা মনকে শান্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ নিয়ে মেহতাব খানম বলেন, প্রার্থনা করে বা নামাজ পড়ে আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে যখন শক্তি চেয়ে নেই তখন মনে হয় যেন অন্তত কারো কাছ থেকে একটু শক্তি চাইতে পারলাম বলে ভেতরটায় অনেক আরাম ও শান্তি লাগে।
৫. মেডিটেশন ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসঃ
আমাদেরকে নিয়মিত মনে করে মেডিটেশন করতে হবে। মেডিটেশন করার ফলে আমাদের মনটা ভবিষ্যৎ বা অতীতে চলে যায় না অর্থাৎ ছোটাছুটি করতে পারে না। মনটা তখন এক জায়গায় অর্থাৎ বর্তমানে ধরে রাখা সম্ভব হয় বলে জানান মেহতাব খানম।
এছাড়া আমাদের উচিৎ ভবিষ্যতকে নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমান কে ভালোভাবে কাটানোর চেষ্টা করা। আর মেডিটেশন আমাদেরকে এটি করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া নিঃশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শান্ত ও শারীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মেহতাব খানম বলেন, আমরা গভীরভাবে বড় করে নিঃশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ভেতরে অনেক অক্সিজেন নিবো। যা আমাদের মস্তিষ্কে যাবে এবং আমাদের রক্তে সঞ্চালিত হবে। এতে করে আমাদের ভেতরে একটি সস্থির অনুভূতি তৈরী হবে এবং আমরা অনেক ভালো থাকতে পারবো।
উল্লেখিত উপায়গুলো দীর্ঘ সময় ধরে আমাদেরকে ঘরে থাকতে ও মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুন –
পাঁচ কৌশলে – বৃদ্ধি করুন আপনার বুদ্ধি
I have discovered wonderful articles right here.
I enjoy the way you describe. Great!