করোনায় প্রবীনরাই বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যু বরণ করছেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকরা প্রবীনদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনা মূলক ভাবে কম এবং তাদের শরীরে আগে থেকেই বিভিন্ন রোগ থাকার বিষয়টিকে দায় দিচ্ছেন।
তবে করোনায় প্রবীনরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এ ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও সত্যি নয়। বরং এই ভাইরাসে কম বয়সের মানুষদের আক্রান্ত হতেও দেখা যাচ্ছে। অবশ্য করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পরিসংখ্যানে প্রবীনরাই অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
তাই কোনো প্রবীণ ব্যাক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে যা করতে হবে তা হলো প্রথমেই যেসব হাসপাতাল কভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তার যেন অবস্থার অবনতি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
এরপর প্রবীনদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে হবে। কারন, বার্ধক্য এমন একটা সময় যে সময়টাতে মানুষজনের মাথায় সবসময় মৃত্যুর চিন্তা ঘুরে। আর এ চিন্তা তাদের মানসিক যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
তাই সে যে একা তাকে সেটা বুঝতে দেওয়া যাবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে প্রবীনদের সুরক্ষা দিতে যা করতে হবেঃ
১. তাদের সব সময় আলাদা কক্ষে রাখতে হবে।
২. কাছে যাওয়ার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৩. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের বাধ্যক্য বিশেষজ্ঞ মহসীন কবির বলেন, প্রবীনদের খাবার তালিকার দিকে নজর দিতে হবে। ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার বেশি পরিমানে খেতে হবে। এছাড়া, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সেই সাথে দুশ্চিন্তা করা যাবে না।
সাধারণত যারা দুশ্চিন্তা করেন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো কমে যায়। তাছাড়া, চুপচাপ ঘরের কোণে বসে থাকা যাবে না। তিনি আরো বলেন, লক ডাউনে থাকার কারণে এখন প্রবীণরা ঘরবন্দি।
তাই ঘরের ভেতরে যে ব্যায়ামগুলো করা যায় সেগুলো করতে হবে এবং হাটার জন্য ফ্লোরে একই জায়গায় বারবার হাঁটা যেতে পারে।
খালি হাতে যে ব্যায়াম গুলো আছে তা করতে হবে। এরপর যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস বা অন্যান্য রোগ রয়েছে তাদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে এবং দৈনন্দিন যে ওষুধ রয়েছে তার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে আগে থেকে তার যে রোগ রয়েছে তা আর বাড়তে না পারে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, যিনি প্রবীণ ব্যক্তির দেখাশুনা করছেন তিনি আসলে ভাইরাস থেকে কতটা ঝুঁকিমুক্ত সেটি নিশ্চিত হতে হবে এবং তিনিও যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারে তাই আগে থেকেই তার সকল ব্যবস্থা করতে হবে।
কারণ, তিনি আক্রান্ত হলে বাসার প্রবীন ব্যাক্তিটিও ভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। তাই প্রবীন ব্যক্তির পাশাপাশি আমাদের সকলকেই নিয়ম মেনে সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
আরো পড়ুন –
যেভাবে শরীরের ক্ষতিকরে থাকে করোনাভাইরাস