দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রবণতা !

দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রবনতা কিন্তু কেন?
দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রবনতা কিন্তু কেন?

দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রবণতা,  মূলত প্রতি বছর বসন্ত-বৈশাখ মাসের দিকে আবহাওয়া পরিবর্তন হয় এবং সেই সাথে সর্দি জ্বর বা সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়তে থাকে।

এছাড়া, আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বাইরে প্রচণ্ড গরমে বের হওয়া বা গরম থেকে এসেই খুব ঠান্ডা পানি পান করার ফলেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। ফ্লু ভাইরাসের প্রধান লক্ষণ হলো নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, কাঁপুনি ইত্যাদি।

এই লক্ষণগুলো করোনায় আক্রান্তদের সাথে অনেক মিল থাকলেও সর্দি, নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে পানি পড়া মূলত ফ্লু জ্বরের জন্যই হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্দি-কাশিতে ভোগে।

তাছাড়া যাদের হাঁপানি, ফুসফুসে সমস্যা কিংবা একটুতেই সর্দি-কাশি জনিত এলার্জিতে ভোগার প্রবণতা রয়েছে তারা যদি আগে থেকে সতর্ক না থাকে তাহলে ঠাণ্ডা জনিত ফ্লুর জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, অনেক সময় মানুষ গরমের কারণে রাস্তাঘাট থেকে বিভিন্ন ধরনের শরবত, জুস ইত্যাদি খেয়ে থাকে, এগুলো খাওয়া যাবেনা।

পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে তারপর খেতে হবে। ঘরের তৈরী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তাছাড়া, গরমের দিনে খাবার অনেকক্ষণ রাখলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওই ধরনের খাবার খাওয়া যাবেনা।

সব শেষে সকলকে ঘনঘন হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জিবানু মুক্ত থাকতে হবে বলে জানান তিনি। এরপর আইইডিসিআর কন্ট্রোলরুম সহকারি পরিচালক ডাক্তার আয়েশা আক্তার বলেন, সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ গুলোতে থাকে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলায় হালকা ব্যথার মতো ইত্যাদি উপসর্গ।

তাই সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীদেরকে আমরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলি। এ ক্ষেত্রে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, কাশির জন্য কাশির ওষুধ বা গরম চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারন, এসব খেলে এই ফ্লু থেকে ভালো থাকা যায়।

এছাড়া ভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখে যাদেরকে আমরা মনে করি যে করোনা টেস্ট করা দরকার তাদেরকে আমরা নমুনা পরীক্ষা করে টেস্টটা করে থাকি। তবে ফ্লু জ্বর তেমন মারাত্মক কিছু নয়। চিকিৎসা ছাড়াই সাধারণত এটি সেরে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা।

এছাড়া, ফ্লুর জীবাণু নাক মুখ থেকে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে অন্তত ৬ ফুট দুরত্ব পর্যন্ত ছড়াতে পারে এবং বাতাসে বেশ কয়েকঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।

তাই বর্তমানে দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বারতে থাকা সর্দি-কাশির প্রবনতা বৃদ্ধি থেকে মুক্তি পেতে সকলের মাস্ক ব্যবহার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, প্রচুর পানি পান করা এবং ব্যক্তিগত সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আমাদের ইউটুব চ্যানেল – 

আরো পড়ুন –

ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি থেকে পরিত্রাণের উপায়
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন