করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয় তা হয়তো আমরা এখনো যানতে পারিনি। যে কারনে বলা যেতে পারে অনেকেই অনেক ধরনের কথা প্রচার করছেন। কেউবা আবার সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন রোগীর ভিডিও ছেড়ে দিয়ে করোনাবলে চালিয়ে নিচ্ছেন। 

বর্তমানে সবচাইতে প্রকপ বিস্তারকরা এই ভাইরাসে তিন জন আক্রান্ত ব্যাক্তির সম্পর্কে আজ আমরা যানবো। বিভিন্নি নিউজ চ্যনেলের মাধ্যমে আমরা বুঝার চেষ্টা করবো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা সমম্পর্কে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী –

চীনের সাংহাই শহরের সিক্সথটন নামক একটি পত্রিকাতে প্রাকাশিত একটি প্রদিবেদনে লি জিংডং নামে ৩৭ বছর বয়সি একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর বর্ননা দেয়া হয়।

এই লি জীংডং হচ্ছে চীনের জিংজো শহরের প্রথম রোগি যার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল। লি জীংডং বলেন শুরুতে জখন তার শরীরে এই রোগ ধরা পরলো তখন চিকিৎকরা তার শরীরের রক্ত পরীক্ষা, তাপমাত্রা পরীক্ষা সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করালেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী লি জিংডং

সে সময় চিকিৎসকরা তাকে বল্লেন তার মন বল যেন ভেঙ্গে না পরে। এই বিষয়ে তিনি যেন সর্বোদাই আত্নবিশ্বাসী থাকেন। লি জীংডং আরো বলেন করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় অনেক সময়ে মুখে যেকনো খাবারের রুচি থাকে না। শরীরে অনেকটা অস্বস্তি বোধ হয়। এমনকি মারাত্নক শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

তাই নিজ শরীরকে ঠিক রাখার জন্য যতটা সম্ভব জোর করে হলেও কিছুনা কিছু খেতে হবে। আর সেই খাবার গুল হতে হবে  অবশ্যই পুষ্টি কর খাবার। লি জীংডং আরো যানান এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এ ক্ষেত্রে সেটি ১০০ ফারেনহাইট থেকে ১০৪ বা তার থেকেও বেশি হতে পারে।

এই সময়ে আপনি যদি অধিক পরিমানে পুষ্টি কর খাবার এবং নিজের মনবল ঠিক রাখেন তাছারাও চিকিৎসকরা যদি যেকনো করোনা ভাইরাসে আক্রনাত রোগীর অবস্থা দেখে তাকে ঔষুধ দেয়।

তাহলে আস্তে আস্তে সেই রোগির ভাল হয়ে সেরে উঠার সম্ভাবনা অধিক পরিমানে থাকে। সর্বশেষ লী ডীংজং জানান সমোগ্র অবস্থায় একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শই পারে করোনা ভাইরাসকে থেকে কোন রোগীকে রক্ষা করতে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী – 

কিছুদিন পূরবে সিবিসি নিউজ চ্যানেলে একটি  নিউজ ভিডিও প্রচার করা হয়। যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীকে কিভাবে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে এছাড়াও এখন পর্যন্ত তার শরীরের কি অবস্থা সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়।

সেই পেশেন্টের নাম হচ্ছে রেবেকা। মূলত রেবেকা এবং তার স্বামী ছিলেন প্রিন্স ডায়মন্ড ক্রুস শিপের যাত্রী। যেখানে পরীক্ষার পরে রেবেকার স্বামীকে করোনা নেগেটিব বলা হলেও রেবেকাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ঘোষণা করা হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের রেবেকা

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে যখন এই প্রিন্স ডায়মন্ড ক্রুসশিপটি জাপানে টোকিয় শহরে ভিরে তখন এই জাহাজে সর্বোপ্রথম করোনায় আক্রনাত রোগি সনাক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে রেবেকা অনেকটাই সুস্থ বলে সিবিসি চ্যানেল কে জানান।

তিনি বলেন শুরুতে কাশি কিংবা তেমন কোন মারাত্নক ধরনের সমস্যা আমার দেখা যায়নি। তবে তিনি খানিকটা সর্দি হবার মত সিনটম তার শরীরে অনুভব করছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরা যখন তাকে করোনা পজেটিব বলে জানালেন তখন রেবেকা অনেকটাই হতাশ হয়ে পরেছিলেন।

  রেবেকা জানান চিকিৎসার প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিনে বেশ কয়েকবার তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, পালস চেকআপ এবং লান্সের সমস্যা হচ্ছে কিনা এই বিষয় নজর দারি করা হচ্ছে। চিকিৎসক অবশ্য বলেছিলেন রেবেকার শরীরে পূর্ব থেকে কোন সমস্যা না থাকায় করোনা ভাইরাস তেমন কোন সমস্যা করতে পারেনি রেবেকাকে।

তবে মিনিমাম ১৪ দিন পর্যন্ত তার শরীরের অবস্থা পর্যবেক্ষন এবং এর পরেও খানিকটা আইসুলেশনে থাকার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন রেবেকাকে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তৃতীয় রোগী – 

অবশ্য এই রেবেকার থেকে পুরপুরি ব্যাতিক্রম একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজনেস ইন্সাইডার নামে অনলাইন একটি নিউজ সাইট। যেখানে এক ভিডিওতে দেখানো হয় লাংস্টোন নামে এক ৩৯ বছরের নারী এই করোনা ভাইরাসে মারাত্নক ভাবে আক্রান্ত হন।

যিনি কিনা প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে কিছু বার্তা প্রদান করেন  ভিডিও এর মাধ্যমে। লাংস্টোন জানান এখনো তার দুই হাতে দুটি ক্যানোলা লাগানো রয়েছে। দেয়া হয়েছে ক্যাথেটার এমনকি তিনি কৃত্তিম অক্সিজেন ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে তার নিঃশ্বাস নিতে পারছেননা।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা কেমন হয়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী লাংস্টোন

লাংস্টোন আরো বলেন – বর্তমানে তিনি এত কষ্টের পরেও আগের থেকে ১০ গুন সুস্থ রয়েছেন। করোনাভাইরাস হলে কতটা যে যন্ত্রনা সয্য করতে হয় তা হয়তো কেউ নিজের না হলে বুঝতে পারবেনা।

 সর্বোশেষ লাংস্টোন জানান এই করোনাভাইরাস হবার পরে মনে হচ্ছিল তার লান্সে কেউ যেন ভাঙ্গা কাচ দিয়ে আঘাত করছেন। তাই তিনি সকলকে আহব্বান যানান সকলেই যেন ধুমপান থেকে বিরত থাকেন এবং লান্সের যেকনো সমস্যা থেকে যেন সকলেই সতর্ক থাকে।

উল্লেখ্য এই তিন জন রোগি বর্তমানে সুস্থ হয়ে তাদের নিজ নিজ বাসায় হোম করেন্টাইনে আছেন।

আরো পড়ুন –

করোনাভাইরাসে যে সকল মানুষ উচ্চ ঝুকিতে আছেন!
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন