লিপ ইয়ার কি ? এই বিষয়টি বোধয় আমরা সকলেই জানি। প্রতি চার বছর পরে ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ২৯ তারিক ফিরে আস। যাকেই মূলত লিপি ইয়ার বলা হয়। যে হিসেবে আজকের ২০২০ সালের দিনটিও একটি লিপি ইয়ার।
লিপি ইয়ারের ইতিহাস –
সাধারনত আমরা জানি একবছরে ৩৬৫ দিন হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো যানেন্না সেই ৩৬৫ দিনের মাঝে আরো ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সেখানে যুক্ত থাকে। যাকে আমরা বাদ দিয়ে বছর হিসেব করি। যে কারনে প্রতি তিন বছর পরে এই বাদ পরা সময়ে কে যুক্ত করে ২৯ ফ্রেব্রুয়ারী বা বছরে ৩৬৬ দিন করা হয়েছে।
জুলিয়াস সিজার ৩৬৫ দিনে বছরের হিসেব চালু করেন। যা পরবর্তিতে সকলের কাছে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি হিসেবে পরিচিত লাভ করে। জ্যোতির্বিদ সোসিজেনেসের গণনা অনুসারে প্রতি চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮তম দিনের পরে আরেকটি দিন যোগ করে সেই চতুর্থ বছরটিকে লিপ ইয়ার বলা হয়।
এর পরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে যেই বছরগুলো ৪ দিয়ে বিভাজ্য, সেই বছর গুলকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ হলা হচ্ছে । যদিও এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমও রয়েছে। মূলত পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসার জন্য সঠিক ৩৬৫.২৫ দিনের সময় নিয়ে থাকে।
যে কারনে চার বছর পরে করে হিসাব করলে প্রতি চারশ বছরে দেখা যাচ্ছে তিনদিন বেশি হয়ে যায়। যার জন্য এসকল সমস্যার সমাধান করতে যে বছর ১০০ দ্বারা বিভাজ্য, কিন্তু ৪০০ দ্বারা নয়। তাদের কখনো লিপ ইয়ার হিসেবে বলা হয়না।
লিপ ইয়ারে জন্মদিন পালন –
যেহেতু লিপ ইয়ার চার বছর পরে আসে। তাই হয়তো অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে, যারা ২৯ ফ্রেব্রুয়ারীতে জন্ম নিয়েছেন তারা কিভাবে তাহলে বাকি তিন বছর জন্ম দিন পালন করবে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে বর্তমানে আমাদের বিশ্বে এই লিপ ইয়ারে জন্মানো মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ ১০ হাজারের মত।
এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ২৯ ফ্রেব্রুয়ারী জন্ম গ্রহন করে থাকেন। তাহলে অন্যান্য বছরে ২৮ ফেব্রুয়ারী অথবা ১ মার্চ এর যেকনো একটি দিনকেই আপনি আপনার জন্ম দিন হিসেবে পালন করতে পারেন। উল্লেখ্য লিপ ইয়ারে যারা জন্ম নিয়েছেন তাঁদের রাশি হচ্ছে পাইসিস এবং তাঁদের গ্রহ রত্ন নীলা।
আরো পড়ুন –
রুম থার্টি নাইন – উত্তোর কোরিয়ার সিক্রেট মিশন
Mend the pen only after the sheep are all gone.