কৃত্রিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি করা হয় যেভাবে

কৃত্তিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি করা হয় যেভাবে
কৃত্তিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি করা হয় যেভাবে

কৃত্রিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি –  হীরে হচ্ছে আমাদের বিশ্বের সবচাইতে মূলবান একটি বস্তু। যার মূল উপাদানটি হচ্ছে কার্বন। সমোগ্র পৃথিবীতে বর্তমানে তিনটি উপায়ে হিরে প্রস্তুত করা হয় যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই কৃত্রিম পদ্ধতি। 

১৯৫০ সাল থেকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে কার্বনকে অতিরিক্ত মাত্রায় তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে এর পরে সেই কার্বনকে পরিশুদ্ধ করে হিরে তৈরী করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যেকনো জিনিসকে পুড়ে তাকে কার্বনে রুপান্তরিত করতে পারেন। কারন আপনারা জানি প্রায় প্রতিটি বস্তুতেই কার্বনের অস্তিত্ব বিদ্যমান।

প্রথমে কার্বনের একটি টুকরোকে পলিশের মাধ্যমে এর স্বচ্ছ অংশকে বের করে নেয় হয়। এর পরে সেই টুকরো কে অধিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে সেই কার্বনটিকে পৃথিবীর স্বাভাবিক চাপের চাইতে প্রায় ৬০ হাজার গুন বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয়।

যা হয়তো স্বাভাবিক ভাবে করো পক্ষেই করা সম্ভব নয়। তাই কৃত্তিম ভাবে হিরে প্রস্তুত করা সহ কার্বনকে প্রচন্ড চাপ দেয়ার জন্য রয়েছে নির্ধিষ্ট একটি মেশিন।

কৃত্তিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি করা হয় যেভাবে
কৃত্রিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরি করার জন্য তাপ দেয়া হচ্ছে।

এর পরে সেই কার্বনকে মিথেন এবং হাইড্রোজেন গ্যাসের সমন্নয়ে প্রায় ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় রেখে বিশুদ্ধ করা হয়। সর্বোশেষ সেই ডাইমন্ড টিকে নির্দষ্ট একটি আকারে নিয়ে আসার জন্য আবারো পলিশ এবং লেজার পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়।

যার ফলে আমরা হিরের পাথরের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর কারুকাজ দেখতে পাই। উল্লেখ্য কৃত্তিম পদ্ধতিতে হিরে তৈরী ছাড়াও বর্তমানে আরো যে দুটি পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয় সেগুল হচ্ছে মাইনিং পদ্ধতি এবং ছাকন পদ্ধতি।

subscribe to our youtube channel 2

আরো পড়ুন -
আলু থেকে পলিথিন আর কাগজ থেকে গাছ
শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন