কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা হয়তো বলেও শেষ করা যাবেনা। যেকারনেই এই কালোজিরাকে অনেকেই সর্ব রোগের মহাঔষধ বলে থাকেন। এছাড়াও এই কালোজিরা থেকে নির্গত তেল মানুষের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারি।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেক রয়েছে ঠিক কিছু কিছু সময় রয়েছে যখন এই কালোজিরা না খাওয়াটাই ভাল। তাহলে চলুন আমরা কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা এই দুটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নেই।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা –
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরার ভূমিকা অনেক। তাই প্রতিদিন নিয়মতি কালোজিরা খেলে আপনার স্মরণ শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে কালোজিরার তেলকে চায়ের সাথে মিলিয়ে পান করতে পারেন।
মাথা ব্যাথার জন্য কালোজিরার তেলকে মাথায় মালিশ করলে অনেকটাই উপকার লাভ করা যায়।
সর্দি শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ থাকলে সেগুল নিরাময় করতে কালোজিরার ভর্তা কিংবা মধুর সাথে কালোজিরার তেল খেয়ে দেখতে পারেন।
শরীরের ব্যাথা দূর করতে যে স্থানে ব্যাথা করছে সেখানে কালোজিরার তেল মালিশ করলে ব্যাথা অনেকটাই কমে যায়।
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করনের জন্য কালোজিয়ারার ভূমিকা অনেক এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন তিন বেলা একগ্লাস ত্রিপলা সর্বতের সাথে এক চামোচ কালোজিরার সর্বত পান করলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও কালোজিরার খাওয়ার ফলে আরো যে সকল রোগের নিরাময় সম্ভব সেগুল হচ্ছে – বাতের ব্যাথা, চর্মরোগ, হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিক, যৌন শক্তি বৃদ্ধি, অনিয়মিত মাসিক, ত্বকের আদ্রতা, হজমের সমস্যা, ইত্যাদি।
উল্লেখ্য এই কালোজিরার মধ্যে যে সকল ভিটামিন রয়েছে সেগুল হচ্ছে যথাক্রমে – মেগনেসিয়াম ,সোডিয়াম,এসিড, প্রোটিন, স্টিয়ারিক ,নিজেলোন, নিজেলিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কেলসিয়াম, অলিক , ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, জিংক, ইত্যাদি।
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা –
গর্ভাবস্থায় অথবা দু বছরের নিচে শিশুদের কখনোই কালোজিরা খাওয়ানো ঠিক নয়, এমনকি এর তেল কেও নয়। তবে এ ক্ষেত্রে কালোজিরার তেল শরীরে মাখানো যেতে পারে।
আরো পড়ুন –
সৌন্দর্যচর্চায় বিট এর ব্যবহারিক গুনাবলি