তুর্কিমিনিস্তানি দেশ হচ্ছে এশিয়ার মূলকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রায় ৬ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশটি অনেক কিছুর জন্যই বিখ্যাত। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তুর্কিমিনিস্তানি দেশটি একটি স্বৈরশাসক দেশ।
অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এই দেশের প্রেসিডেন্ট যে জিনিস পছন্দ না করেন সেই কাজ কোন ব্যাক্তি তুর্কিমিনিস্তানিতে করতে পারবেনা। যেমন তুর্কিমিনিস্তানের শাসক কুকুর পছন্দ করেন্না। যে কারনে সেই দেশের কোন ব্যাক্তি রাস্তায় কুকুর নিয়ে বের হতে পারবেনা। তুর্কিমিনিস্তানি দেশের এমন অজানা এবং অদ্ভুত দশটি তথ্য হচ্ছে যাথাক্রমে –
১ – সমোগ্র বিশ্বে স্বৈরশাসক দেশগুলোর মধ্যে উত্তোর কোরিয়ার পরেই তুর্কিমিনিস্তানের অবস্থান।
২ – নামে মুসলিম দেশ হলেও সে দেশের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ ইসলাম সম্পর্কে যানেননা। যার কারন হিসেবে তাদের দেশ তুর্কিমিনিস্থানের স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলুর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন্য অভিযোগ রয়েছে।
৩ – শুধু ধর্ম নয়, বরং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলুর নিষেধ রয়েছে। যে কারনে তুর্কিমিনিস্থানির কোন নাগরিগ যদি উচ্চ শিক্ষিত হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ভিন্ন কোন দেশে পড়াশুনার জন্য যেতে হবে।
৩ – দিনের বেলায় সম্পুর্ন মানব শূন্য থাকে তুর্কিমিনিস্তানের রাজধানি আশগাবাত। যার নজির একমাত্র উত্তোর কোরিয়াতেই দেখাযায়।
৪ – দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ লোক সরকারি চাকুরিজীবি এবং ১৫ শতাংশ লোক দিনমজুর এছাড়াও বাকিরা অন্যান্য কাজ করে থাকেন।
৫ – স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলুর মনে করেন কালো রং হচ্ছে আনলাকি, যেকারনে তিনি দেশটির প্রায় ৯৫ শতাংশ ভবন তৈরী করেছেন সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তুর্কিমিনিস্তানের রাস্তায় কালো গাড়ি ব্যাবহারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যার ফলে সেই দেশটির ৯০ শতাংশ গাড়ির রং সাদা এবং বাদ বাকি গুল হচ্ছে অন্যান্য।
৬ – তুর্কিমিনিস্থানে গেট অফহেল বা দোজখের দরজা নামে একটি স্থান রয়েছে যেখানে ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আগুন জলছে।
৭ – দেশটির রাজধানি আশগাবাতে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ২০০৪ সালে একটি বিশাল মসজিদ নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেই মসজিদটি সর্বোদাই মানবশূন্য থাকে। বলতে পারেন মসজিদ নির্মানের উদ্দেশ্য ছিল অনেকটাই শো অফ করার মত। স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলুর বিশ্বকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন তারা আসলে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। বাস্তবে যার শতভাগি হচ্ছে উল্ট।
৮ – তুর্কিমিনিস্তানি দেশ বিশ্বেরবুকে গ্যাস উত্তোলনের দিক থেকে চতুর্থ নাম্বারে রয়েছে। এছাড়াও দেশটিতে অধিক পরিমানে খনিজ তেলেরো মজুদ রয়েছে।
৯ – প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার পর্যটক দেশতিতে ভ্রমন করতে যান।
১০ – তুর্কিমিনিস্তানের জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে পোলাও। যদিও এই পোলাও আমাদের দেশের পোলাওয়ের মত নয় বরং কিছুটা বিরিয়ানির মত করে তৈরী করা হয়ে এই খাবারটি। পোলাওকে মুরগি, গাজর, পেঁয়াজ, চাল, এবং শুধু মাত্র লবন দিয়ে রান্না করা হয় ।
আরো পড়ুন –
দ্যা গ্যেট অফ হেল বা দোযখের দরজা