ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত হয়তো অনেক রকমের হতে পারে। তবে পৃথিবীতে সবচাইতে মধুর সম্পর্কে বোধয় মা এবং তার সন্তানদের ছাড়া আর কারোরি নয়। ঠিক যেমনটা আনোয়ারা এবং তার মায়ের ক্ষেত্রে হয়েছে।
প্রায় সাত বছর আগে আনোয়ারা রাস্তা দিয়ে হাটার সময় দেখতে পান একজন বৃদ্ধনারী রাস্তা দিয়ে থিক ভাবে হাটতে পারছেনা। একবার উঠছে তো সাথে সাথেই সেখানে আবার পরে যাচ্ছে। আনোয়ারা তখন সেই বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলো আপনার কি হয়েছে?
তখন সেই নারী বল্লো আমাকে একজনে বসিয়ে রেখেযায় কিন্তু এখনো সে আর আমাকে নিতে আসছেনা। তখনো আনোয়ারার আর বুঝার বাকি থাকেনা তাকে তার সন্তানেরা রাস্তাতে রেখে চলে গিয়েছে। সেই থেকে চারুবালা চক্রবর্তী হচ্ছে আনোয়ারার মা।
প্রায় ৯০ বছর বয়সি চারুবালা ভিন্ন ধর্মী হওয়া সত্যেও তিনি তাকে মা বলে সম্মোদন করেন এবং তার বাসায় থাকার জন্য নিয়ে আসেন। আনোয়ারা বাংলাদেশের ময়মনসিং জেলায় শহরে বসবাস করছেন। চারুবালার স্বজনদের খোজকরে আনোয়ারা যানতে পারেন।
ময়মনসিং শহরে নাটক ঘরলেন এলাকায় ছিল চারুবালার বাড়ি। তার দুই সন্তান তাকে রাস্তায় ফেলে চলেযায়। তার সন্তানদের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়ে তারা তার মাকে ফিরিয়ে আনতে অস্বীকৃতি জানান।
আনোয়ারার এমন কর্মে তার স্বামী বলেন – আনোয়ারা যেহেতু নিজে চাকরী করছেন এবং বৃদ্ধার সকল সেবা যত্ন নিজ হাতেই করছে তাই একজন মানুষ হিসেবে কখনো আমি একাজে বাধা দিতে পারিনা। বরং আমি তার কাজের জন্য তাকে পূর্ন্য সমর্থন করি।
এব্যাপারে আনোয়ারাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন শুধু মাত্র একজন মা হিসেবে আমি তাকে নিয়ে এসেছি। সেতো একজন মা। আর তাছারা দুনিয়াটা এমননা। কেউনা কেউ হয়তো ঠিকি এমন মানুষকে দেখবে।
অসহায় এক বৃদ্ধার প্রতি এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন সত্যি বর্তমান সমাজে খুবি প্রয়োজন। ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত হয়তো আপনি কিংবা আমি উপলব্ধি করতে পারবোনা কিন্তু একজন আনোয়ারা এবং চারুবালার মধ্যে যে ভালবাসা সেটা হইয়তো অন্য কিছুই দিয়েই মিলানো সম্ভবনয়।
আরো পড়ুন –
বাঙালির জয় বাঙালির ব্যার্থতা প্রকাশিত হচ্ছে অবশেষে