ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস !

ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস !
ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস !

ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস – ডব্লিউএইচও’র বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের নতুন ভাইরাস নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা ইতিমধ্যে সমোগ্র বিশ্ববাসীকে এই ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।

সম্প্রতি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে শহরে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া মত এই ভাইরাসটি নতুন এক ধরনের করোনাভাইরাস। যাকে ঘিরে বাংলাদেশ সহ অনেক দেশই বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। এরি মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি  বিশেষ ‘থার্মাল স্ক্যানার’র বসানো হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বহিরাগত দেশ থেকে যারা আসবে বিশেষ করে চীনা নাগরিক কিংবা চীন থেকে ঘুরে আসা ব্যাক্তিদের এই স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে আসতে হবে। আর এই মেশিনের মাধ্যমে তাদের শরীরে জ্বরের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিজ্ঞানীরা এ ভাইরাসের নাম দিয়েছেন 2019-nCoV-Corona (২০১৯-এনসিওভি-করোনা)। এরি মধ্যে সিঙ্গাপুরে ৩জন এবং থ্যাইল্যান্ডে ২ জন ব্যাক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও খোদ চীন দেশেই এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বলা হচ্ছে সেখানে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে  আরো প্রায় ৬২ জন। বিজ্ঞানিরা বলেছেন এই ভাইরাসের ছোয়াচে হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যার ফলে এটি পরবর্তিতে মানুষের মাঝে একটি মহামারি আকারো ধারন করতে পারে। 

গবেষকরা নতুন কয়েকটি  সীফুডের বাজারের সাথে সংযুক্ত না হওয়ার কথা বলেছনে যেখান থেকেই প্রথম ভাইরাস শুরু হবার আশংকা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানিরা বলছে হইয়তো কোন সীফুড কিংবা প্রানির শরীর থেকেই এই ভাইরাসটি এসেছে। তবে সবচাইতে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে  চীন চন্দ্র নববর্ষের উৎসবের এই প্রাক্কালে  ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে  অনেকটাই বেহাল।বলা হয় এই উৎসবে লাখ লাখ লোকের আগমন হয়। যার ফলে উক্ত ভাইরাস আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই ভাইরাস ঠেকাতে জনসমাগমে কড়াকড়ির কথা ভাবছে উহান কর্তৃপক্ষ।

ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস !
ডব্লিউএইচও’র সতর্কতায় চীনের নতুন ভাইরাস !

উক্ত ভাইরাসটি করোনভাইরাস হিসাবে পরিচিত। এই ভাইরাসটি একটি বিস্তৃত গ্রুপ যা মানুষের পাশাপাশি শুকোর বা মুরগির মতো প্রাণীগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। মানুষকে প্রভাবিত করে এমন বেশিরভাগ করোনাভাইরাসগুলি হালকা থেকে মাঝারি অসুস্থতা সৃষ্টি করে। যেমন – সাধারণ সর্দির মতো, জ্বরের তীব্রতা বাড়লে শ্বাসকষ্ট হয় । এরপর নিউমোনিয়া হয় বা হতে পারে। যার ফলে গুরুতর অসুস্থতা এছাড়াও এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

শুরুতে এই ভাইরাসে যে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে একজনের বিদ্যমান অবস্থা কিছুটা সনাক্ত করা গিয়েছে। সেই রিপোর্ট করা লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে  জ্বর এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা। বুকে রেডিওগ্রাফগুলি ফুসফুসে আক্রমণাত্মক ক্ষত দেখিয়েছে। যদিও এরি মাঝে কিছু লোক যাদের এই রোগটি ধরা পড়ছে তারা  সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তাদের হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি একটি ভাইরাল রোগ হতে যাচ্ছে। যার অ্যান্টিবায়োটিকগুলি চিকিতসার জন্য অকার্যকর। শুধুমাত্র এর লক্ষণগুলিকেই চিকিত্সা করা যায়। আসল ভাইরাসকে নয়। আর তাছারা এই ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা যায়নি।

আরো পড়ুন –

অ্যালোভেরার পাতার জেলির যত গুন !

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন