ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে শুনা যাচ্ছে।
তথ্য মন্ত্রনালয় সূত্র অনুসারে জানা যায়- এবারের ই-পাসপোর্ট করতে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এবং বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা। ধার্য করা হয় । এর বাহিরে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২২৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।
এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে এই সকল কার্যক্রম আগামি ২২ জানুয়ারির অর্থাৎ ই-পাসপোর্ট উদ্ভদনের পরেই শুরু হবে।
উল্লেখ্য শুরুতে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হলেও কিছু মাস নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে এই সেবা চালু করার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন –
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবির ফাঁদে পর্যটকরা