আলু থেকে পলিথিন আর কাগজ থেকে গাছ ! শুনতে অবাক লাগলেও ঠিক এমনি এক উদ্ভাবনের কথা বলেছেন মাহবুব সুমন নামে একজন তড়িৎ প্রকৌশলী।
মাহবুব সুমনের দাবি আমরা চাইলে খুব সহযেই আলু থেকে পলিথিন ব্যাগ তৈরী করতে পারি। সে ক্ষেত্রে যদি কোন আলু বেচেও যায় তাহলে সেগুলকে আমরা খাবার হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারবো। সুমনের দাবি আমাদের দেশে পলেথিনের ভয়াবহ দূষণ রুখতেই তার এই চিন্তা এবং তিনি এই ব্যাপারে সম্পুর্ন ভাবে আসা বাদি এটি পরিবেশ রক্ষায় অনেক বড় ভুমিকা পালন করবে।
কিন্তু কিভাবে এটি কাজ করবে ?
এ বিষয় সুমন বলেন প্রথমে বাজার থেকে আলুনিয়ে এসে তাকে ধুয়ে, তার থেকে ছিলকা গুলকে আলাদা করে সেই আলু গুলকে চাপ দিয়ে তার থেকে রস বের করতে হবে। যেই রসের মধ্যে মিশানো থাকে স্টার্চ। এবার সেই রস গুলকে বার বার পাতন পদ্ধতিতে এর মধ্যে যে ডাস্ট বা অন্যান্য পদার্থ আছে সে গুলকে আলাদা করে রস গুল রেখে দিলে তার নিচে স্টার্চ জমে থাকবে। এবার সেখানে প্রতি ১০০ গ্রাম স্টার্চের সাথে ৫০ গ্রাম ভিনেগার ৫০ গ্রাম গ্লিসারিন মিসিয়ে তার সাথে প্রায় ৬০০ মিলি লিটার পানি মিশিয়ে যদি তাপ প্রয়োগ করা যায় তাহলে সেখান থেকে পলিথিনের মুল উপাদান পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে সেই দ্রবন গুলকে পলিথিনের মত পড়ু করে আলতো ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সুমনের দাবি ১ কেজি আলু থেকে এই পদ্ধতিতে প্রায় আট থেকে দশটি পলিথিনের ব্যাগ তৈরী করা সম্ভব। আর একমন আলুর ক্ষেত্রে প্রায় ৩৮০ থেকে ৪০০ ব্যাগ খুব সহজেই বানানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে যদি মেশিনের ব্যাবহার করা যায় তাহলে এই এক মোন আলু থেকে দ্বিগুন ব্যাগ তৈরী করা সম্ভব। যার ফলে বাজার মুল্যের কথা বিবেচনায় রেখে গড়ে প্রতি ব্যাগের মূল্য হবে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুটাকা।
এ সময়ে সুমন আরো বলেন শুধু আলু নয় বরং আমাদের ফেলে দেয়া বিভিন্ন কাগজ থেকে বৃক্ষ পর্যন্ত উত্তপাদন করা সম্ভব। আর এই পদ্ধতিতে ব্যাবহারিত কাগজ গুল মাটিতে ফেলে রাখলেই সেখান থেকে কাছের চারা উৎপন্ন হবে। ঠিক যেভাবে গাছ থেকে কাগজ তৈরী হয় তেমনি ভাবে কাগজ থেকেও গাছ উত্তপন্ন করা সম্ভব।
আরো পড়ুন - ফ্লাইং বাইক বা উরন্ত হুন্ডা আসছে খুব শীঘ্রই