বলা হয় ভালবাসা মানেনা কোন বাধা। কে কখন কোথায় কিভাবে কাকে ভালবেসে ফেলে সেই বিষয়টি বের করার বোধয় কারই সাধ্যনেই।
আর এর জন্যই হয়তোবা গেন গানে বলা হয়েছিল – প্রেমের মরা জলে ডুবেনা-
আজ আপনাদের কে পরিচয় করিয়ে দিব আমাদের বিশ্বের অদ্ভুত কিছু দম্পতি সম্পর্কে যাদের কর্মে কিংবা পছন্দে তৈরী হয়েছে অদ্ভুত কিছু বিশ্ব রেকর্ড ।
তাহলে চলুন যেনেনেই সেই সকল দম্পতি এবং তাদের রেকর্ড সম্পর্কে।
সান মিং মিং এন্ড জুয়ান –
বলা হয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে লম্বা দম্পতি হচ্ছে সান এবং জুয়ান । সান হচ্ছেন একজন চিনা বাস্কেত বল প্লেয়ার যার উচ্চতা হচ্ছে ২৩৬,১৭ সেন্টি মিটার। জুয়ান হচ্ছেন একজন চিনা হ্যান্ড বল প্লেয়ার এবং তার উচ্চতা হচ্ছে ১৮৭,৩ সেন্টিমিটার ।

২০০৯ সালে প্রথম সাক্ষাৎ হলেও তাদের বিবাহ হয়েছিল ২০১৩ সালে ।একটি সাক্ষাৎ কারে জুয়ান বলেছিলেন সে সবসময় চাইতো তার থেকে লম্বা একজনকে সে তার সংঙ্গি হিসেবে বেছে নিবে। কিন্তু সে কখনই কল্পনা করেনি সানের মত এতো লম্বা মানুষ তার জীবন সঙ্গি হবেন ।
যদিও একসাথে থাকার জন্য তারা দুজনি প্রক্ষান্তে লাভবান হয়েছেন। কারন বসবাসের জন্য তাদের অনুযাই আসবাব পত্র হয়তোবা সচারচর খুজে পাওয়াটা খুবি দুস্কর ।
উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত তারা সুখে শান্তি তেই একে অপরের সংগি হয়ে বসবাস করছেন ।
পাওলো এন্ড কাতুশিয়া –
সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিত হওয়া পাওলো এবং কাতুশিয়া বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে খাটো দম্পতি ।পাওলোর উচ্চতা হচ্ছে ৯০,২৮ সেন্টি মিটার অপর দিকে কাতুশিয়ার উচ্চতা একটু বেশি। কাতুশিয়ার উচ্চতা হচ্ছে ৯১,৩০ সেন্টিমিটার ।

২০০৬ সালে প্রথম কাতুশিয়া এবং পাওলো একটি মেসেঞ্জিং সাইটের মাধ্যমে মিলিত হয়েছিল । যদিও প্রথমে কাতুশিয়া পাওলোর দেয়া প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করেন এবং তাকে উক্ত সাইট থেকে ব্লক করে দেন , কিন্তু প্রেমিক পুরুষ পাওলো ছিলেন নাছোড় বান্দা । অবশেষে ২০০৮ সালে তারা মিলিত হন একে অন্যের সাথে । মজার ব্যাপার হচ্ছে বর্র্তমানে বিশ্বের সবচাইতে খাট দম্পতির বিবাহও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে ।
শোন স্টিফেনসেন এন্ড ম্যান্ডী কিনিস –
১৯৭৯ সালে সিকাগোতে জন্ম গ্রহন করেছিলেন শোন।জন্মের পরে ডাক্তাররা বলেছিলেন শোনের ব্রোন দিজিস এর কারনে তাকে মাস খানিকের বেশি বাচানো সম্ভব নয় এছারাও যদি তাকে ডাক্তারি ভাবে লম্ভা করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয় সে ক্ষেত্রে তার শরীরের হার ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা ছিল অনেক ।

তবে সব প্রতিকুলতা পেছনে ফেলে শোন এখন পর্যন্ত বেচে আছেন । শুধু তাই নয় শোন পলিটিকাল সাইন্সের উপরে তার ব্যাচেলর ডিগ্রি কমপ্লিট করেছেন । বর্তমানে তিনি বিভিন্ন স্থানে মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে থাকেন এবং তার এই কথা শোনার জন্য দূর দুরান্ত থেকেও অনেক মানূষ যর হয় ।
একদা শোনের এক মোটিভেশনাল বক্তব্য শোনার পরে শোনের প্রতি অনুগত্য হয়ে ম্যন্ডী শোনকে বিয়ের প্রস্তাব করে এবং এর পর ২০১২ সালে তাদের দুজনের বিয়ে সম্পদিত হয় ।
ভিক্টর এন্ড গ্রাবলিরিলা –
যেকোন দম্পতির সুখে সান্তিতে থাকার মুল মন্ত্র হচ্ছে তাদের মতের মিল , দুজনের মধ্যে পারস্পরিক আন্তরিকতা এবং সহানুভিতিতা ।

থিক যেমনটা দেখা যায় ভিক্টর এবং গ্রাবলিরিলার মধ্যে । বিবাহের পুর্বে থেকেই তারা তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কৃত্রিম ভাবে পাথর এবং ট্যাটু প্রতিস্থাপন করেন । যার পরিপেক্ষিতে তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্য হন । প্রায় ১০ বছর যাবত তারা একে অপরের সঙ্গি হয়ে আছেন এবং এর পরিপেক্ষিতেই তারা গড়েছেন কিছু অদ্ভুত রেকর্ড।
অবাক করার বিষয় হচ্ছে তারা নিজেরাও যানেননা এখন পর্যন্ত তারা ঠিক কতবার তাদের শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন ।
এনালিসা এন্ড ডেইভেট –
এনালিসাকে বলা হয় দাড়ি ওয়ালা নারী । ছোট বেলা থেকেই তার মুখের পশম অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পেতে থাকে । একটি পর্যায় ব্যাপারটি এমন পরিস্থিতে দাড়ায় যে লেজ্যার ট্রিটমেন্টেও এই বিষয়টি বন্ধ করা যায়নি । পরবর্তিতে এর জন্য দিনে দুবার করে শেভ করতেন এনালিসা কিন্তু একটি পর্যায় তিনি নিজেই এই ব্যাপারটিতে খুব বিরক্তি বোধ করতে লাগলেন ।

কারন একজন নারীর চেহারাতে এমন কিছু হয়তোবা কোন পুরুশি মানতে পারেনা । কিন্তু সে সময় ডেইভিদের সাথে এনালিসার সাক্ষাৎ হয় ডেইভিট এনালিসার এই বিষয় সাধারন হিসেবে নিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্থাব দেন । বর্তমানে তারা দির্ঘ সাত বছর জাবত একে অপরের সঙ্গী হয়ে জীবন জাপন করছেন ।