বিশ্বের-সবচাইতে দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী !

বিশ্বের সবচাইতে দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী
বিশ্বের সবচাইতে দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী

বিশ্বের এমনো কিছু প্রাণী রয়েছে যেগুল প্রায় শত বছর কিংবা হাজার বছর বেচে থাকতে সক্ষম ।

“প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে”

মহান আল্লাহ তায়ালা কুরাআনুল কারিমের মাধ্যমে তার এই কথাটি বলেছিলেন।

তথা কথিত তথ্য হচ্ছে একটি সময় বিভিন্ন প্রাণী কুল মিত্যু বরন করলেও কিছু প্রাণী বেচে থাকতে পারে শত বছর কিংবা প্রায় হাজার বছরের চাইতেও বেশি। চলুন তাহলে যেনেনেই এই রকম পাঁচটি প্রানি সম্পর্কে ।

#১ ওয়াটার বিয়ার্স বা জল ভাল্লুক –

মাত্র ১ মিলি মিটার কিংবা তার থেকেও ছোট এই ওটার বিয়ার্স হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম অদ্ভুত এবং দির্ঘ জীবি একটিপ্রানি ।পানিতে বাস করা এই ওয়াটার বিয়ার্স খুবি ধির গতির এবং আত্ন নির্ভশীল একটি প্রাণী । বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে এটি বেচে থাকতেও বেশ পারদর্শী। এই প্রাণী -২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস  তাপমাত্রা থেকে শুরুরে +১৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস  তাপমাত্রাতেও বেচে থাকতে সক্ষম ।অবাক করার বিষয় হচ্ছে পানিতে বাস করা এই ওয়াটা্র বিয়ার্স পানি কিংবা খাবার ব্যতিত কমপক্ষে প্রায় ৩০ বছর বেচে থাকতে পারে ।

২০০৭ সালে বিজ্ঞানিরা  অন্যতম একটি পরিক্ষার জন্য এই ওয়াটার বিয়ার্স কে মহাশুন্যে পাঠিয়ে ছিল কিন্তু আশ্চর্জের বিষয় হচ্ছে সেখান থেকেও এই ওয়াটার বিয়ার্স জীবিত ফিরে এসেছিল।ধারনা করা হয় প্রজনোনের উপর ভিত্তি করে এটি শত বছরের চাইতেও বেশিদিন বেচে থাকতে পারে ।

 #২ দি ইমোর্টাল জেলি ফিশ –

খুবি চমতকার দেখতে এই জেলি ফিশগুল অন্যান্য জেলি ফিশথেকে কিছুটা ভিন্ন। এর প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে,

 দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী
জেলি ফিশ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি  তার খোলোশ পরিবর্তন করে আবার পুনরায় নিজ থেকে জন্ম নেয় অর্থাত ছোট থেকে আবার পুনরায় বড় হয়ে থাকে ।  এর জীবন চক্র এই ভাবেই চলতে থাকে ।

সাগরে বাস করা এই প্রানিটীর শরীরের ৯৫ ভাগের বেশি হচ্ছে পানি । অনেকেই মনে করে থাকেন এই জেলি ফিশ আজিবন জীবিত থাকে অর্থাত এই প্রানিটি অমর।

#৩ হাইড্রা –

১৯শতকের দিকে বিজ্ঞানিরা এই প্রানিটিকে নিয়ে গোবেশনা করলেও ২০ শতকে এসে এর সম্পর্কিত সকল তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় ।

বিশ্বের সবচাইতে দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী
হাইড্রা

 

 

জলজো এই প্রানিটিও নির্দিষ্ট একটি সময় তার খোলশ পরিবর্তন করে আস্তে আস্তে অন্য খোলোশে রুপান্ত্রিত হয় ।

উধারন হিসেবে বলাযেতে পারে আমরা চাইলেই খুব সহযেই আমাদের পুরনো মোবাইলের কাভার পরিবর্তন করে সেখানে নতুন কাভার লাগিয়ে আমাদের পুরানো মোবাইলকেও নতুনের মত করে তৈরী করতে পারি ।

#৪ লোং ফিশ –

বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে কাদা মাটিতে এই মাছ বেশি দেখতে পাওয়া যায় ।এর প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে ।

curious
লোং ফিশ

কোন স্থানের পানি শুকিয়ে গেলেও সেখানকার কাদা মাটির মধ্যে থেকে এই মাছ প্রায় বছর খানেক কাটিয়ে দিতে সক্ষম।

 

 

অর্থাৎ বর্ষা বা বৃষ্টি পাত নাহলে এই মাছ গুল কাদার মধ্যেই বসবাস করে থাকে । বিভিন্ন সময়ে এই মাছকে শুকনো মাটিতেও জীবিত খুজে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে এ মাছ গুল প্রায় ছো মাস পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে । আর এ কারনেই একে দির্ঘজীবি প্রাণীদের একটি বলা হয়ে থাকে ।

#৫ ক্রোরাল –

যাকে বাংলায় প্রবাল বলা হয়ে থাকে । সমুদ্রে বাস করা এই প্রানিটি বোধয় বিশ্বের অন্যৎ দির্ঘজীবি প্রানীদের মধ্যে একটি । ধারনা করা হয় এই প্রোবাল আকৃতি এবং স্থান ভেদে হাজার কিংবা তার থেকেও বেশি বছর বেচে থাকে ।

প্রবাল হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামুদ্রিক প্রানী। সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কলোনির সমস্ত পলিপ জিনগত ভাবে অভিন্ন হয়। এরা প্রাণী হলেও, জীবনের পূর্ণবয়ষ্ক অবস্থায় সাগরতলে কোন দৃঢ় তলের উপর গেড়ে বসে বাকি জীবন পার করে দেয় নিশ্চল হয়ে। প্রতিটি প্রবাল পলিপ যেখানে গেড়ে বসে সেখানে নিজের দেহের চারপাশে ক্যালসিয়াম কার্বনেট নিঃসরণের মাধ্যমে শক্ত পাথুরে খোলস বা বহিঃকঙ্কাল তৈরি করে।

বিশ্বের সবচাইতে দির্ঘজীবি কিছু প্রাণী
ক্রোরাল

একটি প্রবাল পলিপের মৃত্যুর পরেও খোলসটি রয়ে যায় এবং তা অস্মীভূত হয়ে যেতে পারে। এরকম অস্মীভূত প্রবালের দেহাবশেষের উপর নতুন করে আবার প্রবাল বসতে পারে। এভাবে একটা কলোনি বহু প্রজন্ম ধরে চলার ফলে বড়সড় পাথুরে আকৃতি ধারন করে। এভাবেই তৈরি হয় বড় প্রবাল দ্বীপ এবং প্রবাল প্রাচীর। অস্ট্রেলিয়ার সন্নিকটে গ্রেট ব্যারিয়ার দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর। উল্লেখ্য বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দিপটিও একটি প্রবালদ্বীপ।

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন