গাড়ির নাম্বার প্লেটে আমরা বিভিন্ন ধরনের বর্ন দেখতে পাই। কোন গাড়ির নাম্বার প্লেট যদি হয় ঢাকা মেট্রো – ক১২৩৪ তাহলে অন্য গাড়িতে দেখাযায় খুলনা মেট্রো – ল৫৪৩২।
মুলত নাম্বার প্লেটে বিভিন্ন জেলার নাম দেখা যায় কারন সেটি ঐ স্থানের, এই বিষয় হয়তো আমরা সকলেই বুঝেছি। কিন্তু বিভিন্ন বর্নের ক্ষেত্রে ঘটে আসল ঝামেলা। যানবাহনের ধরন অনুসারে নম্বর প্লেটের বর্ন নির্ধারণের জন্য বিআরটিএ’র একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট রয়েছে। আর সেই ফরম্যাটটি হল- শহরের নাম- গাড়ির ক্যাটাগরি- গাড়ির নম্বর। এছাড়াও সেখানে বাংলায় একটি বর্নমালা দেয়া হয় উক্ত গাড়ির ক্যাটাগরি বুঝার জন্য।
বিভিন্ন যানবাহনের নাম্বার প্লেটে নাম্বার লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র কিছু নিয়ম অনুসারে মোট ১৯টি ক্যাটাগরি রয়েছে । এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরি হচ্ছে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যানবাহন, এবং বাকি ১৮টি ক্যাটাগরি হচ্ছে জনসাধারণের যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য।
ক – প্রাইভেট কার, ৮০০ সিসি। মুলত দেশের সকল প্রাইভেট কারের নম্বরপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণের ‘ক’।
খ – প্রাইভেট কার, যে সকল প্রাইভেট কার ১০০০ থেকে ১৩০০ সিসির হয়ে থাকে তাদের নম্বর প্লেটে বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণের বর্ণ “খ” লেখা থাকে।
গ – প্রাইভেট কার, ১৫০০-১৮০০ সিসি’র যেসব প্রাইভেটকার রয়েছে সেগুলোর নম্বরপ্লেটে খেয়াল করলে দেখা যাবে ব্যাঞ্জন বর্ণের বর্ণ “গ” লেখা থাকে।
ঘ – মুলত জিপ গাড়ির ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ব্যাঞ্জন বর্ণের বর্ণ “ঘ” লেখা থাকে।
চ – মাইক্রোবাসের নম্বর প্লেটে ব্যবহার করার জন্য ব্যাঞ্জন বর্ণের ষষ্ঠ বর্ণ “চ” লিখা থাকে।
ছ – ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস যেগুলো তার সকল নম্বর প্লেটে থাকে “ছ” এছাড়াও লেগুনার জন্যও ব্যাঞ্জন বর্ণের এই বর্ণটি নির্ধারিত।
জ – মিনিবাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ব্যাঞ্জন বর্ণের বর্ণ “জ” ।
ঝ – বড় বাস বা কোস্টার বাসের ক্যাটাগরি বুঝানের জন্য ব্যাঞ্জন বর্ণের বর্ণ “ঝ” ।
ট – বড় ট্রাক কিংবা কাভার ভেনের জন্য “ট” ।
ঠ – ডাবল কেবিন পিক-আপ এর জন্য নির্ধারিত বর্ন “ঠ”।
ড – মাঝারি ট্রাকের জন্য নির্ধারিত যে বর্ন রয়েছে সেটি হচ্ছে “ড” ।
ন – গাড়ি যদি ছোট পিক আপ ক্যাটাগরির হয় তাহলে তার নম্বর প্লেটে “ন”।
প – টাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত বর্ন “প” ।
ভ – ২০০০+ সিসি প্রাইভেট কারের জন্য বর্ন “ভ”।
ম – মালা-মাল পরিবহন ও ডেলিভারির জন্য পিক-আপের নির্ধারিত বর্ন “ম”।
দ – প্রাইভেট সিএনজির জন্য নির্ধারিত বর্ন “দ” ।
থ – ভাড়ায় চলিত সিএনজির জন্য “থ” ।
হ – মোটরবাইক ৮০-১২৫ সিসি’র জন্য নির্ধারিত বর্ন “হ” ।
ল – মোটরবাইক ১৩৫-২০০ জন্য নির্ধারিত বর্ন “ল” ।
ই – ভটভটি টাইপের ট্রাকের জন্য নির্ধারিত নাম্বার প্লেট হচ্ছে “ই”।
আরো পড়ুন –
কিভাবে ভিবিন্ন হোটেলে স্টার প্রদান করা হয় ?