বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণে কাশ ফোঁটে। ভারতের গয়া অঞ্চলজুড়ে শরৎকাল ঘন কাশের বন দেখা যায়।
আকার-আকৃতি:
কাশ গাছ ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
গঠন ও বৈশিষ্ট্য:
কাশ শরতকালীন একটি ফুল। শরৎ কালেই কাশ গাছে সাদা ও রুপালী রঙের কাশফুল ফোঁটে।
নদীর ধার বা জলাভুমি অঞ্চলে এই ফুল বেশি ফুটে। এর কারণ হচ্ছে নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে। এবং সেই মাটিতে কাশগাছের মূল সহজে এবং খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পারে।
যেহেতু বর্তমানে অনেক দর্শনার্থী কাশবন দেখতে যাচ্ছে তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন-
কাশবনগুলো সাধারণত জনবিচ্ছিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। তাই কাশবনে গেলে অবশ্যই পরিচিত এবং নিজ এলাকায় যাবেন।
নিরাপত্তার জন্য দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করা উচিত।
কাশফুলের লোম প্রতিনিয়ত ছড়াতে থাকে। পরিধেয় পোশাকে লোম জড়ানো থেকে মুক্তি পেতে সিন্থেটিক পোশাক বাছাই করুন।
এলার্জি বা এজমা জাতীয় সমস্যা থাকলে কাশবন থেকে দূরে থাকুন।
যে স্থানে যাবেন বলে ঠিক করেছেন, সেখানে ফুল ফোটেছে কি না নিশ্চিত হয়ে নিন।
ঘুরতে যাওয়ার দিন বা বিগত ২-৩ দিনের মধ্যে কাশবনে যদি বৃষ্টি হয়ে থাকে তবে যাওয়া বাতিল করুন। কারণ বৃষ্টির কারণে কাশফুল গুটিয়ে তার আসল সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
কাশ গাছ সহজে নষ্ট হয় না। একারণে উদ্ভিদটি শরৎকালে যেমন প্রকৃতিকে নান্দনিক করে তুলে তেমনি আবার বাণিজ্যিকভাবেও এর অনেক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। একারণে এখন অনেক কৃষকই কাশের চাষ করতে শুরু করেছে।
তবে বর্তমানে কাশ অনেকটা বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকায় আগে প্রচুর কাশবন দেখা যেত। কিন্ত এখন তার পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে।