টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এতে ভয় পাবার কিছু নেই। এর থেকে বোঝা যায় যে টিকা আপনি গ্রহণ করেছেন তা ইতোমধ্যে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে শুরু করেছে।
প্রথমবার টিকা নেওয়ার পর টিকা দেওয়া স্থানে কিছুটা ব্যথা, বমি বমি ভাব, শরীর ব্যথা, জ্বর বা রাতে কাঁপুনি, অবসাদ এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া তেমন বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কর্তৃক ইউনিসেফের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী-
টিকা নেওয়ার পরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়-
১. যে হাতে টিকা গ্রহণ করেছেন সেখানে ব্যথা, লালচে ভাব এবং ফুলে যেতে পারে।
২. সর্দি ও মৃদু জ্বর দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অবসাদ এবং ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। মাথাব্যথা, জয়েন্ট কিংবা হাতের পেশীতে ব্যথা হতে পারে।
৩. টিকা নেওয়ার পর অনন্ত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট টিকাকেন্দ্রেই অবস্থান করুন। তাৎক্ষনিক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় কি না সেটা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এবং সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
৪. করোনার টিকা গ্রহণে বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন একটা দেখা যায় না। যা হয় তার মধ্যে আছে চুলকানি, বমি হওয়া, বড় ধরনের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীকে জানান। সাধারণত, টিকা নেওয়ার প্রথম ৩০ মিনিটের মাথায় এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। তাই এই সময়টাতে অবশ্যই টিকাকেন্দ্রে থাকার চেষ্টা করবেন। তাহলে যেকোনো সমস্যায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারবেন।
আরো পড়ুন: করোনার টিকা নেওয়ার আগে করণীয় টিকাকেন্দ্রে ও করোনা টিকা নেওয়ার সময় করণীয়
বাড়িতে আসার পর যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাহলে কী কী করা উচিত জেনে নিন-
১. টিকা নেওয়ার পর বাসায় এসে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এসময়টাতে বেশি বেশি তরল খাবার খান।
২. কোনো ধরনের ব্যথা অনুভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
৩. অনেক বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এবং তা যদি ১ সপ্তাহেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়, তবে যে স্বাস্থ্যকর্মী আপনাকে টিকা দিয়েছেন তাকে বিষয়টি জানান।
৪. টিকা দেওয়ার স্থানে যদি ব্যথা অনুভব করেন তাহলে একটি পরিষ্কার ঠান্ডা বা ভেজা কাপড় দিয়ে ব্যথা কমাতে পারেন।
৫. বমি বমি ভাব দেখা দিলে অমিডন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খান এবং রাতের ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় তা নিশ্চিত করুন।
আরো পড়ুন: