আপনি কি জানেন পাউরুটি খেলে আপনার ক্যান্সারও হতে পারে? সম্প্রতি করা এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
দেশে উৎপাদিত কিছু পাউরুটিতে পটাশিয়াম ব্রোমেট এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যে কারণে সেই পাউরুটি থেকে ক্যান্সার বাসা বাধতে পারে আপনার শরীরে।
পাউরুটি থেকে ক্যান্সারই শুধু নয়, এই রাসায়নিক এতটাই ক্ষতিকর যে এটা আপনার শরীরে প্রবেশ করলে বাসা বাধতে পারে আরও বিভিন্ন রোগ। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো-
ক্যান্সার
কিডনি
মস্কিষ্ক
জিনগত সমস্যা
থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ
এছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রকৃতির রোগে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
দেশে দৈনিক ১ হাজার টন পাউরুটি উৎপাদন করা হয়।
এর মধ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হওয়া নামী ব্র্যান্ড ও সুপরিচিত নয় এমন ১৯টি ব্র্যান্ডের পাউরুটির নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
যেগুলোর মধ্যে ১৬টিতে অর্থ্যাৎ ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রে পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি পায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
গত জুন মাসে নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায় পাউরুটিগুলোতে যে পরিমাণ আটা ব্যবহার করা হয় তার ১০ লাখ ভাগের ৩.৩১ ভাগ থেকে ১২.৯১ ভাগ ছিল এই ক্ষতিকর রাসায়নিকটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ক্ষতি করার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট।
প্রাথমিকভাবে ঢাকায় যে ফলাফল পাওয়া গেছে এতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস- দেশে বিস্তৃত পরিসরেই ব্যবহৃত হচ্ছে পটাশিয়াম ব্রোমেট। আর এর ভোক্তাও কম নয়।
মূলত পাউরুটি ফোলাতে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাউরুটির স্বাদ ও আকার ঠিক করতেও এগুলোর ব্যবহার করা হয়।
এই রাশায়নিকগুলোকে ডাকা হয় ইম্প্রুভার নামে।
আগে পাউরুটি ফোলাতে ইস্ট ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ইস্টের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ধীরে ধীরে পটাশিয়াম আয়োডেট ও ব্রোমের ব্যবহার বাড়তে থাকে।
পাউরুটি তৈরির জন্য কি কি উপকরণ কত অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে তার একটি মান নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআই, ২০১৬ সালে।
তখন পটাশিয়াম ব্রোমেট ও আয়োডেটের ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও ২০১৮ সালে এ দুটি রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।