ঘূর্ণিঝড় গুলাব মূলত ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানবে বলে জানান মি. রশিদ। আর এই ঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার পর এই নিন্মচাপটির নাম হবে ‘গুলাব’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র আঞ্চলিক কমিটি অঞ্চলভেদে একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত ৭টি দেশ। দেশগুলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।
এবারকার ঘূর্ণিঝড়ের ‘গুলাব’ নামটি প্রস্তাব করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হবার খবর পাওয়া গেছে। দুপুর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল।
সৃষ্ট হওয়া এই গভীর নিম্নচাপের কারণে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে আদেশ দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় গুলাব সর্বশেষ চট্টগ্রাম হতে ৪৮০ কিলোমিটার, কক্সবাজার হতে ৪১৫ কিলোমিটার এবং ভারতের উড়িষ্যা উপকূল তেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল, এটিই পরবর্তিতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানানো হয়েছে।