সব ধরণের খাবারের মেয়াদ এক রকম নয়। কিছু কিছু খাবার গরমে খুবই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আবার কিছু খাবার ঠান্ডায়। আমরা সাধারণত ফ্রিজে রেখে এবং ফ্রিজে না রেখে দুই ভাবে খাবার সংরক্ষণ করে থাকি।
এছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সহজে খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। চলুন জেনে আসি উপায়গুলো-
মসলা জাতীয় হলুদ-মরিচের গুঁড়ো দীর্ঘদিন রেখে দিলে দানা বেঁধে যায়। এ সমস্যা সমাধানে হলুদ, মরিচ রাখার পাত্রে রাখার সময় খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। তাতে গুঁড়ো দীর্ঘদিন ঝরঝরে থাকবে।
বিস্কুট-চানাচুর, চিড়া-মুড়ি ইত্যাদি শুকনা জাতীয় খাবারগুলো অনেকদিন সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এসব শুকনো খাবার দ্রুত নরম হয়ে যায় যার ফলে মচমচে ভাবটা আর থাকে না। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি এ ধরণের খাবারে ফাঙ্গাস পরে যায়।
এক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে- যে পাত্রে বা বয়ামে এসব শুকনা জাতীয় খাবার সংরক্ষণ করবেন তার মধ্যে সামান্য চিনি কিংবা কাগজের কিছু টুকরো ছড়িয়ে দিন।
খেয়াল রাখবেন কাগজের টুকরোগুলো যেন মোটা এবং শুকনো হয়। ছোট্ট এই কৌশলটিই আপনার বিস্কুট ও এ জাতীয় খাবার দীর্ঘদিন ভালো এবং মচমচে থাকবে।
লবণ এর খুব বিরক্তিকর সমস্যা হলো এটি খুব তাড়াতাড়ি গলে যায়। এ সমস্যা এড়াতে চাইরে লবণের পাত্রে ছোট্ট একটা চালের পুঁটলি রেখে দিতে পারেন।
পাতলা একটি সুতির কাপড়ে অল্প পরিমাণে চাল নিয়ে মুখটি বন্ধ করে লবণের পাত্রে রেখে দিলেই হবে। এটি দীর্ঘদিন লবণ ঝরঝরে থাকতে সহায়তা করবে। কারণ চাল দ্রুত আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে।
দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বা ফেটে যায়। তাই ফ্রিজে রাখার আগে তরল দুধ জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও ২-৩ বার জ্বাল দেওয়া প্রয়োজন।
রসুন দীর্ঘদিন রেখে দিলে পচতে শুরু করে। একটা প্যাকেটে ছোট ছোট কিছু ছিদ্র করে তাতে রসুন ভরে প্যাকেটের মুখ আটকে রাখলে আপনার রসুন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
অনেকেই ফ্রিজে লেবু সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছুদিন পর দেখা যায়লেবু শুকিয়ে গেছে এবং চিপলেও রস বের হয় না। তাই সতেজ রাখতে কাগজে মুড়ে একটা পলিব্যাগে রেখে লেবু ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।