রান্নার তেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো থাকতে পারে! বুঝবেন কীভাবে?
রান্নার তেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো থাকতে পারে! বুঝবেন কীভাবে?
প্রাত্যহিক জীবনের খাদ্যতালিকায় আমাদের তেল টা বেশ প্রয়োজনীয়। তেল ছাড়া রান্না কথা যেন ভাবাই যায় না। সামান্য আলু ভাজা হোক কিংবা বিশাল মাছের ঝোল, রান্না করতে গেলে তেল তো অবশ্যই লাগবে।
আর তেল মানে সেটা যতই খাঁটি বলে প্রচার করা হোক না কেন, সামান্য পরিমাণে হলেও তার মধ্যে ভেজাল মিশ্রিত রয়েছেই। এবং এই সত্যিটা সকলেরই জানা। তারপরও এই অবধি বিষয়টা মেনে নেওয়াই যায়।
কিন্তু বর্তমানে শোনা যাচ্ছে রান্নার তেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হচ্ছে। এবং এমন সব বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হচ্ছে, যা শরীরের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর।
সম্প্রতি এফএসএসএআই অর্থ্যাৎ ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রান্নার তেলে মেশানো হচ্ছে ‘টিওসিপি’(ট্রাই-অর্থো-ক্রেসেল-ফসফেট) নামক এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ।
এর আগেই বিভিন্ন ক্ষেত্রেই গণ বিষক্রিয়া হওয়ার পিছনের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এই অর্গ্যানোফসফরাস জাতীয় পদার্থটি।
কীভাবে বুঝবেন রান্নার তেলে বিষাক্ত পদার্থ ‘টিওসিপি’ মেশানো আছে কি না?
একটি বাটির মধ্যে ২ মিলিলিটার পরিমাণ রোজ আপনি তেল ব্যবহার করেন তা নিন। এ বার তার মধ্যে ১ চামচ হলুদ মাখন মেশান।
এর ফলে যদি তেলের রং না বদলে না যায়, তা হলে বুঝবেন তেলে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো নেই।
কিন্তু তেলের রং যদি লালচে হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সতর্ক হন। এর মানে হচ্ছে সেই তেলে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো আছে, তাই সেই তেল আর খাবেন না।
কী হতে পারে এই বিষাক্ত পদার্থ খেলে?
এই বিষাক্ত পদার্থ পেটে গেলে প্রথম দিকে তেমন কোনও উপসর্গ দেখা দেওয়ার কথা নয়।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন বিষাক্ত পদার্থটি পেটে যাওয়ার ১০/২০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক উপসর্গগুলি একে একে ধরা পড়বে। প্রথমে তলপেটে ব্যথা কিংবা প্যারেসস্থেশিয়া দেখা দিতে পারে। তারপর পর্যায়ক্রমে পেশি দুর্বল হবে। এমনকি এই বিষক্রিয়ার ফলে নিম্নাঙ্গে প্যারালিসিসও হয়ে যেতে পারে।