ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরি হয় কিভাবে? এর থেকে বাঁচার উপায় কি?

ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরি হয় কিভাবে? এর থেকে বাঁচার উপায় কি?
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরি হয় কিভাবে? এর থেকে বাঁচার উপায় কি?

আপনার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরি হয়ে যাচ্ছে। অথচ বুঝতেই আপনি পারলেন না কিভাবে শেষ হয়ে গেল।

প্রতিনিয়ত নিজের টাকা খরচের খাতায় যাচ্ছে কিন্তু সে তুলনায় ব্যবহার করছেন অল্প। ব্যাপারটা আসলে কী?

এতদিন পর্যন্ত প্রযুক্তি জালিয়াতরা নানান তথ্য চুরি করার জন্য অন্যের ডিভাইসে হানা দিত। এখনও তাই করে।

কারও ডিভাইস থেকে ব্যক্তিগত যেকোনো তথ্য চুরি,  ছবি চুরি আবার কারও কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত সকল গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়াসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুরির জাল বিছিয়ে রেখেছে জালিয়াতরা।

কিন্তু এবার তারা বিভিন্ন ডিভাইসে হানা দিচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরির করার উদ্দেশ্যে। এবং এই ব্যান্ডউইথ চুরি করে তা দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ রোজগার করছে জালিয়াতরা ।

কিন্তু আপনি কি জানেন, কীভাবে এই কাজটা সম্পন্ন হচ্ছে?

একটি প্রক্সিওয়্যার ব্যবহার করে সম্পূর্ণ কাজটি করছে জালিয়াত চক্রের পাণ্ডারা।

সিসকো ট্যালোস ইতোমধ্যে সেই বিশেষ প্রক্সিওয়্যারের সন্ধান পেয়ে গিয়েছে। এই ওয়্যারটির মাধ্যমে এককটি ডিভাইসকে টার্গেট করা হয়।

তবে সবগুলো ডিভাইসকে টার্গেট করতে পারে না প্রক্সিওয়্যার।

মূলত যেসব ডিভাইস বা সিস্টেমে আগে থেকেই ম্যালওয়্যার ঢুকে রয়েছে, খুঁজে খুঁজে সেই সিস্টেমগুলিতেই হামলা চালায় জালিয়াতরা।

‘জেডডিনেট’ নামে এক সংস্থা জানিয়েছে, প্রক্সিওয়্যার অবৈধ কোন কিছু নয়। বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু সমস্যা হলো জালিয়াতরা ওই প্রক্সিওয়্যার ব্যবহার করে খারাপ উদ্দেশ্যে।

আর এই প্রক্সিওয়্যার টুলটিকেই ব্যান্ডউইথ চুরিসহ আরও বিভিন্ন চুরির কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে হ্যাকাররা।

এই টুলের সাহায্যে ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাদের ডিভাইসে প্রক্সিওয়্যার সফ্টওয়্যারটিকে ইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে।

এর পর থেকেই সেই ডিভাইসের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর তা চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে।

এমনকি এভাবে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ব্যবহারকারীরা তা বুঝতে পারে না। তাদের ডিভাইসে যে এই ধরনের কোনও অ্যাপ রয়েছে তারা কখনও জানতেই পারে না।

কীভাবে ডিভাইসগুলোয় প্রক্সিওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হ?

মূলত কোনও পাইরেটেড অ্যাপ কিংবা কোনও সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডিভাইসে ওই প্রক্সিওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
ইন্টারনেট কি ? এর আসল মালিক কে? 
হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক ! কিভাবে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন 
অ্যাপলের আইফোন কেন এত দামি হয়?

কীভাবে বোঝা সম্ভব কোনও ডিভাইসে প্রক্সিওয়্যার ইন্সটল করে দেওয়া আছে কি না?

১) প্রতিনিয়ত আপনার যেকোনো ডিভাইস ফোন হোক বা ল্যাপটপে থাকা অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারের উপর নজর রাখতে হবে। যদি দেখেন একটি অ্যাপ আপনি ডাউনলোড করেনি অথচ সেটি মোবাইলে দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে অতি দ্রুত তা ডিলিট করে দিন।

২) ডিভাইসে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার সোর্স সম্পর্কে সবকিছু যাচাই করতে হবে। ডাইনলোডের ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করাই বেশি ভালো।

৩) ফোনে যদি বিল্ট ইন সিকিউরিটি স্ক্যানার থাকে তাহলে তা অ্যাকটিভ রাখতে হবে।

৪) অপরিচিত কেউ যদি ফোনে কোনও লিঙ্ক পাঠায় তাতে হুট করে ক্লিক করা উচিত নয়।

৫) যেকোনো পাইরেটেড অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার কোনও ডিভাইসেই ইনস্টল করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।

ইউটিউব চ্যানেল লিংক

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন