‘আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি আমি আপনাদের সঙ্গে আছি’ – ই-অরেঞ্জ প্রসঙ্গে মাশরাফি

‘আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি আমি আপনাদের সঙ্গে আছি’ – ই-অরেঞ্জ প্রসঙ্গে মাশরাফি
ই-অরেঞ্জের ব্র্যান্ড অ্যাম্বসেডর মাশরাফি

সাম্প্রতিক সময়ের বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটার দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। কিন্তু বর্তমানে তিনি আর প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নন।

কিন্তু এখন অনেক গ্রাহকই প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য কিংবা অর্থ ফেরত না পেয়ে দায়ী করছেন মাশরাফিকে। এমনকি বেশ কয়েকবার তার বাড়ির সামনেও জড়ো হয়েছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা।

গতকাল সোমবারও মাশরাফির বাড়ির সামনে ই-অরেঞ্জের কয়েকজন নারী গ্রাহক গিয়ে ভিড় করেন। লক্ষ্য- তারা তাদের পাওনা অর্থ আদায়ে মাশরাফির সহায়তা চান।

এ সময় ই-অরেঞ্জ প্রসঙ্গে মাশরাফি তাদের, তার শেষ নিঃশ্বাস অবধি তিনি তাদের সঙ্গে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

মাশরাফির ভাষায়, ‘আজ যে ভুক্তভোগী নারীরা আমার কাছে এসেছিলেন তাদের একটা কথাই বলেছি, আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা যতটুকু, যাই করতে বলবেন, আছি। কিন্তু আমারও তো সীমাবদ্ধতা আছে। আমি শুধু এতটুকুই বলেছি। আর যদি কেউ এর ভিন্ন কিছু বলে থাকে তবে তা বানিয়ে বলেছে।’

ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার সকল দায় নিজের ওপর আসায় ক্ষোভ ঝেড়ে এই অধিনায়ক ওরফে সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘আসলে এখানে আমার দায় কেন? আমি কি ই-অরেঞ্জের মালিক? যারাই অভিযোগ নিয়ে আসছেন তাদের তো বলতই পারতাম যে আপনারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। সেটাও আমি বলিনি কাউকে। শুধু জানিয়ে দিয়েছি, আমি আমার মতো চেষ্টা করছি।’

এসময় ই-অরেঞ্জ প্রসঙ্গে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর। আমাকে এসব বলে কি লাভ? যদি আমি তাদের শেয়ার হোল্ডার হতাম বা এমন কিছু… তাহলে নাহয় একটা কথা ছিল। আইনের বাইরে গিয়ে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা কী করবে? প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষরা জেলে আছে, তাদের ব্যপারে তদন্ত হচ্ছে। এখন তো সেটা পুলিশের বিষয়।’

আরো পড়ুন:
ই-অরেঞ্জ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ৩জন রিমান্ডে 
পাওনা টাকা না পেয়ে ধামাকা শপিং চেয়্যারম্যানের বাসার সামনে শত শত ব্যবসায়ী 

উল্লেখ্য, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণামূলক একটি অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছেন।

ওই মামলায় ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির সব মালিককে আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য তাদের টাকা দেওয়া হয়, যার বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর পণ্য সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু ই-অরেঞ্জ ১ লাখ গ্রহক তথা ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

শেষে ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে পণ্য সরবরাহের ব্যাপারে চাইলে তাদের জানানো হয়, কিছুদিনের মধ্যেই পণ্য পাঠানো হবে। কিন্তু নির্ধারিত দিনের পরে আরও অনেক পারদিন হয়ে গেলেও কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি।

কিউরিয়াস চ্যানেল লিংক

শেয়ার করুন -

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন