মালিকানায় ডাক বিভাগের অন্তর্ভুক্তি এবং নামের পরিবর্তনে ট্রাস্ট কাম সেটেলমন্ট হিসাবও পরিচালিত হবে নগদ-এর নামে।
এ কারণে ব্যাংক হিসাব খুলতে ডাক বিভাগের অনুমোদন লাগবে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই বলে দাবি নগদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব নিয়ম পরিপালন করেই আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নগদ কর্তৃপক্ষ।
দেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর অনুমোদন আছে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে আর্থিক সেবা দিচ্ছে ১৫টি।
ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটেলমন্ট হিসাব খুলে গ্রাহকের আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে এসব প্রতিষ্ঠান।
এতদিন থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস নামে আর্থিক সেবা দিচ্ছে নগদ। সম্প্রতি নামের পরিবর্তন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
একইসাথে মালিকানায় যুক্ত করা হচ্ছে ডাক বিভাগকে। তাই নতুন নামে হিসাব খুলার আগে ডাক বিভাগের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
নগদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলছেন, “ট্রাস্ট কাম সেটেলমন্ট এ্যাকউন্টটি কোম্পানির যে নামে লাইস্যান্স আছে সে নামে হতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুমোতি নিয়ে সেবা হিসেবে কাজ করি। যেটা সকলের জন্য প্রযোজ্য। এটা একটা সাধারণ কার্যপদ্ধতি। এই ব্যাপারেই তারা আমাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হবার বা একে নেতিবাচক দিক থেকে দেখার কোন কারণ নেই।”
বাংলাদেশ ব্যাংকও বলছে নামের পরিবর্তনের কারণেই ডাক বিভাগের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোন কারণ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম টেলিফোন বার্তায় বলেন, “আমরা বলে দিয়েছি, আগে যা ট্রানজেকশন করতো সেভাবে না, ওরা যেহেতু ডাক বিভাগের আওতায় ছিল তাই এখন যেকোন এ্যাকউন্ট খুলতে গেলে ডাক বিভাগের অনুমতি নিয়ে তাদের এটা খুলতে হবে। এটা খুবই সহজ একটা কথা বলা হয়েছে।”
এতদিন মুনাফার ভাগ দেওয়া হলেও মালিকানায় ছিল না ডাক বিভাগ। সরকারি কোম্পানি হিসেবে ৫১ ভাগ মালিকানা হস্তান্তর করা হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নগদ’র কোন ক্ষতি করা যাবে না।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ৩০ ভাগ বেশি দিচ্ছে নগদ। ক্যাশ-আউট চার্জ ২০ টাকা থেকে অর্ধেক কম, বিল পেমেন্ট-সেন্ট মানি সম্পূর্ণ ফ্রি। এসব কারণেই নগদ’র প্রতি বেশি আকৃষ্ট বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
উন্নতি প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী মূল্যর কারণে নগদের গ্রাহক সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।