প্রতিটি নারীরই উচিত নিজের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া। একইভাবে কোন খাবারটি খাওয়া উচিত কিংবা কোনটি পরিহার করা উচিত, তা সম্পর্কে ধারণা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য শুধু নারীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে না, শরীরের নানা ধরণের অসুখ থেকে রক্ষা করতেও অবদান রাখে।
নারীদের শারিরীক গঠন পুরুষদের তুলনায় ভিন্ন রকম এবং বেশি জটিলও- এরকমটাই বলা হয়ে থাকে। একারণেই শরীরের প্রতি নারীদের চাই বিশেষ যত্ন।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রত্যেক নারীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এগুলো খাওয়া জরুরি।
তাহলে চলুন সেসব গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
পালংশাক
পালংশাকের মতো পুষ্টিকর খাবার খুবই কম আছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এক শাক এটি। নিয়মিত পালংশাক খেলে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মিটে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পালং শাকের অবদান অতুলনীয়।
টমেটো
টমেটোকে মূলত সবজি হিসেবে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এর গুণাবলি সম্পর্কে কতটুকু জানে সবাই? টমেটোতে রয়েছে লাইপোসিন। যেটি স্তন ক্যান্সারকে দূরে রাখতে খুব কার্যকর। শুধু তাই নয়, নিয়মিত টমেটো খাওয়ার ফলে হার্টের অসুখও কম হয়।
এই বিচিতে থাকে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্ট সুস্থ রাখে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। শক্তিশালী প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদানের কারণে প্রতিদিন তিসির বীজ খাওয়া নারীর স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।</h3
ওটস
হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে ওটসের কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে এটি হার্টের সমস্যা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পিএমএস থেকে মন ও স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন রকম চাপ পড়তে থাকে। এই চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ অবদান রাখে ওটস। তাই নিয়মিত ওটস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ক্রেনবেরি
এটি একটি সুস্বাদু ফল, যেটি হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে, দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ক্রেনবেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহপ্রতিরোধী উপাদান। যা নারীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।